আসসালামুআলাইকুম

পরম করুনাময়,অসীম দয়ালু
মহান আল্লাহ পাকের নামে
শুরু করছি।
কেমন আছেন সবাই?আশা
করি আল্লাহর রহমতে সবাই
ভালো আছেন। আমিও
আপনাদের দোয়ায় ভালো
আছি।আজ আমি আপনাদের
জন্য নিয়ে হাজির হয়েছি…
নামাযের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
নিয়ে আশা করি আপনাদের
কে ভালো লাগবে,,,!
ইসলামী ঈমান আকীদা ঠিক
করে নেয়ার পর দৈহিক
ইবাদতসমূহের মধ্যে
সর্বাপেক্ষা উত্তম হলাে
নামায। সহীহ মুসলিমে
জাবির রা. থেকে বর্ণিত
যে,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন- ঈমানদার ও
কাফিরের
মধ্যে পার্থক্য হলাে, নামায
বর্জন করা। অর্থাৎ নামায
বর্জন মানুষকে কুফরীর
নিকট নিয়ে যায়।ইমাম
আহমদ
তিরমিযী ও নাসায়ী

বুরায়দা রা. থেকে বর্ণনা
করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু
আলায়াই ওয়াসাল্লাম
বলেছেন আমাদের ও
অন্যান্যদের মধ্যকার
অঙ্গীকার নামায দ্বারাই
কায়েম থাকবে। যে ব্যক্তি
নামায বর্জন করবে, সে
কাফির হয়ে যাবে।
ইমাম ইবনে মাজা আবু
দারদা রা. থেকে বর্ণনা
করেন যে, আমার প্রিয় নবী
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়াসাল্লম
আমাকে উপদেশ প্রদান করেন
যে, তুমি
আল্লাহ তায়ালার সাথে
কাউকে শরীক করাে না,
যদিও তােমাকে হত্যা করা
হয়
বা পুড়ে ফেলা হয়, পিতা-
মাতার নাফরমানী করবে
না, যদিও তাঁরা তােমাকে
স্ত্রী, সন্তান কিংবা সম্পদ
পরিত্যাগ করতে আদেশ করে,
ইচ্ছাকৃত ফরয নামায
ত্যাগ করবে না। কেউ
ইচ্ছাকৃত ফরয নামায ত্যাগ
করলে তার থেকে আল্লাহ
তায়ালার দায় দায়িত্ব
ওঠে যায়।
ইমাম আহমদ, দারেমী ও
বায়হাকী আমর ইবন আস
থেকে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু
আলায়হি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন-
ঠিকমত করবে; কেয়ামতের
দিন নামায তাঁর জন্য নূর,
দলীল ও নাজাতের
কারণ হবে। আর যে ব্যক্তি
ফরয নামায ঠিকমত করবে
না, সে ব্যক্তি নূর,
দলীল ও মুক্তি থেকে বঞ্চিত
হবে। আর তাঁর হাশর
ফেরাউন, হামান, কারুন ও
উবাই ইবনে খালফ এর সাথে
হবে।
আশা করি আপনাদের ভাল
লেগেছে…।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ
থাকবেন ।
দেখা হবে পরের পোস্টে
নতুন কোনো বিষয় নিয়ে !

ধন্যবাদ সবাইকে

2 thoughts on "জেনে নিন নামাযের গুরুত্ব ও তাৎপর্যর মাসআলা সম্পরকে"

    1. Mohammed Nayeem Akondo Author Post Creator says:
      Thank You 🙂 For You Comment…

Leave a Reply