সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক
ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো ঈদুল আজহা। বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবারো হাজির হলো।
বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়। এই দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব তোমার রবের উদ্দেশেই নামাজ পড়ো এবং নহর করো।’ (সুরা আল কাউছার, আয়াত: ২)
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যায়। তাই সবার সুবিধার্থে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-
ঈদের দুই রাকাত নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়।
প্রথম রাকাতঃ
আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামে পিছনে আদায় করছি বলে নিয়ত বাঁধতে হয়।
প্রথমেইঃ– তাকবিরে তাহরিমা- ‘আল্লাহু আকবার’ বলে
নিয়ত বাঁধবেন।
নিয়ত বাঁধার পর ছানা পড়বেনঃ
উচ্চারণঃ– সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।
তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে ছেড়ে দিবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাঁধবেন।
এরপর ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু, সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু সিজদা করবেন।
দ্বিতীয় রাকাতঃ
ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তিন তাকবির প্রথম রাকাতের মতোই আদায় করবেন। অতপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করবেন।
আমরা সবাই মিলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করি ও সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করি। নিয়মিত হাত ধুই (২০ সেকেন্ড ধরে), হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখি, এবং নিজের ও পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে জনসমাগম এড়িয়ে চলুন; ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন
উচ্চাঃ তাক্বাববালাল্লাহু মিননা ওয়া মিনকুম
অর্থঃ আল্লাহ যেন আমার এবং আপনার সমস্ত নেক কর্ম ক্ববুল/গ্রহণ করেন।
ইদ মুবারক