আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে হযরত উমর (রা) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
ইসলামে চারজন খিলাফা রয়েছেন । তাদের মধ্যে একজন হলেন হযরত উমর ফারুক (রা) । তিনি হলেন ২য় । হযরত উমর ফারুক (রা) ৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দে আরবের মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশের আদি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতার নাম খাত্তাব এবং তাঁর মাতার নাম হানতামা । তিনি ছিলেন অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত ও সৎ চরিত্রের অধিকারী । যুবক বয়সে তিনি কুস্তিগির,সাহসী যোদ্দা,কবি ও সুবক্তা হিসেবে তৎকালীন আরব সমাজে খ্যাতি অজন করেন ।
হযরত উমর ফারুক (রা) ছিলেন ইসলামের ঘোর শত্রু ছিলেন । একদা তিনি আবু জাহেলের নিদেশে মহানবি (স) কে হত্যা করতে রওয়ানা দিলেন । পথে শুনতে পারলেন যে তার বোন এবং তার ভগ্নিপতি সাঈদ মহানবি হযরত মোহাম্মদ (স) এর কাছ থেকে ইসলাম ধম গ্রহণ করেছেন । তিনি তাদেরকে হত্যা করার জন্য তাদের বাড়ি গেলেন । দেখলেন তারা একটি কিতাব পাঠ করছেন । তাদেরকে নিযাতন করেন । তবুও তারা ইসলাম ধম ত্যাগ করতে চাইল না । তিনি তার বোনকে জিজ্ঞাসা করলেন যে আমি যখন বাড়িতে আসলাম তখন তুমি কি যেন পড়ছিলে । সেটি কি? তার বোন উত্তরে বলল যে সেটা ছিল আল কোরআন । এ উত্তর শুনে হযরত উমর ফারুক (রা) কুরআন শোনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন । তার বোন তাকে কোরআন পড়ে শোনালেন । তাঁর কোরআনের কথা ভালো লাগল । অতপর তিনি মহানবি (স) এর কাছে গেলেন । মহানবি (স) এর পায়ের কাছে নিজের তরবারি রেখে দিলেন এবং তাঁর থেকে ইসলাম ধম গ্রহণ করেন ।
ইসলাম ধম গ্রহণ করার পর তিনি মহানবি (স) কে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি যে গোপনে কোরআনের দাওয়াত দিচ্ছেন এটা কি সত্য?” জবাবে মহানবি (স) বলেন হ্যাঁ এটা সত্য । তখন তিনি বললেন যে আজ থেকে আমরা সবাই কাবা ঘরে সালাত আদায় করব এবং প্রকাশ্যে দাওয়াত দিব । এজন্য মহানবি (স) তাঁকে ফারুক বা সত্য ও মিথ্যার পাথক্যকারী উপাধিতে ভূষিত করেন । এভাবে তিনি নবুয়তের ৬ষ্ঠ বছরে ইসলাম ধম গ্রহণ করেন ।
হযরত উমর ফারুক ছিলেন ন্যায় বিচারকের প্রতীক । আইনের চোখে সবাইকে সমান করতেন তিনি । মদ্যপানের অভিযোগে তাঁর নিজ পুত্র আবু শাহমাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছিলেন তিনি ।
হযরত উমর ফারুক (রা) ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে খিলাফাতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন । তিনি রাষ্ট্রের সকলের খোজ খবর রাখার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন । ক্ষুধাত শিশুর কান্না শুনতে পেলে তিনি নিজে আটার বস্তা তার বাড়িতে দিয়ে আসতেন ।
তো আজ এতটুকুই । সবাইকে ধন্যবাদ ।