আসসালামুআলাইকুম প্রিয় ট্রিকবিডি বাসী।
কেমন আছেন সবাই।
আশা করি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে ভালো আছেন।
আলহাদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
তাই চলে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।
তো শুরু করা যাক।
আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে পবিত্র মাহে রমজান।
রমজান মাস হল বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম বান্দাদের জন্য,
আত্ম সংযম এবং রহমতের মাস।
আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি খুশি হন রমজান মাসে।
যদি কোন ব্যক্তি ত্রিশটি রমজানের 30 টি রোজা সম্পূর্ণভাবে
করতে পারে, তাহলে সেই ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার কাছে বিশেষ
মর্যাদা লাভ করবে।
রমজান মাসে আমাদের বিভিন্ন করণীয় দিক রয়েছে।
রমজান মাসে মানুষ এবাদত-বন্দেগি বেশি করে।
তবুও দেখা যায় এইসব ব্যাপারে ইবাদত বন্দেগী এর মধ্যে কিছু ত্রুটি
লক্ষ্য করা যায়।
আজকে আমি বলব কিভাবে আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া
আদায় করবেন এবং তার
আদেশ-নিষেধ মেনে চলবেন রমজান মাসে।
প্রথমতঃ
বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।
এই দোয়াটি পড়লে আল্লাহতালা বেশি খুশি হন।
“আস্তাগফিরুল্লাহ রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম”
রমজান মাসে যে ব্যক্তি যত বেশি ইস্তেগফার পাঠ করবে
আল্লাহ তা’আলা তার জন্য রোজা সহজ করে দিবেন।
এটা আমাদের সকল মুমিন বান্দাদের জন্য একটি অশেষ নিয়ামত।
দ্বিতীয়তঃ
রমজান মাসে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবেন।
আল্লাহ তা’আলা শুধু রমজান মাসে সালাত আদায় করতে বলেননি,
আল্লাহ তা’আলা সকল মুসলিম বান্দা এবং বন্দিদের জন্য
নামাজ ফরজ হিসেবে গণ্য করেছেন।
তাই আমাদের সকলের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা।
রমজান মাসে তারাবি নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে।
তৃতীয়তঃ
রমজান মাসে রোজা থাকার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।
আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি রমজানের দাওয়াত দিবেন
আল্লাহ তাআলা তাকে রোজা থাকার সমপরিমাণ সওয়াব দান করবেন”
সুতরাং আমাদের সকলকে রমজান মাসে রোজা থাকার জন্য,,
উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
চতুর্থতঃ
রোযাদার ব্যক্তিকে ইফতার এবং সেহরি করাতে হবে।
আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি খুশি হন যখন কোন রোজাদার
অপর রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার এবং সেহরি করান।
তখন আল্লাহ তাআলা এতটাই খুশি থাকেন বান্দার ওপর,,
যাকে ইফতার এবং সেহেরী করানো হয়েছে
যদি সেই রোজাদার ব্যক্তি, ওই ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তাআলার
নিকট, হাত তুলে দোয়া করেন আল্লাহ তাআলা সেই দোয়াটি
কখনো ফিরিয়ে দেন না।
পঞ্চমতঃ
রোজার মাসে কখনো কাউকে কষ্ট দিয়ে কিছু করা যাবে না,
বা বলা যাবেনা যাতে সেই ব্যক্তি কষ্ট পায়।
কারণ রোজার মাস হল রহমতের মাস।
যথাসম্ভব গরীব দুস্থ ব্যক্তিকে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল রোজার মাসের সকল ফজিলত এবং
নেয়ামত সমূহ।
আল্লাহতালা সবাইকে রোজা রাখার তৌফিক দান করুন।
এই বলে আজকের পোস্টটি এখানে শেষ করছি।
সবাই ভাল থাকুন।
সুস্থ থাকুন।
এবং ট্রিকবিডি এর সঙ্গেই থাকুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
যদি আমার পোস্টের কোথাও ভুল ত্রুটি থাকে ধরিয়ে দেবেন শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব।
যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে আমাকে পাবেন এই লিংকে
One thought on "মাহে রমজানে করণীয়!!"