ইসলামের নিয়মানুযায়ী, রমজানে সুস্থ-সবল মানুষের জন্য ফজরের আগে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে দিনের রোজার সমাপ্তি ঘটে। এই দুটি সময়ে নিয়ত এবং দোয়া অবশ্যই করতে হয়। অর্থাৎ, সেহরি খাওয়ার পর রোজা রাখার নিয়ত করতে হয় এবং ইফতারের আগে দোয়া করে ইফতার শুরু করতে হয়।

রোজার নিয়ত

রমজান শুরু হলে অনেকেই রোজার নিয়ত নিয়ে চিন্তিত থাকেন। অনেকে মনে করেন, রোজার নিয়ত মুখে করতে হয়। সমাজে যে আরবি নিয়ত প্রচলিত আছে তা বলতে হয়, নইলে কমপক্ষে মুখে এতটুকু বলতে হয় যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করছি।

এমন ধারণা সঠিক নয়। কারণ রোজার জন্য মৌখিক নিয়ত জরুরি নয়; বরং অন্তরে রোজার সংকল্প করাই যথেষ্ট।

তবে কেউ যদি নিয়ত করে রোজা রাখতে চায়, তা হলে এভাবে মনে মনে নিয়ত করতে হবে-

সুবহে সাদিকের পূর্বে মনে মনে এই নিয়ত করবে যে, ‘আমি আজ রোজা রাখবো’ অথবা দিনে আনুমানিক ১১টার পূর্বে মনে মনে নিয়ত করবে যে, আমি আজ রোযা রাখলাম। মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়, বরং মুস্তাহাব। (রদ্দুল মুহতার: ২/৩৭৭)

রোজার নিয়তের ক্ষেত্রে আরবি ভালোভাবে বলতে পারলে ও বুঝলে আরবিতে নিয়ত করা যাবে। অন্যথায় বাংলায় নিয়ত করাই ভালো।

বিঃ দ্রঃ ফরজ রোজার ক্ষেত্রে অবশ্যই রাতের মধ্যেই সিয়ামের নিয়ত করতে হবে না হয় সিয়াম শুদ্ধ হবেনা।

ফজর উদয় হওয়ার আগেই অর্থাৎ রাতের মধ্যেই নিয়ত করে ফেলতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

مَنْ لَمْ يُجْمِعْ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ

যে ব্যক্তি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই সিয়াম পালনের নিয়ত করল না তার সিয়াম শুদ্ধ হল না। (আবূ দাঊদ : ২৪৫৪)

مَنْ لَمْ يَبِيْتِ الصِّيَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ

যে ব্যক্তি রাতের মধ্যেই সিয়ামের নিয়ত করল না তার সিয়াম শুদ্ধ হল না। (এ নির্দেশ শুধুমাত্র ফরয রোযার ক্ষেত্রে) (নাসাঈ : ৪/১৯৬)

 

ইফতারের দোয়া

ইফতারের আগে ইফতার সামনে নিয়ে এই দোয়া পড়তে হয়: بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি।

ইফতারের বাংলা নিয়ত: হে আল্লাহ, আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমজানের ফরজ রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনে রোজার পরিসমাপ্তি করছি ও রহমতের আশা নিয়ে ইফতার শুরু করছি। তারপর ‘বিসমিল্লাহি ওয়াআলা বারাকাতিল্লাহ’ বলে ইফতার করা।

28 thoughts on "রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া"

    1. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      Thanks bro ?
  1. Jewel Shikder Jony✅ Author says:
    (১) “নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলিম।”

    – এই দোয়াটি সম্পূর্ন বানোয়াট, এর কোনো ভিত্তি নেই। দুনিয়ার কোনো হাদিস গ্রন্থ্যে এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।
    সুতরাং দয়াকরে না জেনে মানুষকে ভূল এবং বানোয়াট দোয়া শিখাবেন না।

    (২) “আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।”

    – এই দোয়াটির সনদ দূর্বল। এর পরিবর্তে নিম্নের হাদিসটি পড়তে পারেন ↓
    ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ

    “যাহাবায যামা-উ ওয়াবতাল্লাতিল ‘উরুক্বু ওয়াশাবাতাল আজরু ইন শা-আল্লাহ”

    (অর্থাৎ – পিপাসা চলে গেছে, (শরীরের) রগগুলো (শিরা-উপশিরা) সতেজ হয়েছে। আল্লাহর মর্জি হলে সাওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।)

    1. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      রামাদান মুবারাক ✨?
      আল্লাহ আমাদেরকে এই রোজায় সকল গুনাহ মাফ করে নেয়ার তৌফিক দিক। আমিন।
  2. Ferdous Ahmed Author says:
    আপনার পোস্ট দেখে প্রথমে ইগনোর করে গিয়েছিলাম।হঠাৎ করে কি মনে হলো আবার ঢুকলাম।তারপর দোয়াগুলো মুখস্ত করে ফেললাম।এখন আশ্চর্য লাগছে এটা ভেবে যে দোয়াটা তো আমার সারাজীবন কাজে লাগবে।সারাজীবন রোজার সময় দোয়াগুলো পরবো।আপনার কথা সারাজীবন মনে থাকবে কি না জানিনা।তবে আপনার পোস্টের কথা ডায়রিতে অবশ্যই লিখে রাখবো।
    1. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      রামাদান মুবারাক ✨?

      আল্লাহ আমাদেরকে এই রোজায় সকল গুনাহ মাফ করে নেয়ার তৌফিক দিক। আমিন।

  3. mahi189 Contributor says:
    rojar niyot mukhe pora bidat
    1. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      মূল বিষয় হলো নিয়ত করতে হবে এবার এটা আপনি আরবিতে করেন বা বাংলায়, মনে মনে করেন বা উচ্চারণ করে সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার।

      মনে মনে নিয়ত করতে পারলে উচ্চারণ করলে কেন বিদআত হবে?

      হ্যা, যদি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে উচ্চারণ করা হয় তখন সেটা রিয়া হয়ে যাবে। তখন এই নিয়ত কবুল হবেনা। বরং, ছোটখাটো শিরক হয়ে যাবে।

      আর হ্যা, এখানে যে নিয়তটা দেওয়া আছে সেটা বহুল প্রচলিত এবং ভালো একটা ফরম্যাটে আছে অর্থাৎ যেভাবে আমাদের নিয়ত করা উচিত বলেই দেওয়া হয়েছে এবার আপনি চাইলে এভাবেও নিয়ত করতে পারেন বা আপনার মনমত, এভাবেই যে করতে হবে কোন বাধ্যবাধকতা নেই

      Reference:

      ফজর উদয় হওয়ার আগেই অর্থাৎ রাতের মধ্যেই নিয়ত করে ফেলতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

      مَنْ لَمْ يُجْمِعْ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ

      ১. যে ব্যক্তি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই সিয়াম পালনের নিয়ত করল না তার সিয়াম শুদ্ধ হল না। (আবূ দাঊদ : ২৪৫৪)

      مَنْ لَمْ يَبِيْتِ الصِّيَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ

      ২. যে ব্যক্তি রাতের মধ্যেই সিয়ামের নিয়ত করল না তার সিয়াম শুদ্ধ হল না। (এ নির্দেশ শুধুমাত্র ফরয রোযার ক্ষেত্রে) (নাসাঈ : ৪/১৯৬)

    2. jahid71 Contributor says:
      ভাই আপনি আপনার রেফারেন্স গুলো ভালভাবে পড়ে দেখেন৷
      সব যায়গায় দেখেন নিয়ত করতে বলা হয়েছে নিয়ত পড়তে বলা হয়নি। সব যায়গায় নিয়ত করার কথা বলা হয়েছে।
      আর হ্যা আপনি যে আরবি বা বাংলা বাক্য দিয়ে নিয়ত করতে বলেছেন তা কোরআন এবং হাদিসের কোনো যায়গায়ই নেই।আশ্চর্যজনক কথা আল্লাহ তায়ালা এ বাক্যগুলোকে ওহি করে পাঠানও নি আর নবি স. এগুলোকে কখনো আমল করেন নি। আপনি একবার দেখেন, নিয়ত যদি পড়তে হতো নবি স. কি এটা পড়তেন না?আল্লাহ কি এটা একবার ওহি করতেন না? এটা পড়ার প্রয়োজন নাই বলেই তো ওহি হয়নাই। এবার ভেবে দেখেন, আল্লাহ এবং তার রাসুল এটা পড়তে কখনো নির্দেশই দেননি আর আপনি সেটা পড়ার কথা নির্দেশ করছেন। পরোক্ষভাবে আপনি আল্লাহর চেয়েও নিজেকে জ্ঞানী দাবি করছেন, যে আল্লাহ দেন নাই তো কি হইছে আমি তো খুজে পাইছি। নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক। ভাই সব সময় সে কাজটাই আমাদের করতে হবে যেটা আল্লাহ এবং তার রাসুল করতে বলেছেন৷ নতুন কিছু মাথা থেকে বের করে পরে নেয়াটা আমাদের জন্য নিরাপদ নয়৷ কিয়ামত পর্যন্ত খুজে পাবেন না আপনার দেয়া বাক্যগুলো দিয়ে নবি স. নিয়ত মুখে পড়েছেন। যদি পড়তেনই তাহলে তো সে নিয়ত হাদিসেই থাকতো৷ তিনি নিয়ত পড়েন নি বরং করতেন। তাই হাদিসে নিয়ত করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন৷ আসেন ভাই নিজেদের জ্ঞানকে নবি স. এর চেয়ে বড় না বানিয়ে তার সঠিক অনুসরণ করি। আর আপনাকে পোস্ট টি ডিলেট করে দেয়ার অনোরোধ করছি কারনঃ কোন ব্যাক্তি বিদআতের প্রচলন করলে এবং তদনুযায়ী আমল করা হলে তার উপর আমলকারীদের সমপরিমাণ পাপ বর্তাবে এবং তাতে আমলকারীদের পাপের বোঝা আদৌ হালকা হবে না। (ইবনু মাজাহ ১/২০৯)
      জাজাকাল্লাহ খাইরান
  4. Tubelight Contributor says:
    Reference den vai.
    1. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      মূল বিষয় হলো নিয়ত করতে হবে এবার এটা আপনি আরবিতে করেন বা বাংলায়, মনে মনে করেন বা উচ্চারণ করে সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার।

      উচ্চারণ করলে বিদআত হবে এটা হাস্যকর ব্যাপার। মনে মনে নিয়ত করতে পারলে উচ্চারণ করলে কেন বিদআত হবে?

      হ্যা, যদি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে উচ্চারণ করা হয় তখন সেটা রিয়া হয়ে যাবে। তখন এই নিয়ত কবুল হবেনা। বরং, ছোটখাটো শিরক হয়ে যাবে।

      আর হ্যা, এখানে যে নিয়তটা দেওয়া আছে সেটা বহুল প্রচলিত এবং ভালো একটা ফরম্যাটে আছে অর্থাৎ যেভাবে আমাদের নিয়ত করা উচিত বলেই দেওয়া হয়েছে এবার আপনি চাইলে এভাবেও নিয়ত করতে পারেন বা আপনার মনমত, এভাবেই যে করতে হবে কোন বাধ্যবাধকতা নেই

      Reference:

      ফজর উদয় হওয়ার আগেই অর্থাৎ রাতের মধ্যেই নিয়ত করে ফেলতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

      مَنْ لَمْ يُجْمِعْ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ

      ১. যে ব্যক্তি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই সিয়াম পালনের নিয়ত করল না তার সিয়াম শুদ্ধ হল না। (আবূ দাঊদ : ২৪৫৪)

      مَنْ لَمْ يَبِيْتِ الصِّيَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ

      ২. যে ব্যক্তি রাতের মধ্যেই সিয়ামের নিয়ত করল না তার সিয়াম শুদ্ধ হল না। (এ নির্দেশ শুধুমাত্র ফরয রোযার ক্ষেত্রে) (নাসাঈ : ৪/১৯৬)

    2. Tubelight Contributor says:
      করা বা বলার মধ্যে পার্থক্য আশা করি বুঝেন? আপনার হাস্যকর কেন লাগলো আমি সেটা বুঝতে পারলাম না।
      ইসলাম কারো খেয়াল খুশির নাম না, যে এটা আমার ভালো লাগল আর আমি এটা করলাম। ইসলামের নিয়ম কানুন যতটুকু আছে ততটায় মান্য এবং করণীয়। বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে, যে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন,
      “তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।” ৮১ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)
      “যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন করল— যা তাঁর মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।” ৮২ (বুখারী ও মুসলিম)
      মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, “যে ব্যাক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়।”
      বলা বাহুল্য, নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না। যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ বলা হয়।
    3. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      ভাই নিয়ত আর দোয়ার মধ্যে Difference আছে
      কোন নিয়তই Pre-defined না, কারণ নিয়ত কি জিনিস সেটা আগে বুঝেন

      নিয়ত হলো মনের ইচ্ছা বা সংকল্প আর এটা যদি কুরআন বা হাদীসে already থাকতো তাহলে সবার ঐ নিয়তই করা বাধ্যতামূলক হতো

      এখানে যে নিয়তটা দেওয়া হয়েছিলো সেটা শুধুমাত্র আপনি কিভাবে রোজা রাখার জন্য intention সেট করবেন ঐ হিসেবেই নিতে পারতেন, এখন যদি দোয়া মনে করেন তখন তো বিদআত হবেই বা মনে করেন ঐটা না পড়লে রোজা হবেনা তখন তো বিদআত হবেই।

      যাই হোক, আপনাদের কনফিউশন দূর করার জন্য পোস্ট Reference সহ আপডেট করা হয়েছে ।

    4. Tubelight Contributor says:
      নিয়ত হলো (মনের ইচ্ছা বা সংকল্প করা) এই কথাটা আগে ভালো ভাবে বুঝেন। মনের ইচ্ছা আর মুখে বলা এক বিষয় না। অর্থেরি বিকৃতী কেন করছেন? ”মনের ইচ্ছে” বা ”সংকল্প করা” আচ্ছা আমায় বলেন হাতের কাজ কি পা দিয়ে হয়? তাহলে মনের কাছ জোর করে কেন বার বার মুখে করাচ্ছেন? দ্বিতীয় কথা বিতাদ শুধু দোয়র জন্য না সমস্ত ইবাদতে যা যা নব আবিষ্কৃত হবে সবই বিদাত। সাপের মন্ত্র না পড়ে যা পড়ছেন বুঝে পড়েন।
      তৃতীয় কথা ইফতারের যে দোয়াটা দিছেন সেই হাদিসের মান ”যইফ” ضعيف এর আভিধানিক অর্থ দুর্বল। ইমাম নববী [রহ:]বলেন, যে হাদীছে সহীহ ও হাসান হাদিসের শর্তসমূহ পাওয়া যায় না, তাকেই যঈফ হাদিস বলে। [ইমাম নববী, মুক্বাদ্দামাহ মুসলিম পৃঃ ১৭]

      মোটকথা যয়ীফ ওই সকল হাদিসকে বলা হয়, যার মধ্যে সহীহ এবং হাসানের শর্তগুলো পরিপূর্ণরূপে বিদ্যমান থাকবে না। অর্থাৎ, রাবীর বিশ্বস্ততার ঘাটতি, বা তাঁর বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণনা বা স্মৃতির ঘাটতি, বা সনদের মধ্যে কোন একজন রাবী তাঁর ঊর্ধ্বতন রাবী থেকে সরাসরি ও স্বকর্ণে শোনেননি বলে প্রমানিত হওয়া বা দৃঢ় সন্দেহ হওয়া, বা অন্যান্য প্রমানিত হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া, অথবা সূক্ষ্ম কোন সনদগত বা অর্থগত ত্রুটি থাকা ইত্যাদি যে কোন একটি বিষয় কোন হাদীসের মধ্যে বিদ্যমান থাকলে ঐ হাদিসটি যঈফ বলে গণ্য।

      বিসমিল্লাহ বলে ইফতার করতে হবে । খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নাত। খেজুর না থাকলে পানি দিয়ে ইফতার করা উত্তম।
      ইফতারের পড়ে দোয়া পড়তে হবে। ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
      সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) – হাদিস নম্বরঃ 2357 হাদিসের মানঃ হাসান

    5. Tubelight Contributor says:
      নিয়ত হলো (মনের ইচ্ছা বা সংকল্প করা) এই কথাটা আগে ভালো ভাবে বুঝেন। মনের ইচ্ছা আর মুখে বলা এক বিষয় না। অর্থেরি বিকৃতী কেন করছেন? ”মনের ইচ্ছে” বা ”সংকল্প করা” আচ্ছা আমায় বলেন হাতের কাজ কি পা দিয়ে হয়? তাহলে মনের কাছ জোর করে কেন বার বার মুখে করাচ্ছেন? দ্বিতীয় কথা বিতাদ শুধু দোয়র জন্য না সমস্ত ইবাদতে যা যা নব আবিষ্কৃত হবে সবই বিদাত। সাপের মন্ত্র না পড়ে যা পড়ছেন বুঝে পড়েন।
      তৃতীয় কথা ইফতারের যে দোয়াটা দিছেন সেই হাদিসের মান ”যইফ” ضعيف এর আভিধানিক অর্থ দুর্বল। ইমাম নববী [রহ:]বলেন, যে হাদীছে সহীহ ও হাসান হাদিসের শর্তসমূহ পাওয়া যায় না, তাকেই যঈফ হাদিস বলে। [ইমাম নববী, মুক্বাদ্দামাহ মুসলিম পৃঃ ১৭]
    6. Tubelight Contributor says:
      মোটকথা যয়ীফ ওই সকল হাদিসকে বলা হয়, যার মধ্যে সহীহ এবং হাসানের শর্তগুলো পরিপূর্ণরূপে বিদ্যমান থাকবে না। অর্থাৎ, রাবীর বিশ্বস্ততার ঘাটতি, বা তাঁর বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণনা বা স্মৃতির ঘাটতি, বা সনদের মধ্যে কোন একজন রাবী তাঁর ঊর্ধ্বতন রাবী থেকে সরাসরি ও স্বকর্ণে শোনেননি বলে প্রমানিত হওয়া বা দৃঢ় সন্দেহ হওয়া, বা অন্যান্য প্রমানিত হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া, অথবা সূক্ষ্ম কোন সনদগত বা অর্থগত ত্রুটি থাকা ইত্যাদি যে কোন একটি বিষয় কোন হাদীসের মধ্যে বিদ্যমান থাকলে ঐ হাদিসটি যঈফ বলে গণ্য।

      বিসমিল্লাহ বলে ইফতার করতে হবে । খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নাত। খেজুর না থাকলে পানি দিয়ে ইফতার করা উত্তম।
      ইফতারের পড়ে দোয়া পড়তে হবে। ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
      সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) – হাদিস নম্বরঃ 2357 হাদিসের মানঃ হাসান

  5. Jewel Shikder Jony✅ Author says:
    উপরে বর্ণিত সেহেরির দোয়াটা বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং দুনিয়ার কোনো হাদিস গ্রন্থ্যে এটি পাওয়া যায় না।
    উপরের বর্ণিত ইফতারের দোয়াটির সনদ দূর্বল।
    1. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      মূল বিষয় হলো নিয়ত করতে হবে এবার এটা আপনি আরবিতে করেন বা বাংলায়, মনে মনে করেন বা উচ্চারণ করে সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার।

      উচ্চারণ করলে বিদআত হবে এটা হাস্যকর ব্যাপার। মনে মনে নিয়ত করতে পারলে উচ্চারণ করলে কেন বিদআত হবে?

      হ্যা, যদি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে উচ্চারণ করা হয় তখন সেটা রিয়া হয়ে যাবে। তখন এই নিয়ত কবুল হবেনা। বরং, ছোটখাটো শিরক হয়ে যাবে।

      আর হ্যা, এখানে যে নিয়তটা দেওয়া আছে সেটা বহুল প্রচলিত এবং ভালো একটা ফরম্যাটে আছে অর্থাৎ যেভাবে আমাদের নিয়ত করা উচিত বলেই দেওয়া হয়েছে এবার আপনি চাইলে এভাবেও নিয়ত করতে পারেন বা আপনার মনমত, এভাবেই যে করতে হবে কোন বাধ্যবাধকতা নেই

      Reference:

      ফজর উদয় হওয়ার আগেই অর্থাৎ রাতের মধ্যেই নিয়ত করে ফেলতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

      مَنْ لَمْ يُجْمِعْ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ

      ১. যে ব্যক্তি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই সিয়াম পালনের নিয়ত করল না তার সিয়াম শুদ্ধ হল না। (আবূ দাঊদ : ২৪৫৪)

      مَنْ لَمْ يَبِيْتِ الصِّيَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ

      ২. যে ব্যক্তি রাতের মধ্যেই সিয়ামের নিয়ত করল না তার সিয়াম শুদ্ধ হল না। (এ নির্দেশ শুধুমাত্র ফরয রোযার ক্ষেত্রে) (নাসাঈ : ৪/১৯৬)

    2. Jewel Shikder Jony✅ Author says:
      * শাক দিয়ে আর কতোদিন মাছ ঢাকবেন? এভাবে বেদাত টিকিয়ে কি মজা পান? বেদাত মানে কি মনে হয় তাই জানেন না। বেদাত হলো সেটাই, যেটা রসুল (সাঃ) করেন নি বা অনুমতি দেন নি, সেটাকে ভালো/নেকির কাজ মনে করে করা।
      * যখন কেউ সেহেরি খায় সে কোন নিয়তে খায়? সে যে নিয়তে খায় সেটাই আসল নিয়ত।
      * আর পারলে আপনি যে নিয়তের দোয়া মানুষকে শিখাচ্ছেন আর দলিল পেশ করেন (যদি থাকে)। কিন্তু আপনি তা পারবেন না। সুতরাং এই দোয়া পড়ে নেকির আশা করলে অবশ্যই তা বেদাত হবে।
      * দোয়াটির অর্থেও ব্যাপক এবং ভয়ংকর ভূল রয়েছে।
    3. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      ভাই নিয়ত আর দোয়ার মধ্যে Difference আছে
      কোন নিয়তই Pre-defined না, কারণ নিয়ত কি জিনিস সেটা আগে বুঝেন

      নিয়ত হলো মনের ইচ্ছা বা সংকল্প আর এটা যদি কুরআন বা হাদীসে already থাকতো তাহলে সবার ঐ নিয়তই করা বাধ্যতামূলক হতো

      এখানে যে নিয়তটা দেওয়া হয়েছিলো সেটা শুধুমাত্র আপনি কিভাবে রোজা রাখার জন্য intention সেট করবেন ঐ হিসেবেই নিতে পারতেন, এখন যদি দোয়া মনে করেন তখন তো বিদআত হবেই বা মনে করেন ঐটা না পড়লে রোজা হবেনা তখন তো বিদআত হবেই।

      যাই হোক, আপনাদের কনফিউশন দূর করার জন্য পোস্ট Reference সহ আপডেট করা হয়েছে ।

  6. jahid71 Contributor says:
    amভাই আপনি আপনার রেফারেন্স গুলো ভালভাবে পড়ে দেখেন৷ সব যায়গায় দেখেন নিয়ত করতে বলা হয়েছে নিয়ত পড়তে বলা হয়নি। সব যায়গায় নিয়ত করার কথা বলা হয়েছে। আর হ্যা আপনি যে আরবি বা বাংলা বাক্য দিয়ে নিয়ত করতে বলেছেন তা কোরআন এবং হাদিসের কোনো যায়গায়ই নেই।আশ্চর্যজনক কথা আল্লাহ তায়ালা এ বাক্যগুলোকে ওহি করে পাঠানও নি আর নবি স. এগুলোকে কখনো আমল করেন নি। আপনি একবার দেখেন, নিয়ত যদি পড়তে হতো নবি স. কি এটা পড়তেন না?আল্লাহ কি এটা একবার ওহি করতেন না? এটা পড়ার প্রয়োজন নাই বলেই তো ওহি হয়নাই। এবার ভেবে দেখেন, আল্লাহ এবং তার রাসুল এটা পড়তে কখনো নির্দেশই দেননি আর আপনি সেটা পড়ার কথা নির্দেশ করছেন। পরোক্ষভাবে আপনি আল্লাহর চেয়েও নিজেকে জ্ঞানী দাবি করছেন, যে আল্লাহ দেন নাই তো কি হইছে আমি তো খুজে পাইছি। নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক।
  7. jahid71 Contributor says:
    ভাই সব সময় সে কাজটাই আমাদের করতে হবে যেটা আল্লাহ এবং তার রাসুল করতে বলেছেন৷ নতুন কিছু মাথা থেকে বের করে পরে নেয়াটা আমাদের জন্য নিরাপদ নয়৷ কিয়ামত পর্যন্ত খুজে পাবেন না আপনার দেয়া বাক্যগুলো দিয়ে নবি স. নিয়ত মুখে পড়েছেন। যদি পড়তেনই তাহলে তো সে নিয়ত হাদিসেই থাকতো৷ তিনি নিয়ত পড়েন নি বরং করতেন। তাই হাদিসে নিয়ত করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন৷ আসেন ভাই নিজেদের জ্ঞানকে নবি স. এর চেয়ে বড় না বানিয়ে তার সঠিক অনুসরণ করি। আর আপনাকে পোস্ট টি ডিলেট করে দেয়ার অনোরোধ করছি কারনঃ কোন ব্যাক্তি বিদআতের প্রচলন করলে এবং তদনুযায়ী আমল করা হলে তার উপর আমলকারীদের সমপরিমাণ পাপ বর্তাবে এবং তাতে আমলকারীদের পাপের বোঝা আদৌ হালকা হবে না। (ইবনু মাজাহ ১/২০৯) জাজাকাল্লাহ খাইরান
    1. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
      ভাই নিয়ত আর দোয়ার মধ্যে Difference আছে
      কোন নিয়তই Pre-defined না, কারণ নিয়ত কি জিনিস সেটা আগে বুঝেন

      নিয়ত হলো মনের ইচ্ছা বা সংকল্প আর এটা যদি কুরআন বা হাদীসে already থাকতো তাহলে সবার ঐ নিয়তই করা বাধ্যতামূলক হতো

      এখানে যে নিয়তটা দেওয়া হয়েছিলো সেটা শুধুমাত্র আপনি কিভাবে রোজা রাখার জন্য intention সেট করবেন ঐ হিসেবেই নিতে পারতেন, এখন যদি দোয়া মনে করেন তখন তো বিদআত হবেই বা মনে করেন ঐটা না পড়লে রোজা হবেনা তখন তো বিদআত হবেই।

      যাই হোক, আপনাদের কনফিউশন দূর করার জন্য পোস্ট Reference সহ আপডেট করা হয়েছে ।য়েছে ।

    2. jahid71 Contributor says:
      আমার ধারনা আমি কি বলেছি সেটা না পড়েই আপনি উত্তর দিয়েছেন। আমার লেখা টা পড়ার অনুরোধ করছি।আমি আপনার খারাপের জন্য বলছি না ভাই, আপনার দাওয়াত এর জন্য এবং ভালোর জন্য বলছি
  8. Alim Khan Author says:
    এই রকম কোন নিয়ত ই নাই।।। আপনারা কোথায় পান এসব
  9. Kazi Mahbubur Rahman Author Post Creator says:
    ভাই নিয়ত আর দোয়ার মধ্যে Difference আছে
    কোন নিয়তই Pre-defined না, কারণ নিয়ত কি জিনিস সেটা আগে বুঝেন

    নিয়ত হলো মনের ইচ্ছা বা সংকল্প আর এটা যদি কুরআন বা হাদীসে already থাকতো তাহলে সবার ঐ নিয়তই করা বাধ্যতামূলক হতো

    এখানে যে নিয়তটা দেওয়া হয়েছিলো সেটা শুধুমাত্র আপনি কিভাবে রোজা রাখার জন্য intention সেট করবেন ঐ হিসেবেই নিতে পারতেন, এখন যদি দোয়া মনে করেন তখন তো বিদআত হবেই বা মনে করেন ঐটা না পড়লে রোজা হবেনা তখন তো বিদআত হবেই।

    যাই হোক, আপনাদের কনফিউশন দূর করার জন্য পোস্ট Reference সহ আপডেট করা হয়েছে ।

  10. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    রমজান মুবারক

Leave a Reply