মাশরাফি-সাকিবেরা লড়েন লাল-সবুজ পতাকার
দলটির
জন্যই। কিন্তু আজ খুলনার শেখ আবু নাসের
স্টেডিয়ামে লাল ও
সবুজ দুই দলে ভাগে হয়ে গেল! লাল দলের নেতৃত্বে
মাশরাফি
বিন মুর্তজা। সবুজের নেতৃত্বে সাকিব আল হাসান।
ম্যাচ হলো
দুটি। প্রথমটিতে জয় সাকিবদের, দ্বিতীয়টিতে
মাশরাফিরা।
আগেই জানা গিয়েছিল, প্রাথমিক দলে থাকা ২৪
জন দুভাগ
হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দুটি। ম্যাচ দুটি হলেও
টস হলো
একবারই। তাতে জিতে সকালের ম্যাচে ফিল্ডিং
করার
সিদ্ধান্ত নিল মাশরাফির লাল দল।
সবুজ দলের ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিরলেন শূন্য
রানে। এর
পর মুশফিকুর রহিমের ৫৭, এনামুল হকের ৩২ রানে
চ্যালেঞ্জিং স্কোরই পেল সবুজ দল। নির্ধারিত ২০
ওভারে
সাকিবদের রান ৬ উইকেটে ১৫১।
ম্যাচে লাল দলের সবচেয়ে সফল বোলার সাব্বির
রহমান। ৪
ওভারে ২০ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। সবচেয়ে খরুচে
ছিলেন
আবু হায়দার। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৯ রান,
পেয়েছেন ১
উইকেট।
১৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে

লাল দল।
সৌম্য সরকার ফিরেছেন মাত্র ২ রানে। তবে
তামিম ইকবাল এগোচ্ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দেই। আল
আমিনের এক ওভারেই
মারলেন চারটি বাউন্ডারি। ডাউন দ্য উইকেটে পর
পর দুই
চার। রানআউট হয়ে ফেরার আগে তামিমের রান
২৮।
তামিমের রানটাই লাল দলের সর্বোচ্চ হয়ে থাকল।
নির্ধারিত ২০ ওভারে মাশরাফিরা তুলতে
পারলেন ৬
উইকেটে ১৩২। সবুজ দলের অধিনায়ক সাকিব নিলেন
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট।
বিকেলের ম্যাচ হলো ঠিক উল্টো। এবার আগে
ব্যাটিং করল
লাল দল। দারুণ শুরু করলেন দুই ওপেনার তামিম ও
সৌম্য।
উদ্বোধনী জুটি ৩৫ বলে আনল ৪২। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ
হওয়ার
পর সৌম্য দ্বিতীয়টিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত
দিয়েছিলেন।
কিন্তু আল আমিনের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ
দিয়ে থামলেন
২৮ রানেই । ২ রানের জন্য ফিফটি হাতছাড়া
হয়েছে তামিমের। এর পর নুরুল হাসানের ২৯ রান
ছাড়া বলার মতো
আর কোনো ইনিংস নেই লাল দলের। মাশরাফির
দলের রান
শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৪৫। সবুজ দলের কামরুল, আল
আমিন ও
শহীদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এ রানটাই তাড়া করতে পারল না সবুজ দল।
সাকিবের ৩৩ ও
মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত ৩৯ রান
পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে। মন্থর গতিতে
এগোতে থাকা সবুজ দল
২০ ওভারে করতে পারল ৯ উইকেটে ১২৩। মাশরাফি,
সাকলাইন সজীব ও তাসকিন প্রত্যেকের ২টি করে
উইকেট।
জয়-পরাজয় ছাপিয়ে প্রস্তুতিই তো মুখ্য। তাই
পারফরম্যান্সের বিষয়টি চলে আসছে প্রথমে। দু-
একটি ক্যাচ
পড়লেও ফিল্ডিং অনুশীলনটা মন্দ হয়নি। সবচেয়ে
ভালো
হয়েছে বোলিং। দুবারই ম্যাচ জিতিয়েছেন
বোলাররা।
ব্যাটিংটাই ভালো হলো না। দুপুরে সৌম্য নিজেই
জানালেন,
উইকেট ভালো। তবুও রান হলো না পর্যাপ্ত।
মুশফিক-তামিম ছাড়া ১৪ জনের দলে থাকা কেউ
আশাব্যঞ্জক ব্যাটিং করতে
পারেননি।
সিরিজের আগে আর কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে
না
বাংলাদেশ। কাল বিকেল থেকে শুরু হবে অনুশীলন।

ভাল লাগলে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন
3GTune.Com
ফেসবুকে আমি

Leave a Reply