স্মার্টফোন, ট্যাবলেট পিসি বা টেলিভিশনের
আলো।
রাতের বেলা মাত্র এক ঘণ্টা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট
পিসি, টেলিভিশন ইত্যাদির পর্দার আলোর সংস্পর্শে
আসলে টিনএজারদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, পর্দার আলোর
কারণে শরীরে ঘুমের জন্য দায়ি হরমোনের
নিঃসরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রোড আইল্যান্ড‘স ব্রাউন ইউনিভার্সিটির
গবেষকদের মতে, বয়স্ক কৈশোরদের তুলনায়
প্রাথমিক পর্যায়ের বয়ঃসন্ধিকালে বা ৯ থেকে ১৫
বছর বয়সি ছেলে ও মেয়েদের ‘স্লিপ
বায়োলাজি’ রাতের বেলা আলোর প্রতি
সংবেদনশীল হয়ে থাকে।
গবেষণাগারের পরীক্ষায় গবেষকরা দেখেন,
তাকিয়ে থাকার কারণে ১১ থেকে ১৬ বছর
বয়সিদের তুলনায় আরও তরুণদের শরীরে ঘুমের
জন্য দায়ী হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন
উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
আলো যত বেশি উজ্জ্বল হয়, মেলাটোনিনের
উৎপাদন ততটাই কমে।
আর ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই এই
প্রভাব সমান।
গবেষণার জ্যেষ্ঠ গবেষক, মনোরোগবিদ্যা ও
মনুষ্য আচরণবিদ্যার অধ্যাপক মেরি সারস্কাডন বলেন,
“রাতে সামান্য আলো যেমন স্ক্রিনের আলো
ঘুমের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার জন্য
যথেষ্ট।”
যেসব শিক্ষার্থী ট্যাবলেট, কম্পিউটার, টেলিভিশন,
এমনকি পড়ার জন্য চাদরের নিচে টর্চলাইট ব্যবহার
করেন, তাদের ‘সার্কাডিয়ান ক্লক’ বা শরীরের ২৪
ঘণ্টার জৈবিক ঘড়ির হিসাবে গোলমাল বেঁধে যায়।
সারস্কাডন বলেন, “এই কারণে রাতে ঘুম আসে না
থেকে উঠতেও সমস্যা হয়।”
জার্নাল অফ ক্লিনিকাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড
মেটাবলিজম নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার
প্রতিবেদনে গবেষকরা জানান, ঘুমের সময় শিশু ও
তাদের বাবা-মায়ের এই ধরনের ‘স্ক্রিন’য়ের ব্যবহার
কমানো উচিত।”
One thought on "তরুণদের ঘুমের শত্রু"