চওড়া মুখে হাসুন :

তরুণ, মধ্যবয়সী ও বুড়ো বয়সের কয়েক হাজার মানুষকে দেখতে দেয়া হয় প্রচুর সংখ্যক মডেলের ছবি। তাদের বলা হয় ছবির লোকগুলোর বয়স কত তা আন্দাজ করে বলতে। এসব ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের চেহারার অভিব্যক্তি। স্বাভাবিক অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা ছবিগুলোর লোকদের বয়স বলা হয়েছিল সবচেয়ে বেশি সঠিকভাবে।
যেসব ছবির মুখগুলোতে ছিল বয়সের ছাপ, সেগুলোকে মনে হয়েছিল প্রকৃত বয়সের তুলনায় বেশি বয়সী। আর হাসিখুশি তরুণ মুখগুলোর ছবির মানুষকে মনে হয়েছিল অপেক্ষাকৃত কম বয়সের। অতএব সব সময় যথাসম্ভব হাসিখুশি থাকুন, আপনাকে প্রকৃত বয়সের তুলনায় কম বয়সী লাগবে।
তরুণদের জিজ্ঞাসা করুন :
কারো বয়স সম্পর্কে আন্দাজ করতে বলা হলে দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত বয়স্করা প্রকৃত বয়সের তুলনায় সাধারণত এক বছর বাড়িয়ে বলেন। আর তরুণদের জিজ্ঞাসা করলে এরা প্রকৃত বয়সের তুলনায় সাধারণত এক বছর কমিয়ে বলে। অতএব যিনি আপনাকে দেখছেন তিনি বয়স্ক না তরুণ তাও একটি বিবেচ্য বিষয়।
কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বুড়োরা বয়স লুকানোর চেষ্টা তেমন করেন না, তবে তরুণেরা তা করে।
হার্টের যত্ন নিন :
আপনাকে দেখতে বয়স্ক মনে হলে আপনার হার্টেও সে খবর পৌঁছে গেছে। নতুন এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব মানুষকে কম বয়সেই বয়স্ক মানুষ বলে মনে হয়, তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কোপেনহেগেন হার্ট স্টাডির অংশ হিসেবে ৪০ বছর বয়সী ১১ হাজার লোকের ওপর এক গবেষণা পরিচালনা করা হয়। এদের সবার মধ্যে ৩-৪ জন করে বুড়িয়ে যাওয়ার ছাপ লক্ষ করা গিয়েছিল।
এ ছাপগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল মাথার তালুতে টাকপড়া, কপালের দুই পাশের চুলের রেখা ওপরের দিকে উঠে যাওয়া, কানের লতিতে দাগ পড়া, চোখের পাতার নিচে তৈলাক্ত পদার্থ জমা। দেখা গেছে এদের ৫৭ শতাংশেরই হার্ট অ্যাটাকের বর্ধিত সম্ভাবনা প্রবল ছিল। আর ৩৯ শতাংশের বর্ধিত আশঙ্কা রয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার। এ থেকে বোঝা যায় এসব চিহ্ন আমাদের জৈবিক বছরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, প্রকৃত বয়সের সঙ্গে নয়।
এ অভিমত প্রফেসর অ্যানিটিবজায়ের্গ ব্যানসেনের। তিনি বলেন, প্রতিটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় এসব বয়সের ছাপ চিহ্নগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা দরকার। চোখের চার পাশে তৈলাক্ত পদার্থ জমা হার্টঅ্যাটাক ও হার্ট ডিজিজ হওয়ার প্রবল নির্দেশক। তেমনি ঢিলেঢালা চোখও হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ডিজিজের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।
চা-বিরতি :
অপর একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, দুধ ও চিনি ছাড়া দিনে ৩ কাপ চা পান করলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ট্রিলিচারাইডস হচ্ছে এক ধরনের রক্তচর্বি যা ধমনীকে বন্ধ করে দিতে পারে। দিনে তিন কাপ দুধ-চিনিহীন চা পান করলে এই ট্রিলিচারাইডস পুরুষদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ ও মহিলাদের মধ্যে ২৯ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
মাথাঘোরা বন্ধ করা :
মাথাঘোরা সমস্যাটি বন্ধ করা যায় বিস্ময়কর এক সাধারণ কৌশল অবলম্বন করে। এর জন্য প্রয়োজন মাথা অভিবাদনের ভঙ্গিতে বারবার মাথা নোয়ানো ও মাথা ওপর দিকে তোলা কিংবা মাথা একবার ডানে ও একবার বামে ঘোরানোর কাজটি কয়েকবার করা।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা এটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা অনুসরণ করে মাত্র এক সপ্তাহ এই ব্যায়াম অনুশীলন করেছে তাদের মাথাঘোরা কমে গেছে। এই অঙ্গসঞ্চালণ মগজকে শেখায় কী করে চলাচলের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো যায়। এর ফলে মাথা ঘোরা কমে যায়।
আমার ব্লগ সাইটঃ HamWap.Com সবাই ভিজিট করবেন আসা করছি।।

3 thoughts on "বয়স ধরে রাখতে যা যা করবেন"

  1. JrJisan Contributor says:
    ajaira post
    1. K.H.TonmoY Author Post Creator says:
      tai

Leave a Reply