রীতিমত সবাইকে তাক লাগিয়েই হঠাৎ সিদ্ধান্তটা নিয়ে

ফেললো বিসিসিআই (বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া) । বাদ দেয়া হলো দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আইপিএলের সাথে জড়িয়ে থাকা খ্যাতিমান ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেকে।

আর তাই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ধারাভাষ্য শোনা যাবে না হার্শা ভোগলের কণ্ঠ। আইপিএলের শুরু থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সাথে ছিলেন ৫৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেট বিশ্লেষক। যদিও আইপিএলের সম্প্রচার সত্ত্ব সনি নেটওয়ার্কের। তবে, টুর্নামেন্টের প্রোডাকশনের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে খোদ বিসিসিআই। আর তাই হার্শাকে চাইলেও রাখতে পারবে না আইপিএল কর্তৃপক্ষ। 

নবম আইপিএল টুর্নামেন্ট শুরুর একেবারে প্রাক্কালে হার্শা ভোগলেকে এই ব্যাপারে জানানো হয়। ব্যাপারটা খুবই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে, কেননা এই নবম আসরের নিলাম অনুষ্ঠানও পরিচালনা করেন তিনি।

আর এই ছাটাই ঘটনার পিছে লুকিয়ে থাকা কারণ ইতোমধ্যে খুঁজতে শুরু করেছে দেশী-বিদেশী সমস্ত ক্রিকেটমহল। বিসিসিআই কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতন্ডা, বিশ্বকাপ চলাকালে নাগপুরের ঘটনা, এ সমস্ত বিষয় কারণ হিসেবে উঠে আসলেও সবথেকে বড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে বিশ্বকাপ চলাকালে হার্শার বাংলাদেশ দলের পক্ষে কথা বলা।

গত ১৯শে মার্চ বিশ্বকাপের সুপার টেন পর্বে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ চলাকালে হার্শা ভোগলে তার ধারাভাষ্যের পুরোটা সময়ই বাংলাদেশের গুণগান গেয়ে কথা বলেন। এমনকি বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যাবার পরেও নিজ দেশ ভারতকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ দলকেই বারবার শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেন হার্শা। আর ম্যাচের পর থেকে ঠিক এমন অভিযোগটিই বারবার উঠে এসেছে হার্শার বিপক্ষে। এমনকি অমিতাভ বচ্চন, মহেন্দ্র সিং ধোনীরাও হার্শার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রোষ ঝাড়তে থাকেন।

একরকমের বিরক্ত হয়েই অমিতাভ বচ্চন টুইট করেন, ‘সম্মান রেখে বলছি, সবসময় অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়দের গুণগান করা কমিয়ে একজন ভারতীয় ধারাভাষ্যকারের উচিত নিজ দেশের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে কথা বলা।’

  ””
এবং অমিতাভের এই টুইটের প্রত্যুত্তরে হার্শা টুইটে আবারো বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এবং এখন আবারো বলবো, এই দলটাই আমার দেখা সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে পূর্ণ বাংলাদেশ দল ‘।
””

হার্শার এমন আচরণে তখন থেকেই ভারতীয় মিডিয়ায় হার্শার মুন্ডুপাত শুরু হয়। পরবর্তীতে ধোনীসহ আরো অনেকেই হার্শার বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেন।

এতকিছুর পর হার্শার বিরুদ্ধে কিছু একটা ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, এমনটাই যখন ভাবছিলো ভারতীয় ক্রিকেটবোদ্ধারা, ঠিক তখনই আইপিএল শুরুর প্রাক্কালে এমন সিদ্ধান্ত নিলো বিসিসিআই।

যদিও, বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর বা আইপিএল চেয়ারম্যান রাজিব শুক্লা এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক সিনিয়র সদস্য বলেন, ‘ধারাভাষ্যকারদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা সবার মতামত নেই। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মন্তব্য গুলো মাথায় রাখি। খেলোয়াড়দেরও সেখানে বলার সুযোগ থাকে।

ছাটাই হওয়াতে বেশ অবাক হার্শা ভোগলে নিজেও। তিনি দুঃখ নিয়ে টুইটারে লিখেছেন, “আবার আইপিএলের অংশ হতে পারলে ভালো লাগতো। আসলে এর সাথেই ছিলাম। প্রিয় টুর্নামেন্ট। আশা করি আইপিএল-৯ ব্লকবাস্টার হবে।”
_____
ভাল ভাল টিপস পেতে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন TipsaLL24.com
_______________________________________________________
ফেছবুকে আমার আইডি

Leave a Reply