রোজ রাতে একটু নিজের পরিচর্যা
করে ঘুমালে জীবনভর সুস্থ-সুন্দর
থাকা খুবই সম্ভব।’ ত্বক সুন্দর ত্বকের
মূলমন্ত্রই হলো পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা।
‘ত্বকের ময়লা ঠিকমত পরিষ্কার করা না
হলে পিম্পল, ব্রণ (অ্যাকনে), র্যাশ
হতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে
খসখসে, রুক্ষ, অমসৃণ। তাই রাতে
ঘুমানোর আগে মুখটাকে পরিষ্কার
করে ঘুমালে সারা রাতের লম্বা সময়
ত্বক একেবারে তরতাজা থাকবে।’তবে
সবকিছুর আগে বুঝে নিতে হবে
নিজের ত্বকের ধরন, যা নিজেই
পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি
দেখেন— নাকের দুই পাশ, গাল অতিরিক্ত
তেলতেলে হয়ে আছে, তাহলে
ত্বক অবশ্যই তৈলাক্ত। মুখটা বেশ টান ও
শুকনো থাকলে, পিম্পলের তেমন
প্রবণতা না হলে ত্বক একেবারে শুষ্ক
থাকে। নাকের ওপর ও দুই পাশে
তৈলাক্ত, কিন্তু বাকিটা চেহারায় টান টান ভাব
থাকলে ত্বকের ধরন মিশ্র। তারপরও
অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞের
পারামর্শ নিয়ে আপনার ত্বকের ধরন
আগে যাচাই করে নিতে পারেন। ধরন
বুঝে করতে হবে যত্ন। ত্বকের
যত্নে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং
করতে হবে ঘুমানোর আগে।
রাতের রুপ চর্চা
ধাপ-১
প্রথমে মুখ ধুয়ে নিন আপনার ত্বকের
সঙ্গে খাপ খায় এমন কোনো
ফেসওয়াশ দিয়ে। স্পর্শকাতর ত্বক
হলে ব্যবহার করতে পারেন ভেষজ
ধাপ-২
এরপর ব্যবহার করুন ফেসপ্যাক। ঘরেই
তা বানাতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য
১ টেবিল চামচ উপটান+১ চা চামচ টকদই+১
চা চামচ দুধের সর বা দুধ।
তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য: ১ টেবিল
চামচ উপটান+১ চা চামচ টকদই+১ চা চামচ
লেবুর রস। এগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে
মুখে লাগান।পুরোটা শুকাবেন না,
অর্ধেক শুকিয়ে এলে মুখ হালকা ঘষে
ধুয়ে ফেলুন। প্যাকে মেশাতে
পারেন গোলাপজল, যা সব ধরনের
ত্বকের জন্য ভালো।
ধাপ-৩
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে শুষ্ক ত্বকের
অধিকারীরা ভেজা মুখে স্রেফ ২-৩
ফোঁটা যে কোনো বেবি অয়েল
মেখে নিন। তৈলাক্ত ত্বকে
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করাই উচিত।
ব্রণের জন্য যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও
ব্রণ আছে, তারা প্যাক ধুয়ে ফেলে
ময়েশ্চারাইজারের বদলে ব্যবহার করুন
অ্যাসট্রিনজেন্ট। ঘরোয়া
অ্যাসট্রিনজেন্ট হলো গোলাপজল ও
শসার রস। এগুলো ফ্রিজে রেখে
ঠাণ্ডা করে নিলে আরও ভালো। শসার
রস করে বরফ জমানোর পাত্রে
রেখে আইস-কিউব করে নিতে
পারেন। প্রতি রাতে রস বানানোর
ঝামেলায় না গিয়ে একটি কিউব মুখে
ঘষে নিন। সমপরিমাণে পুদিনা পাতা ও নিমপাতা
বেটে শুধু ব্রণ ও দাগের ওপর লাগিয়ে
ঘুমান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন।
পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন
ফেসপ্যাকেও। ব্রণের জন্য ভীষণ
উপকারী।
চোখ: চোখের ডার্ক সার্কেল
কমাতে ঘুমানোর আগে কুরানো শসা বা
চোখের ওপর দিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট।
হাত ও পা: প্রতি রাতে পা ধুয়ে লোশন
লাগিয়ে ঘুমাতে যান। এছাড়া নিয়মিত যত্ন
হিসেবে সপ্তাহে দু-একবার যেটা
করতে পারেন তা হলো— রাতে পা
প্রথমে সাবানদিয়ে পরিষ্কার করে, ২
টেবিল চামচ কুসুম গরম অলিভ অয়েল+১
চা চামচ লবণের মিশ্রণ তৈরি করে সেটা
পায়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এতে
মৃতকোষ ঝরে যাবে, গোড়ালি নরম
হবে, ম্যাসাজে রক্ত চলাচল ভালো
হবে। এর বদলে মুখের জন্য যে
স্ক্রাব ব্যবহার করেন, তা দিয়েও ম্যাসাজ
করতে পারেন। ধুয়ে লোশন লাগিয়ে
শুয়ে পড়ুন। সারাদিন পর পা দুটোকে
যথোপযুক্ত আরাম দিন। হাতের যত্নও
নিতে পারেন একইভাবে। মুখ, হাত, পা
যে কোনো ম্যাসাজই করতে হবে
হালকা হাতে, আলতোভাবে। তা না হলে
হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।
চুল: যাদের বড় চুল, তারা বেণী করে
নিন ঘুমানোর আগে। তাতে চুল সারা রাত
ঘষা খাবে না। ছোট চুল হলে খোলা
রেখে শুলেও অসুবিধা নেই। তেল
ম্যাসাজ করে শুলে ঘুম ভালো হবে।
One thought on "রাতের ১০ মিনিটের রূপচর্চা আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় সুন্দর!"