খুশকি আপনার মাথার চুলের তো ক্ষতি
করছেই, তার ওপরে এটা আবার মুখে ব্রণও
সৃষ্টি করতে পারে। তাই যত
তাড়াতাড়ি সম্ভব খুশকি দূর করাই
বাঞ্ছনীয়।
এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহারে খুশকি
দূর হতে পারে। তবে আমরা প্রাকৃতিক
কিছু টিপস দেখানোর চেষ্টা করবো।
যা অনুসরণ করলে আপনি কোনো ধরনের
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুশকি
থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

১ . ৩-৪ টুকরা লেবু নিন এবং ৪-৫ কাপ
পানির মধ্যে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে
সেদ্ধ করুন। এরপর এটি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করুন। এবার আপনার মাথার চুল
ধোয়ার সময় এটি ব্যবহার করুন। কমপক্ষে ১
সপ্তাহ এটি ব্যবহার করবেন।
২. দুই টেবিল চামচ মেথি সারারাত
ধরে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর
সকালে তা দিয়ে সুন্দর করে পেস্টের
মত বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্ট আপনার
চুলে এবং মাথার তালুতে ব্যবহার করুন
কমপক্ষে ৩০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

ভাল ফলাফলের জন্য অন্তত ৪ সপ্তাহ
ব্যবহার করুন।

৩. গোসলে যাওয়ার আগে লেবুর রস
দিয়ে আপনার মাথার তালুতে
ম্যাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট পর মাথা
ধুয়ে ফেলুন।

৪. সমপরিমান পানি এবং ভিনেগার
দিয়ে মিক্সার তৈরি করুন। রাতে
মিক্সারটি মাথার তালুতে লাগিয়ে
ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে বেবি শ্যাম্পু
দিয়ে হালকাভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৫. সামান্য পরিমাণ দধি চুলে এবং
মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন। এটা
১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকাভাবে
বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি অবলম্বন
করুন।

৮. দু’টো ডিম ভাঙুন এবং এটি পেস্ট
আকারে মাথার তালুতে লাগান। এক
ঘণ্টা পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই
পদ্ধতি খুশকি দূর করতে এবং চুল পড়া
কমাতে সাহায্য করে।

৭. হালকা উষ্ণ বাদাম তেল,
নারিকেল তেল অথবা অলিভ ওয়েল
মাথার তালুতে ম্যাসাজ করতে
পারেন। এতে খুশকি দূর হয়।

৮. এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ৫

টেবিল চামচ নারিকেল তেল
একসাথে মেশান। এবার এই মিক্সার
মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। ২০-৩০
মিনিট পর ভাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন।

৯. নিমপাতা পিষে পেস্ট বানিয়ে
ফেলুন। এবার মাথার শুষ্ক খুলিতে এই
পেস্ট সরাসরি প্রয়োগ করুন। আধাঘণ্টা
পর ধুয়ে ফেলুন।
চুল সবসময় পরিষ্কার রাখুন। অপরিষ্কার
চুলে খুশকি হবে এবং বৃদ্ধি পাবে এর
কোনো বিকল্প নেই। কাজেই
প্রতিদিনই আপনার চুল পরিষ্কার করে
ধুয়ে ফেলবেন। ধীরে ধীরে আপনার চুল
থেকে হারিয়ে যাবে খুশকি।

এরকম আরো টিপস ট্রিকস পেতে TrickMax.com ভিজিট করুন

Leave a Reply