ঢাকা:ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে কাপড়-চোপড়, কসমেটিক্সের বাজারে ভিড় বাড়ে উল্লখ করার মতো। শখের জিনিস কিনতে গিয়ে কখন যে সময় চলেযায় তা বোঝার উপায় থাকে না। নজর থাকে শুধু প্রয়োজনীয় এবং ভালো জিনিসটি খোঁজার দিকে। সুযোগসন্ধানীরা এই সময়টা কাজে লাগিয়ে নেয়। ক্রেতা সাধারণের ব্যাগ, মোবাইল, গহনা, দামি জিনিসের কোনো কিছু তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না। নিজের জিনিসের প্রতি নজর পড়লে দেখাযায়, ভিড়ের মাঝে কখন জানি হারিয়ে বসেছেন সব।

মৌচাক মার্কেটে ঈদের জামা কিনতে আসা কলেজ পড়ুয়া শেলি জানালেন, কেনাকাটার প্রায় শেষের দিকে একটু ব্যস্ত ছিলেন আরেকটি কাপড় দেখায়। হাতের ছোট্ট পার্টস রেখেছেন হাতের বড় ব্যাগের ভেতর। কাপড় দেখা শেষ হলে ব্যাগের দিকে নজর দিতেই দেখে শখের মোবাইলসহ টাকার ব্যগটি আর নেই। আশপাশে চোর খোঁজার চেষ্টা করলেও কাউকে দেখে তার সন্দেহও পর্যন্ত হল না।

অথচ, সবকিছুর ভেতর দিয়ে ব্যাগটি উধাও হয়েগেল।শেলির মতো এমন ঘটনা প্রতিদিনি প্রায় প্রতিটি মার্কেটেই হচ্ছে। কারো গলার চেইন, কানের দুল ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে। হাতের ব্যাগ ছিনিয়েনিচ্ছে- আরও কত কি।

এমন অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি কেউ হতে চায় না। ব্যাগ হারিয়ে এমন অভিজ্ঞতার সঞ্চার না করে আগে থেকে হতে পারেন সাবধান।

আর তাই

— হাতের ছোট্ট ব্যাগটি অবশ্যই সাবধানে রাখতে হবে। হাতে থাকা বড় ব্যাগের মধ্যে রাখলেও ভালো করে চেইন লাগানো আছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

– কেনাকাটায় যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, মূল্যবান জিনিস থাকা হাতেরব্যাগটি বার বার লক্ষ্য করতে হবে।

– কেনাকাটা করতে স্বর্ণের অলঙ্কার পরে যাওয়া নিরাপদ নয়।

– দামি মোবাইলটি হাতে না রেখে ব্যাগের এমন জায়গায় রাখুন যাতে চোরের নাগালে না আসে।

– শপিং করতে গেলে সঙ্গে আরও দুয়েকজন নিয়ে যাওয়া ভালো। একসঙ্গে দুই তিনজন দেখলে চোর কাছে ভিড়তে একটু দ্বিধা করে। কারণ, চুরির সময় একজন খেয়াল না করলেও অপর জনের চোখে পড়তে পারে।

– হাতে থাকা ব্যাগ সব সময় শক্ত করে ধরে রাখতে হবে। যাতে কোনো চোর হাত থেকে ছিনিয়ে দৌড় দিতে না পারে।

– বেশি ভিড়ের ভেতর গেলে ব্যাগ এমনভাবে হাতে রাখতে হবে যেন কেউ তা থেকে কিছু নিতে না পারে।

– সন্দেহ ভাজন লোক দেখলে সেখান থেকে সরে আসা ভালো।

– অপরের ব্যাগ থেকে চুরি হতে দেখলে দ্রুত আশপাশের মানুষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রয়োজনে ঈদের বাজারে দায়িত্ব পালনরত পুলিশের সহায়তা নিন। তবেই না ঈদের ঈদ বাজার

Leave a Reply