আসসালামুআলাইকুম।
ও হিন্দু ভাইদের জানাই আদাব।

আশা করি সবাই ভাল আছেন।
প্রতিবারের মতো আবারো আরেকটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে।

টাইটেল দেখে হয়তো সবাই বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি।

আজকের বিষয় হলো, ভিডিও গেমস খেলার উপকারিতা।
শুনে হয়তো অবাক হবেন! অবাক হওয়ার কিছু নেই।
বুঝতে হবে, যে জিনিসের অপকারিতা আছে সে জিনিসের উপকারিতা ও আছে।
ঠিক তেমনি আজকে আমি ভিডিও গেমস খেলার উপকারিতা দেখাব।
অনেকে আছে, একটানা অনেক্ষন গেমস খেলে, আসলে এটা ঠিক না।
গেমস খেলা উচিৎ। কিন্তু অতিরিক্ত হারে গেমস খেলা উচিৎ না।
ভিডিও গেমস খেলার উপকারিতার থেকে অপকারি ই বেশি।
কিন্তু উপকার ও আছে।

বর্তমানে ফ্রী-ফায়ার,পাবজি এই দুটো গেমস খুব চলছে।
আমাদের উচিৎ মাত্রারিক্ত গেমস না খেলে,সীমাবদ্ধ রেখে গেমস খেলা।
তবে বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়ে তাদের কোনো ভাবেই ভিডিও গেমস এ আসক্ত করা যাবে না।
এর পরিনতি ভয়াবহ হতে পারে।

কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, ভিডিও গেমস খেলার উপকারিতাঃ

১] একাকীত্ব দূর করেঃ

ভিডিও গেমস আপনার একাকীত্ব দূর করে।
অনেকে যখন একা থাকে নানা রকম চিন্তা আসে মাথার ভিতর।অনেকে বিভিন্ন টেনশনে থাকে।
তবে সে যদি তখন ভিডিও গেমস খেলে,তাহলে তার টেনশন কমে যাবে।এবং অনেক ভাল লাগবে।
একা থাকলে নানা কস্টের কথা মনে পড়ে, সে সময় ভিডিও গেমস এ মনোযোগ দিলে অনেক উপকার হবে।
এছাড়া ও অনেকে আছেন ভিডিও গেমস এ আসক্ত।তবে আসক্ত হওয়া যাবে না।
এদিকে মনোযোগ দিতে হবে।

২] স্মৃতিশক্তি প্রখর করেঃ

অনেক গেমস আছে, গনিত সমাধান ও ইংরেজি সমাধান এরকম সিস্টেমের।এগুলো খেল্লে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ভিডিও গেমস খেললে আপনার স্মৃতিশক্তি প্রখর বৃদ্ধি পায়।কারন কখন কিভাবে কি করতে হবে এগুলো তো মনে রাখতে হয়।এগুলো মনে রাখলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।তবে সব দিক বেবেচনা করে ভিডিও গেমস খেলতে হবে।
কারন ভিডিও গেমস এর উপকারের থেকে অপকারের দিকটাই কিন্তু বেশি।
এটা আমাদের সবার জানা উচিৎ।

৩] সৃজনশীলতার বৃদ্ধিতে সহায়তা করেঃ

ভিডিও গেমস সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে প্রচুর সহায়তা করে।
ধরুন আপনি একটা মিশন কমপ্লিট করলেন,এখন আরেকটা মিশন কমপ্লিট করতে হবে।এজন্য আপনার ভাবতে হবে,আবিষ্কার করতে হবে, যে কিভাবে মিশন কমপ্লিট করতে হবে।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে প্রচুর সহায়তা করে এই ভিডিও গেমস।
আমাদের এদিকে লক্ষ করে, এই ধরনের গেমস খেলতে হবে।
এতে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

৪] ভিডিও গেমস আপনাকে দৈহিকভাবে এক্টিভ করেঃ

ভিডিও গেমস আপনাকে দৈহিকভাবে অনেক এক্টিভ করে। ভিডিও গেমস খেলার ফলে আমাদের শারীরিক এক্টিভিটি বেড়ে যেতে পারে।
ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে আপনার আলাদা অভিজ্ঞন হবে।এবং আপনি এক্টিভ হবেন।

এ থেকে বোঝা যায়, ভিডিও গেমস আপনাকে দৈহিক ভাবে এক্টিভ করে।

৫] চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ

আমরা এতদিন শুনলাম, কম্পিউটার এর স্কীন এর দিকে বেশিক্ষন তাকাই থাকলে এর ভিতর থেকে আলোকরশ্মি আমাদের ক্ষতি করে।
তবে ভিডিও গেমস গেমস খেলতে হয় দূর থেকে কন্ট্রোলার এর মাধ্যামে।
এবং চোখে এক এক সময় এক এক দিকে যায়।এক এক দিকে যাওয়ার ফলে ও দূর থেকে খেলার ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী ট্রিক এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ

7 thoughts on "ভিডিও গেমস খেলার উপকারি দিকগুলো জেনে নিন।"

  1. Tanvirislam Contributor says:
    ইসলামিক দৃষ্টিতে ভিডিও গেম খেলা নিষিদ্ধ
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      হ্যা! তবে ইসলামিক দৃষ্টিতে তো অনেক কিছু নিষিদ্ধ। তবে এটা কয়জন বা মানে৷
    2. S Contributor says:
      Reference din kothai nisidho?
  2. MD Shakib Hasan Author says:
    ভালো দিক যেমন আছে খারাপ দিকও তেমন অনেক আছে ?
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      হ্যা! এখানে শুধু ভাল দিক টা তুলে ধরা হয়েছে৷খারাপ দিক প্রায় লোক ই জানে।
  3. সময় নষ্ট হয় আর সময় অপচয় করা শয়তান কাজ ইসলামিক দিক দিয়ে এটায় হচ্ছে নিষিদ্ধ আর গেমস খেলা হারাম না,,,এ রকম হাদীস আমি পাইনি
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ ভাই।

Leave a Reply