আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,কেন রাখবেন ইফতারের তালিকায় ডাবের পানি,ডাবের পানির উপকারিতাগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব। কম-বেশি প্রায় আমরা অনেকে এই ডাবের পানি পছন্দ করে থাকি। গরমের সময় ডাবের পানি খেলে অনেজ প্রশান্তি এসে যায়। ডাবের পানিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা অনেকে জানে না। আজকে আপনাদের মাঝে এসব নিয়ে কথা বলব।এবং ইফতার এর তালিকায় এই ডাবের পানি রাখতে পারেন। সারাদিন রোযা রেখে ক্লান্ত অবস্থায় ডাবের পানি খেলে অনেক ভাল লাগবে ও উপকার তো আছেই। এই উপকার গুলো নিয়ে আজকে বর্ণনা করব। কথা বা বাড়িয়ে শুরু করা যাক, ইফতারের তালিকায় কেন রাখবেন ডাবের পানি ডাবের পানির উপকারিতাগুলোঃ
১) ডাবের পানিতে রয়েছে,সাইটোকিনিস নামের একটি উপাদান। যা আমাদের শরীরের উপর বয়স এর ছাপ পড়তে দেয় না। অনেকে বুড়ো হওয়ার আগেই বয়স্ক ছাপ পড়ে যায়। তাই ডাবের পানি খেলে এরকম হয় না।
২) ডাবের পানিতে রয়েছে,অ্যামাইনো এসিড ও ডায়াটারি ফাইবার,যা ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি করে। এটি বাড়ার ফলে ব্লাড সুগার ও রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। তাই আমাদের ইফতার এর তালিকায় ডাবের পানি রাখা উচিৎ।
৩) যাদের মুখে ব্রন রয়েছে,এছাড়া ও বিভিন্ন দাগ রয়েছে তারা যদি সকালে ডাবের পানি মুখে লাগায় তাহলে প্রতিকার পাওয়া যাবে।এছাড়া ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ও ডাবের পানি মুখে লাগালে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।এক কথায় ডাবের পানি খুব উপকারি।
৪) ডাবের পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন রেখে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। ডাবের পানি যেহেতু প্রাকৃতিক পানি,তাই এর ভিতর কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই। যেকোন কোমল পানীয়র থেকে শতগুন নিরাপদ এই ডাবের পানি। তাই ইফতার এর তালিকায় রাখা উত্তম এই ডাবের পানি।
৫) ডাবের পানিতে রয়েছে,ম্যাগনেসিয়াম,খনিজ লবন,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস। এসব উপাদান দাঁত এর উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভুমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া ও দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া রোধ করতে ভুমিকা পালন করে থাকে। মাড়ি কালচে ও লাল হলে প্রতিকার করতে ভুমিকা পালন করে ডাবের পানি।
৬) ডাবের পানি আমাদের শরীর এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।ডাবের পানিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীর এর শক্তি বাড়াতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে থাকে।জীবানু কোনোভাবেই ক্ষতি করতে পারে না। তাই আমাদের উচিৎ এই পবিত্র রমযান মাসে ইফতারে তালিকায় ডাবের পানি রাখা।
৭) দেহে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম ওর অভাব হলেও কিন্তু ডাক্তার এর কাছে গেলে,ডাক্তার ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন।অনেকের ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। পানি ও খনিজ পদার্থ এর ঘাটতির ফলে এসব হয়ে থাকে। ডাবের পানি এসব ঘাটতি পুরন করে থাকে।
তাই আমাদের ইফতার এর তালিকায় ডাবের পানি রাখা উচিৎ।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ