আসসালামু আলাইকুম।

আসা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।

আজ আমি এখানে পৃথিবীর কয়েকটা জানা অজানা ঘটনা/ জায়গার বর্ণনা তুলে ধরবো। আসা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকের বিষয় কি কি নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি…

 

১–লাল আলোতে গাছের পাতা কালো দেখায় কেনো?

২–টিভি কতটা বড় সেটা বোঝাতে যে সংখ্যাটি বলা হ সেটা টিভির কোন অংশের মাপ?

৩–রাতে গাছের তলাই শয়ন করা উচিত নয় কেনো?

৪–জ্বর হলে আমাদের শীত করে কেনো?

৫–খেয়ে উঠলেই ঘুম পাই কেনো?

৬–শীতকালে মানুষের গায়ের চামরা গরমকালের অপেক্ষা কিছুটা কালো দেখায়। এর কারন কী?

৭–আকাশের রং নীল কেনো?

৮–টিউবয়েলের পানি শীতে গরম আর গ্রীষ্মে ঠান্ডা কেনো?

৯–সমুদ্রের পানি নীল দেখায় কেনো?

=>লাল আলোতে গাছের পাতা কালো দেখায় কেনো?

সাদা আলো সবুজ পাতার ওপর পড়লে তা সবুজ রঙ প্রতিফলিত করে এবং সূর্যের সাদা আলো আন্যান্য রংকে শোষণ করে নেয়। কিন্তু সবুজ পাতার ওপর লাল আলো পড়লে সবুজ পাতা তা শুষে নায়। ফলে কোনো কিছুই প্রতিফলিত হয় না এ জন্যে লাল আলোতে সবুজ পাতা কালো দেখায়।

 

=>টিভি কতটা বড় সেটা বোঝাতে যে সংখ্যাটি বলা হ সেটা টিভির কোন অংশের মাপ?

১৪ ইঞ্চি আর ২০ ইঞ্চি টভি সেটের কথা আজ সকলের মুখে মুখে। কিন্তু এই ১৪ বা ২০ ইঞ্চি দৈর্ঘটি টিভির কোন অংশের মাপ। টিভির পর্দাকে যদি একটা আয়তক্ষেত্র হিসেবে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার কর্ণ বা ডায়াগনালের দৈর্ঘ্যই টিভির মাপ নির্দেশ করে।

 

=>রাতে গাছের তলাই শয়ন করা উচিত নয় কেনো?

মানুষ সব সময় নিশ্বাসের সাথে অক্সিজেন গ্রহণ করে আর কার্বন্দাই-অক্সাইড ত্যাগ করে। গাছ দিনের বেলায় সালোক-সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কার্বনডাইন-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যগ করে। কিন্তু রাতে গাছের সালোক-সংস্লেষোণ বন্ধ থাকে এবং শ্বাস-ক্রিয়া চলতে থাকে। শ্বাস ক্রিয়ায় গাছ প্রানিদের মতো অক্সিজেন গ্রহণ করে আর কার্বনডাইন-অক্সাইড ত্যাগ করে । রাতে গাছ তলায় শয়ন করলে গাছের অতিরিক্ত কার্বনডাইন-অক্সাইড নিশ্বাসের সাথে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। এ কার্বনডাইন-অক্সাইড মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই রাতের বেলা গাছের নিচে শয়ন করা ঠিক নয়।

=>জ্বর হলে আমাদের শীত করে কেনো?

পরিবেশের উষ্ণতা যখন শরীরের উষ্ণতা থেকে কমে যায়, তখন আমাদের শীত করে। শীতকালে তাই আমাদের শীত লাগে। কিন্তু যখন জ্বর হয়, তখন আমাদের দেগের উষ্ণতা বেড়ে যায় এবং পরিবেশের যা উষ্ণতা থাকে তার থেকে বেশি থাকে। অর্থাৎ পরিবেশের উষ্ণতা দেহের উষ্ণতা থেকে কম। তাই আমাদের শীত লাগে।

=>খেয়ে উঠলেই ঘুম পাই কেনো?

ভরা পেটে খেয়ে ওঠার পর দেখা যায়, খুব বেশি ঘুম পাচ্ছে। চোখ জড়িয়ে আসে, ঘুম ঘুম ভাব, মনে হয় একটূ যেনো গড়িয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। অথচ খেয়ে ওঠার পরে কিছুটা সময় গল্প গূজব করে কাটিয়ে দিতে পারলে দেখা যায় ঘুমটা কেটে গেলো। কিন্তু খেয়ে উঠলেই ঘুম পাই কেনো?

খাওয়ার পরে শরীরে মোট রক্তের একটা বড় অংশ অন্ত্রে চলে আসে। এটা আসে হজমে সাহায্য করার জন্য। আবার এ রক্তের বিতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচল করে। তাহলে রক্তের অনেকটা অংশ অন্ত্রে চলে এলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন এর অভাবের ফলে অবসন্নতা এবং ঘুমের ভাব হয়। এ অভাবটা অবশ্য সাময়িক। সে কারনে খানিকক্ষণ বাদে ঘুম-ঘুম ভাব কেটে গিয়ে শরীর আবার সতেজ চাঞা হয়ে ওঠে।

=>শীতকালে মানুষের গায়ের চামরা গরমকালের অপেক্ষা কিছুটা কালো দেখায়। এর কারন কী?

গরমকালে আমাদের শরীরে যে পরিমান আদ্রতা থাকে, শীতকালে সে পরিমান আর্দ্রতা বজায় থাকে না শীতকালে শুষ্ক শীতল বায়ুর প্রভাবে শরীরে চামড়া আর্দ্রেতা হারায় এবং কুচকে যায়। এজন্য শীতকালে মানুষের গায়ের চামড়া কিছুটা কালো দেখায়।

=>আকাশের রং নীল কেনো?

আলো ৭ টি বর্নালির সমন্বয়ে গঠিত। যদিও স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা আলোর মধ্যে রংগুলো আলাদা ভাবে দেখতে পাই না। সূর্যের আলো যখন পৃথীবির বায়ু মন্ডলে এসে পড়ে তখন গাঢ় নীল রং অন্যান্য রং থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং বায়ুতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে । এভাবে পৃথক হয়ে যাওয়ার কারনে গাঢ় নীল রং আমাদের দৃষ্টিগ্রাহ্য হয় এবং এ অবস্থায় আকাশের রং নীল দেখায়।

 

=>টিউবয়েলের পানি শীতে গরম আর গ্রীষ্মে ঠান্ডা কেনো?

টিউবয়েলের থেকে যে পানি তোলা হয় তা থাকে মাটির বেশ কিছুটা নিচে। মাটি তাপের কুপরিবাহি। ফলে বাইরে বাতাসের বাতাসের যখন হলকা বয়, তখন মাটির মধ্যে ততোতা থাকে না। কিংবা বাতাসের যখন গরম ভাব দেখা দেয়, তখনও ভেতরের মাটি ততটা ঠান্ডা হয়ে ওঠে না।

তাই শীতকালে বাইরের বাতাসের তাপমাত্রার তুলনায় টিউবয়েলের ভিতরের পানির উষ্ণতা বেশি। ফলে তখন টিউবয়েল থেকে পানি তুললে সে পানি তো গরম বলে মনে হবেই। আর গরমের দিনে অবস্থাটা উলটো তখন বাইরের বাতাসের উষ্ণতার চেয়ে মাটির নিচের উষ্ণতা কম থাকে। আই তাই সে সময়ে টিউবয়েলের পানি ঠান্ডা লাগে। আসলে টিউবয়েলের পানি মাটির গভিরে যেখানে থাকে, মাটি তেমন তাপ টানেনা বলে, শীত গ্রীষ্মের কোনো সময়েই সে উষ্ণতার তেমন একটা পরিবর্তন হয় না। সে জন্যই শীতে টিউবয়েলের পানি গরম, গ্রীষ্মে ঠান্ডা।

 

=>সমুদ্রের পানি নীল দেখায় কেনো?

সমুদ্রের বিস্তৃত পানিরাশিকে একসাথে নীল দেখায়। আকাশে বায়র অনুর মতো সমুদ্রের বিস্তৃত পানি রাশির অনুগুলো সূর্যরস্মির নীল বর্নকে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়। ফলে বাইরে থেকে তাকালে সমুদ্রের পানি রাশিকে নীল দেখায়।

আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এই রকম আরো আর্টিকেল আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো।

আল্লাহ হাফেজ।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, অন্যকে সুস্থ রাখবেন।

Leave a Reply