আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

৫ টি উপায়ে নিজের Confidence কে চরম পর্যায়ে নিয়ে যান

পরীক্ষার হল থেকে শুরু করে চাকরির ইন্টারভিউ বা চোখে চোখ রেখে কথা বলা থেকে শুরু করে জীবনের বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সব জায়গায় প্রয়োজন হয় কনফিডেন্স। কনফিডেন্স না থাকার কারণে বেশিরভাগ সময়ই আমরা বলে থাকি আমার দ্বারা তো আর হলো না জীবনটাই শেষ হয়ে গেল।

আর এই কনফিডেন্স কম থাকার জন্য অনেক কাজে দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও অনেকে ইন্টারভিউ তেই বাদ পড়ে যায়। কারণ যার নিজের উপরে বিশ্বাস নেই তাকে অন্য কোন ব্যক্তি কিভাবে বিশ্বাস করবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে এমন পাঁচটি পদ্ধতির কথা বলব যেগুলো শুনলে আপনি আপনার কনফিডেন্স কে খুব সহজেই বুষ্ট করতে পারবেন

1.Reward Yourself For Small Achievement অর্থাৎ জীবনের ছোট ছোট অর্জনকেও সমান গুরুত্ব দিন। যেমন ধরুন এক মাস পর আপনার ফাইনাল এক্সাম এদিকে বই খাতার সাথে আপনার অনেক দিন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। তো আপনি ঠিক করলেন কাল থেকে নিয়মিত 6 ঘণ্টা করে পড়বেন এবং পড়তে বসে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য দিকে মন চলে যাওয়ার কারণে আপনি দুই ঘণ্টার বেশি পড়তে পারলেননা। এরকম অবস্থায় আপনার খুব খারাপ লাগবে ও নিজেকে দোষী মনে মনে হবে আর এটাই হলো সব থেকে বড় ভুল। এইজন্যই আপনার কনফিডেন্স লেভেল আরো কম হতে থাকবে।

আরে ভাই একদিনে কেউ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে পারে না। তার জন্য প্রত্যেক দিন একটু একটু করে উপরে উঠতে হয়। আজ আপনি 2 ঘণ্টা বই পড়েছেন কাল চার ঘন্টা পড়বেন। তারপরের দিন 5 ঘন্টা পড়বেন আর এভাবেই আপনি সামান্য কয়েক দিনের মধ্যে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সফল হবেন। অর্থাৎ Nothing Happens Overnight বরং নিজেকে ছোটখাটো একটা ট্রিট দিন একেবারেই পড়াশোনা না করার থেকে আপনি তো দুই ঘন্টা পড়েছেন। আর সেটা স্টার্টিংয়ে যথেষ্ট।

2. Talk To Yourself অর্থাৎ নিজেই নিজের সঙ্গে কথা বলা। আপনি অনেক মানুষকে হয়তো দেখেছেন নিজেই নিজের সঙ্গে যারা কথা বলে। কোন এক চরম মুহূর্তে যখন আপনি দেখছেন আপনি ক্রমশ কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেছেন। তখন নিজেকে ভিড় থেকে সরিয়ে নিন তারপর নিজেই নিজেকে বলুন আরে ভাই কেন ভয় পাচ্ছিস কি প্রবলেম তোর আরে তুই এটা করতে পারিনি তোকে করতেই হবে। আগে আমিও কনফিডেন্সের জন্য সবার সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেতাম আর এখন যেখানেই যাই না কেন সবার সাথেই চোখে চোখ রেখে কথা বলার ক্ষমতা রাখি। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন→Talk to yourself at least once in a day. Otherwise you may miss a meeting with an EXCELLENT person in this world.

3.Remove your self limiting beliefs অর্থাৎ self limiting beliefs গুলোকে দূর করা।সেলফ লিমিটিং বিলিভ হলো এমন কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস যেগুলো আমাদের জীবনে বড় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দেয়। যেমন আপনারা যখন সার্কাস দেখতে যাবেন তখন দেখবেন হাতিকে একটি ছোট্ট পোলার এর সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। হাতে কিন্তু চাইলেই সেটিকে অনায়াসে ছিড়ে বেরিয়ে যেতে পারে।

কিন্তু হাতি সেটা করার চেষ্টাও করে না তার কারণ হলো self limiting beliefs অর্থাৎ ঐ হাতিটি যখন ছোট ছিল তখন থেকেই তাকে এই ভাবেই বেঁধে রাখা হতো আর তখন হাতিটি অনেক চেষ্টা করেও সেটিকে ছিড়তে পারতো না আর এইভাবে হাতির মনে এই বিশ্বাস চলে আসে যে সে কখনোই সেটা কে চিনতে পারবে না। তাই এখন আর সে চেষ্টাও করে না আর আমাদের মনে হয় ধরনের কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস তৈরি হয়ে গেছে। তাই আমরা আমাদের কম্ফোর্টজোন থেকে বেরিয়ে কিছু করার সাহস পায় না। আমরা ঝুঁকি নিতে ভয় পাই এই self limiting beliefs এর জন্য।

4.Avoid Negative People অর্থাৎ আপনার আশেপাশের নেগেটিভ মানুষের থেকে দূরে থাকুন।। আমরা যেমনটাই দেখি, ঠিক তেমনটাই শিখি। আমাদের মানসিকতা অনেকটাই আমাদের চারপাশে থাকা মানুষের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। অনেক সময় দেখবেন একদম ভালো ছেলের মাঝে যদি একটি বাজে ছেলে এসে পরে এসেও ক্রমশ অন্য সবার মতোই হয়ে যায়। তাই কনফিডেন্স বেল্ট করার জন্য আমাদের তিন ধরনের মানুষদেরকে এভোয়েড করতে হবে।

১. Who Always Complain এরা হচ্ছে হিউম্যান কমপ্লেন মেশিন চাকরি হচ্ছে না, সরকার ঠিক নেই,পরীক্ষায় নাম্বার খারাপ আসছে, এডুকেশন সিস্টেম খারাপ, আমি ব্যবসা শুরু করতে পারছিনা কারন আমার টাকা নেই, আমার বয়স কম এটা ওটা সেটা শুধু কমপ্লেন আর কমপ্লেন।

২.Who Always Worry এদের সামান্য কিছু হলেই এমন ভাব দেখায় যেন এদের AIDS হয়ে গেছে। সব কিছু শেষ।

৩.Who don’t’ want to change এরা এদের কম্ফোর্টজনে এরা এতটাই বেশি কম্ফোর্টেবল যে এরা নিজেতো কিছু করবেইনা আপনি কিছু করতে চাইলে আপনাকেও করতে দেবে না। আর এই কারনেই এই সমস্ত মানুষদের থেকেও দূরে থাকুন।

5. Compliment Others অর্থাৎ অন্যকে ইন্সপায়ার করুন অন্যের কাছে পজেটিভ কমপ্লিমেন্ট দেন। এবং উৎসাহ দিন আপনার এতোটুকু প্রশংসা কোন এক মানুষকে প্রচন্ডভাবে মোটিভেট করতে পারে। এছাড়া তার প্রশংসা করলে তার মনে আপনার পার্সোনালিটি নিয়ে একটা গুড ইমেজ তৈরি হয়ে যাবে। এবং তখন সেই মানুষটি হয়ে যাবে আপনার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী।

আর এটাও মাথায় রাখবেন যে প্রশংসা কিন্তু সবাই করতে পারে না হিংসুটে নিচু মনের মানুষ কখনোই কারো প্রশংসা করতে পারে না। তাই আপনার অন্যকে কমপ্লিমেন্ট দেওয়াটা আপনার নিজের পজিটিভিটিকে বুস্ট করে। তাছাড়া প্রশংসা করা তো একদমই ফ্রি তাও যে কোনো মানুষ অন্যের প্রশংসা কেন করে না সেটাই বুঝে উঠতে পারিনা।

একবার এবার চলুন পুরো আর্টিকেরটি একবার সামারি করা যাক।

1.Reward Yourself For Small Achievement অর্থাৎ নিজের জীবনের ছোট ছোট সমস্যাকে গুরুত্ব দিন।

2.Talk To Yourself নিজের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে যান।

3.Remove Your Self Limiting Beliefs অর্থাৎ আপনার মনের পুরনো Beliefs গুলোকে সরিয়ে ফেলুন আপনাকে বেঁধে রাখে।

4.Avoid Negative People অর্থাৎ আপনার আশেপাশের নেগেটিভ মানুষের থেকে দূরে থাকুন।

5.Compliment Others অর্থাৎ অন্যের প্রশংসা করুন।অন্যকে উৎসাহ দিয়ে নিজের পজিটিভিটিকে শক্ত করুন।

Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Ictbn.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। ICTBN.Com

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

Leave a Reply