আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
পরিশ্রম ও জেদ দিয়ে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব..
পরিশ্রম করলে তার ফল অবশ্যই পাওয়া যায় সেটা আজ হোক বা কাল। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের এমন একটি লোকের সাকসেস স্টরি শোনাবো যিনি ওনার পরিশ্রম দ্বারা মাত্র ১৯ বছর বয়সে সারা পৃথিবীতে অবাক করে দেয়। আর আজ সেই লোকটিই 122 বিলিয়ন ডলার নেটওয়ার্কের সাথে পৃথিবীর পঞ্চম সবথেকে ধনী লোক। আর সেই মানুষটি হলো পৃথিবীর সবথেকে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের মালিক মার্ক জাকারবার্গ।
গল্পটি শুরু হয় নিউ ইয়র্কের একটি শহর থেকে যেখানে ১৪ই May ১৯৮৪ সালে মার্কের জন্ম হয়। মার্কের বাবার নাম ছিল এডোয়ার্ড। যিনি একজন দাঁতের ডাক্তার ছিলেন। আর ওনার মা একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। মার্ক ছোট বয়স থেকেই প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে দেয়। আর মাত্র 12 বছর বয়সে যে বয়সে অন্য ছেলেরা গেম খেলা করে সেই বয়সে মার্ক প্রোগ্রামিং করে জ্যাকে নেট নামের একটি মেসেজিং প্রোগ্রাম তৈরি করে দেয়।
যেটাকে ওনার বাবা উনার ক্লিনিকে ব্যবহার করা শুরু করে। মার্কের বাবা এটা বুঝতে পারে যে ওনার ছেলে নিশ্চয়ই বড় কিছু করবে। এরপর তিনি মার্কের জন্য একটি পার্সোনাল টিচার রেখে দেন। যিনি একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার ছিলেন। যার কাছে মার্ক প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে। মার্ক যখন হাইস্কুলে ছিল তখন ইন্টেলিজেন্ট মিডিয়া গ্রুপ নামের একটি কোম্পানীর জন্য একটি মিউজিক প্লেয়ার তৈরি করে যেখানে ইউজারের ব্যবহার অনুযায়ী সেইসব mp3 গানের লিস্ট তৈরি হয়ে যেত যা ইউজার শুনতে চাই।
মার্ক তার স্কুল শেষ করার আগেই উনার প্রোগ্রামিং দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেয়। এরপর ইস্কুল কমপ্লিট করে 2002 সালে হার্বাট বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন ন্যায় এর মাত্র এক বছর পর মার্ক 2003 সালে কলেজে ডেটাবেজকে হ্যাক করে নেয়। কেবলমাত্র এই কারণে যে মার্ক ফেসম্যাশ’ নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছিল। আর তার জন্য স্টুডেন্টের ফটো ও তাদের ডাটা প্রয়োজন ছিল।
এরপর মার্ক ফেসম্যাশ’ নামের ওয়েবসাইট তৈরি করে আর ও ওয়েবসাইটে সেই সমস্ত ফটো ব্যবহার করা হয় যে কলেজের ডাটাবেজ থেকে পেয়েছিল। আর এই ওয়েবসাইটে ভোটিং করার অপশন ছিল যে কে দেখতে বেশি Hot এই ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক আসার কারণে সার্ভার ক্রাশ হয়ে যায়। এরপর মার্কের উপর ডেটাবেজ হ্যাক করার অভিযোগ ওঠে আর মার্ক সেটাকে স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়ে নেয়।
ফেসম্যাশ’ সফলতা দেখে ভারতের দ্বীব্য নরেন আর দুজন জমজ ভাই মার্কের কাছে আসে আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট তৈরি করার আইডিয়া দেয় আর মার্জ এই আইডিয়াতে কাজ করা শুরু করে আর সবশেষে জানুয়ারি 2004 সালে facebook.com নামের ডোমেন রেজিস্টার করা হয়। এরপর মার্ক ফেসবুকের জন্য দিনরাত কাজ করা শুরু করে দেয় এর জন্য মার্ক তার কলেজের ছেড়ে দেয় আর সমস্ত ফোকাস ফেসবুকের উপরে করে।
আর 4 এ ফেব্রুয়ারি 2004 মার্ক ফেসবুকটা লঞ্চ করে দেয়। ফেসবুকে সফলতা দেখে অনেক বড় বড় কোম্পানি ফেসবুকে কেনার জন্য অফার দেয় এমনকি ইয়াহু ফেসবুকে কেনার জন্য এক আরব ডলার অফার করে। কিন্তু মার্ক ফেসবুকে বিক্রি করেনি আর পাঁচ বছরের মধ্যে 2010 সালে ফেসবুক 500 মিলিয়ন ইউজার কমপ্লিট করে নেয়। আর 2012 তে ওয়ান বিলিয়ন ইউজার কমপ্লিট করে নেয়। এরপর ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামকে কিনে নেয়।
এই সবকিছু মার্কের পরিশ্রমের জন্য সম্ভব হয়েছে। আজ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ও ইনস্টাগ্রামে ওয়ার্ল্ডের টপ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আর আজ মার্ক জাকারবার্গ 122 বিলিয়ন ডলার নিয়ে পৃথিবীর পঞ্চম সবথেকে ধনী লোক। সবশেষে আপনাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে আজ যদি আপনি পরিশ্রম ইনকামের থেকে বেশি করেন তাহলে একদিন আপনার ইনকাম আপনার পরিশ্রম এর থেকে অনেক গুন বেশী হবে।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
5 thoughts on "পরিশ্রম ও জেদ দিয়ে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব.. Motivational Success Story.. Mark Zuckerberg Story"