• আসসালামুআলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।

মাদক একটি ভয়ানক সমস্যায় পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। আজকাল দেখা যায় উঠটি বয়সে ছেলে-মেয়েরা মাসকে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। মাদক ও নেশা থেকে মুক্তি না পেলে পতন অবধারিত। তাই সকলের উচিৎ এই মাদক কে না বলা। আসলে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশলে, তাদের কারনে বাকি বন্ধুরা মাদকে বেশি আসক্ত হচ্ছে। যে ব্যাক্তি একবার এই মাদকের আসক্তি হয় বা মাদকের নাগালে আসে। সে কখনো মাদক ছাড়তে পারে না, এবং তার জন্য মাদক ছাড়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সকলের উচিৎ এই মাদক নেশা থেকে অনেক দূরে থাকা। অনেকে আছে একবার টেস্ট করে দেখতে চায়, যে কেমন লাগে এই মাদক। আসলে এমন কখনো করা উচিৎ নয়, এমন করলে একদিন বা দুইদিন পর এই মাদকে আসক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক। তাই মাদক নিয়ে কখনো অবহেলা করা উচিৎ নয়। আজকে আপনাদের জানাব সকল প্রকার মাদক ও নেশার আসক্ত থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন ও এর সঠিক পরামর্শ। আশা করি সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সকলে পড়বেন।

আসলে বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে একটি ছেলে মাদকে আসক্ত হয়ে থাকে৷ একজন মাদকাশক্ত বন্ধুর সাথে বেশিদিন মিশলে আপনার ও মাদকে আসক্ত হয়ে যাওয়ার আসঙ্কা থাকে ৯০%। তাই আমাদের মাদকাসক্ত বন্ধু এড়িয়ে চলা উচিৎ। আমাদের শহর, গ্রাম বা পাড়া মহল্লায় অনেক জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মাদকাসক্ত ব্যাক্তি।বিশেষ করে যাদের বয়স অল্প তারাই নেশা বা মাদকে বেশি আসক্ত। জীবন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মাদক অনেক বেশি ভুমিকা রাখে। মাদক এমন একটি নেশা যে সকল বিষয় ভুলে থাকা যায় কিন্তু এই মাদক ভুলে থাকা যায় না। বর্তমানে এই পৃথিবীতে হাজার হাজার যুবক এর জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই নেশার কারনে। নেশার কারনে কত পরিবারে অশান্তি রয়ে গেছে। নেশার টাকা যোগার করতে না পেরে অনেক যুবক তার পরিবারে সব সময় অশান্তি সৃষ্টি করে থাকে। কিন্তু মাদককে রুখে দাঁড়ানোর জন্য অনেক চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সরকার। কিন্তু জনগনের সচেতন হতে হবে। জনগন সচেতন হলে এই মাদককে রুখে দাঁড়ানো যাবে। আমরা যারা অভিবাবক আছি,আমাদের সন্তানদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সন্তান কোথায় যায়,কি করে,কাদের সাথে মেশে সকল দিক খেয়াল রাখতে হবে। একটি ছেলে মাদকে ও নেশায় একবার আসক্ত হলে, তাকে আগের জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে ইচ্ছা করলে সম্ভব,এজন্য আমাদের চেস্টা থাকতে হবে। মাদক দ্রব্যগুলোর মধ্য সব চেয়ে বেশি যে নেশায় যুবক আসক্ত হয়, সেগুলো হলোঃ- গাজা,ইয়াবা,হেরোইন,মদ,সিগারেট তামাক ইত্যাদি। 

আরো অসংখ্য রয়েছে। তার মধ্য জুতার গাম ও নেশা হিসাবে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। নেশার মধ্য থাকলে, সে ব্যাক্তি একদম মাতাল হয়ে যায়। তার মধ্য কোনটি ভাল কাজ এবং কোনটি মন্দ কাজ এদিকে খেয়াল থাকে না। নেশায় আসক্ত থাকা ব্যাক্তি তার ধান্দা একটাই সে কখন নেশা করবে। আসলে নেশায় আসক্ত হঠাৎ করেই যুবক আসক্ত হয় না। আমাদের পরিবার থেকে যদি চাপে রাখে, তাহলে কোনো ছেলে নেশায় আসক্ত হতে পারবে না। আসলে একটা মানুষ নানা কারনে নেশায় বা মাদকে আসক্ত হয়ে থাকে৷ অনেক পরিবারে নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি ও ঝগড়ার কারনে নেশায় আসক্ত হয়। এছাড়া ও প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে যুবক নেশায় আসক্ত হয়। এরকম হাজার হাজার কারনে এক যুবক নেশায় আসক্ত হয়ে থাকে। নেশায় আসক্ত হওয়া অনেক কঠিন,কিন্তু মাদক নেশা থেকে বের হওয়া আরো বেশি কঠিন। আমাদের আশে পাশে পরিবারের অনেক রয়েছে মাদকে আসক্ত ব্যাক্তি। আসলে যারা এই মাদকে আসক্ত হয়ে গেছে, ইচ্ছা করলে তাদের ফিরে আনা সম্ভব।

  • মাদক ও নেশা থেকে যেভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়ঃ-

আসলে যারা মাদকে আসক্ত হয়ে গেছে, ইচ্ছা করলে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়। এজন্য আমাদের চেস্টা করতে হবে। আজকে কিছু উপায় এর কথা বলবো, আপনার পরিবারে যদি মাদক বা নেশায় আসক্ত ব্যাক্তি থাকে তাহলে চেস্টা করলে আপনি ও পারবেন তাকে স্বাভাবিক আগের জীবনে ফিরিয়ে আনতে। আসলে পরিবারের একজন ব্যাক্তি যদি মাদকে আসক্ত ব্যাক্তি থাকে, তাহলে বোঝা যায় কতটা কঠিন। যারা মাদকে আসক্ত আসলে তাদের মাদক থেকে বের করে আনার জন্য, চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু, তাও যদি না আসে ফিরে স্বাভাবিক জীবনে। তবে একটা শেষ চেস্টা করতে হবে, এবং এই চেস্টাতে হাজার হাজার যুবক ভাল হয়েছে। আপনার পরিবার বা আশা পাশে যদি মাদকে আসক্ত ছেলে থাকে,তাহলে তার জন্য আপনি বাংলাদেশে বিভিন্ন মাদক নিরাময় কেন্দ্র বা (রিহ্যাব) রয়েছে। আপনি শুধু রিহ্যাব এর লোকদের তথ্য দিবেন এবং সহযোগিতা করবেন। তাহকে তারা মাদকাসক্ত ব্যাক্তিকে ধরে নিয়ে যাবে। আপনি ইচ্ছা করলে আপনি নিজেও তাকে নিয়ে যেতে পারেন তাদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে। তাদের বিশেষ কোর্স রয়েছে। তিন মাস এর কোর্স রয়েছে,সেখানে তাকে তিনমাস থাকতে হবে। এবং তার থাকা, খাওয়া এবং চিকিৎসা এর খরচ তার পরিবার বহন করতে হবে। তিন মাস কোর্সে মাদকাসক্ত ব্যাক্তির পরিবারের ৪০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।

তারা সেখানে খেলাধুলা সহ নানা কর্মসূচির মাধ্যামে মাদকাসক্ত ব্যাক্তিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন মাদক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। আপনি যদি কোথায় খুজে না পান, তাহলে বগুড়াতে পাবেন। অনেক ছেলে আছে মাদক থেকে বের হতে পারছেন ই না, তাদের জন্য আসলে উপকারি। অনেক পরিবার আছে যে তাদের পরিবারের সদস্যদের চায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে বা রিহ্যাব আসলে একজন মাদকে আসক্ত ব্যাক্তিকে সম্পন্নভাবে সুস্থ করতে ব্যাপক সাহায্য করে। এছাড়া ও পরিবার থেকে চাপে রাখলে অনেক পরিবারের মাদকাসক্ত ব্যাক্তি ভাল হয়ে যায়। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকল,মাদকে আসক্ত ব্যাক্তিদের ভাল করার জন্য মাদক নিরাময় কেন্দ্র বা রিহ্যাব দিবেন। তাহলে খুব সহজে মাদকাসক্ত ব্যাক্তি ফিরিয়ে আসবে স্বাভাবিক জীবনে।

আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-

Sk Shipon

  • ধন্যবাদ। 








7 thoughts on "সকল প্রকার মাদক ও নেশার আসক্ত থেকে একবারে মুক্তি পাওয়ার উপায়, সঠিক পরামর্শ জেনে নিন।"

  1. Zein Ahmed Author says:
    ke bolse apnake rehab ea madokashokti vlo hoy, shompurno vua, ek sho jone ek jon paben kina shondeho.
    ar ki jani bollen, madokashokto houa onek kothin, ekdm oprashongik thekeche bakkoti, arektu shajiye likhar poramorsho roilo
    1. Asif Contributor says:
      এটাও ঠিক
    2. Sk Shipon Author Post Creator says:
      মাদকাসক্ত হওয়া কঠিন, ধুপ করেই কেউ মাদকাসক্ত হতে পারে না। পরিবার এর চাপ প্রয়োগ করলে এত সহজে কেউ মাদকে আসক্ত হতে পারে না। এবং মাদকাসক্ত নিরাময় রিহ্যাব মাদক থেকে মুক্ত করতে সহায়তা করে এটাই ভাল উপায়। ধন্যবাদ।
  2. Asif Contributor says:
    ভালো পোস্ট
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ আপনাকে।
    2. Asif Contributor says:
      Welcome
  3. MD Hasan Xhmed Author says:
    ভালো বিষয়।

Leave a Reply