অনেকেই ফজরের আজানের
পরও ঘুম থেকে জেগে উঠতে
পারেন না। অলসতা বা অন্য
কোনো কারণে ঘুম ভাঙতে
চায় না। পরে বেলা উঠে
যাওয়ার পর ঘুম ভাঙলে
আফসোস হয়, হায়, নামাজটা
পড়া হলো না। দেখা গেলো,
তিনি ফজরের নামাজ
অধিকাংশ সময় কাজা আদায়
করেন। যারা নামাজের প্রতি
ভালোবাসা রাখেন তারা
সবাই বুঝতে পারেন যে,
কাজটা ভালো হচ্ছে না।
কিন্তু হয়ে উঠছে না যে।
তাদের জন্যে এই আলোচনা
আশা করি বেশ উপকারী
বিবেচিত হবে।
ফজরের নামাজ পড়তে ওঠাটা
আসলে যে খুব কঠিন, তা কিন্তু
নয়। এজন্য আপনাকে কয়েকটি
কাজ করতে হবে-

১. মনোবল দৃঢ় করতে হবে।
অর্থাৎ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে
হবে যে, আমি অবশ্যই ফজরের
নামাজ আদায় করব।

২. বেশি দেরি করে ঘুমানো
চলবে না। আমরা অনেক সময়
অনর্থক ঘুমাতে দেরি করি।
ঘুমাতে যাই, প্রায় দুপুর রাতে।
এর কারণেই ফজরের সময় ঘুম

থেকে ওঠা কঠিন হয়ে যায়।

৩. মোবাইলে বা টেবিল
ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করে
রাখুন। আজকাল মোবাইলে
রিমাইন্ডার সিস্টেমে থাকে,
যাতে টেক্স করে লিখে রাখুন,
‘নামাজের সময় হয়েছে’ বা এ
জাতীয় কিছু একটা।

৪. এলার্ম শোনার পরে ‘আর
একটু ঘুমিয়ে নিই’ এই মনোভাব
ত্যাগ করুন।

৫. যদি দেখা যায় যে,
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চান,
কিন্তু ঘুম আসছে না, তবে
কিছুটা দৈহিক পরিশ্রম বা
ব্যায়াম করে নিতে পারেন।
এর ফলে ক্লান্তির কারণে ঘুম
তাড়াতাড়ি আসে।

৬. বাসার বা পাশের ফ্লাটের
যিনি নিয়মিত ফজরের নামাজ
আদায় করেন, সংকোচ না করে
তাকে বলে রাখুন যে, তিনি
যেনো কষ্ট করে আপনাকে
ডেকে দেয়। এটা বেশ কার্যকর
পদ্ধতি।

৭. নিজেকে বলুন, ফজরের
নামাজ অন্যান্য নামাজের
মতই ফরজ এবং এর গুরুত্ব অনেক
ক্ষেত্রে আরো বেশি। সুতরাং
এ ক্ষেত্রে উদাসীনতার
কোনো সুযোগ নেই।

৮. ঘুমাতে যাবার সময় মৃত্যুর
কথা ভাবুন। ভাবুন, যদি
নামাজ না পড়া অবস্থায়
আপনার মৃত্যু হয়, তাহলে কী

কঠিন পরিণতি আপনার জন্যে
অপেক্ষা করছে।

৯. নিজের ভেতর থেকে
অলসতা ঝেড়ে ফেলে
নিজেকে একজন চিন্তাশীল,
দায়িত্ববান ও স্বাভাবিক
মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার
চেষ্টা করুন। তুলনা করে দেখুন,
উন্নত বিশ্বের লোকেরা খুব
ভোরে ঘুম থেকে ওঠে আর
আমরা দেরিতে উঠছি। যার
ফলে সময়ের বরকত হারিয়ে
ফেলছি আমরা। হাদিসে
আছে, সকালের ঘুম রিজিকের
সঙ্কট তৈরি করে।

১০. রাতের যেসব কাজ
আপনাকে ঘুমাতে যেতে দেরি
করায়, সেগুলো সকালে করার
অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাতে
আপনি দারুণ অনুভূতি পাবেন।
কেননা, সকালের বাতাসের
গন্ধ এতো সুন্দর যে, সেম
অভিজ্ঞতা বোঝাবার নয়।

Leave a Reply