কিভাবে কাজ করবেন আপওয়ার্কে ( পর্ব- ১)
২য় পর্ব
আজকের পর্বে আমি বলার চেষ্টা করবো কিভাবে আপনি প্রোফাইল সাজানোর পর মূল কাজে যাবেন এবং সফল হবেন। আশা করি এই লিখাটা ও আপনাদের বেশ কাজে দিবে।
আমরা যখন প্রোফাইল কমপ্লিট করলাম তখন আমরা বুজলাম আমরা এখন কাজ করার জন্য রেডি। আমরা ঠিক করে ফেলেছি কোন বিষয় এর উপর কাজ করবো, বায়ারদের বুঝিয়ে দিয়েছি আমরা কাজ করার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছি। সেটা বুঝিয়েছি পোর্টফলিও এবং স্কিল টেস্ট এর মাধ্যমে। এখন কি কি করতে হবে জানিয়ে দিচ্ছি।
দরকার আত্মবিশ্বাস
প্রথমেই আত্মবিশ্বাস দরকার। আপনি যদি মনে করেন এতো বড় বড় ফ্রীলাঞ্চের কত টাকা ইনকাম করছে আমি নতুন হিসেবে কিভাবে পারব তাহলে আপনার না পারার সম্ভবনা খুবই কম। আপনাকে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে অন্য সবার চেয়ে আপনি একটু অন্যরকম আর সেটা দিয়ে এই আপনি সফল হবেন।
দুর্বল পয়েন্টগুলকে শক্তিশালী পয়েন্ট এ কনভার্ট করুন
আপনার দুর্বল পয়েন্টগুলকে শক্তিশালী পয়েন্ট এ কনভার্ট করুন, কিভাবে? আপনি যদি মনে করেন আপনি অতটা ক্রিয়েটিভ না তাহলে মার্কেট প্লেস এ অনেক কাজ আছে যেগুলি করতে খুব বেশি ক্রিয়েটিভ হউয়ার প্রয়োজন নাই যেমন ধরেন লোগো রিমেক অথবা অন্য কোন ডিজাইন রিমেক, সেগুলি করুন। আপনি যদি মনে করেন আপনি রাত জেগে কাজ করতে পারবেন আপনাকে রাত জেগে কাজ করার দকার নেই, আপনি এশিয়া মহাদেশের কাজ করুন,অথবা অস্ট্রেলিয়া এর কাজ করুন। এই দেশগুলির সাথে আমাদের সময়ের পার্থক্য বেশি না তাই আমরা দিনের বেলাতাই তাদের কাজগুলি করতে পারব। আপনি যদি দিন এর বেলা না পারেন তাহলে রাতের বেলা কাজ করুন, আপনি অনেক দেশের বায়ার পাবেন। দেখলেন কিভাবে দুর্বল পয়েন্টকে করে ফেলবেন আপনার শক্তিশালী পয়েন্ট।
বুঝে শুনে জব এর জন্য অ্যাপ্লাই করুন
বুঝে শুনে জব এর জন্য অ্যাপ্লাই করুন.আগে আপওয়ার্কে সপ্তাহে ২০ টা করে জব এর জন্য অ্যাপ্লাই করা যেত কিন্তু মাসে আপনি ৩০ টা জব এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। তাই বুঝে শুনে অ্যাপ্লাই করুন। আপনি যেই কাজটি করতে পারবেন সেই জব এর জন্য অ্যাপ্লাই করুন
শিউর হয়ে জব অ্যাপ্লাই করুন
একদম শিউর হয়ে জব অ্যাপ্লাই করুন, আপনার মধ্যে যদি দ্বিধা থাকে তাহলে বায়ার আপনাকে কিভাবে জবটা দিবে। আপনি যখন দেখলেন বায়ার যা বলেছে আপনি সব কিছু পরিষ্কার ভাবে বুঝেছেন তখন ই অ্যাপ্লাই করুন, ছোট কোন বিষয় নিয়ে দ্বিধা থাকলে সমস্যা নেই সেটা পরে জেনে নেয়া যাবে।
যে জব এ অ্যাপ্লাই না করাই ভাল
অনেক সময় দেখবেন বায়ার জব ডেসক্রিপশন তেমন কিছু ই লিখে না। ” I need a designer” ” I need a logo” এরকম লেখা থাকে। এই ধরনের জব এ অ্যাপ্লাই না করাই ভাল। দেখা যাবে বায়ার কোন কিছুই বলবে না আর আপনি তো জানেন মাসে ৩০ টার বেশি অ্যাপ্লাই করা যায় না।
কি লিখবেন না কাভার লেটার এ
আপনি যখন অ্যাপ্লাই করবেন তখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাভার লেটার। সেটা নিয়ে এখন অনেক আলোচনা হয়, অনেকে অনেক রকম ভাবে কাভার লেটার লিখতে বলে। কেউ বলে কপি না করার জন্য, কেও বলে নিজের মতো করে লেখার জন্য, একদম ঠিক, কোন ভাবে ই কপি করা যাবে না অথবা কপি করে এডিট ও করা উচিত না। আপনার কাভার লেটার এর একটা লাইন দেখে ও যেন বায়ার না মনে করতে পারে আপনি এইটা কপি করে লিখছেন। তাহলে কিভাবে লিখবেন। নিজের মতো করে কিভাবে লেখে।
কাভার লেটার এ আপনার গুনগান গাওয়ার দরকার একদম ই নাই। আপনি কি কি পারেন, আপনি কত বছর ধরে কাজ করছেন, আপনি কতটা ক্রিয়েটিভ এগুলি তাকে বোঝানর দরকার নেই। বায়ার আপনার কাছ থেকে এগুলি বুঝতেও চাচ্ছে না। আর আমরা এখানেই ভুল করি, কত বছর এর অভিজ্ঞতা, এইটা সেইটা লিখে কাভার লেটার লিখি আর বায়ার হয়ত সেটা এক লাইন পড়ে আর পড়ে ই না
কাভার লেটার এ আপনার গুনগান গাওয়ার দরকার একদম ই নাই। আপনি কি কি পারেন, আপনি কত বছর ধরে কাজ করছেন, আপনি কতটা ক্রিয়েটিভ এগুলি তাকে বোঝানর দরকার নেই। বায়ার আপনার কাছ থেকে এগুলি বুঝতেও চাচ্ছে না। আর আমরা এখানেই ভুল করি, কত বছর এর অভিজ্ঞতা, এইটা সেইটা লিখে কাভার লেটার লিখি আর বায়ার হয়ত সেটা এক লাইন পড়ে আর পড়ে ই না
কি লিখবেন কাভার লেটার এ
আপনি খুব ভাল মতো পরবেন বায়ার কি চাচ্ছে। এই ধরেন একটা লোগো ডিজাইন তাহলে খুব ভাল মতো পড়ুন বায়ার কেমন লোগো চাচ্ছে। কোন কালারটা চাচ্ছে, কিরকম শেপ চাচ্ছে। যদি কোন ডিজাইন সংযুক্ত করে দেয় তাহলে অবশ্যই সেই ডিজাইন দেখে নিন। তারপর Cover letter লিখুন। এখানে ভাল হয় যদি আপনি বায়ার এর সাথে কিছু যোগ করে দিতে পারেন। সে যেই আইডিয়া আর কথা বলেছে সেটাকে আরও বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরুন। যেন বায়ার কল্পনা করতে পারবে আপনার ডিজাইনটি। যে কালার এর কথা বলবে সেটা নিয়ে একটু ভাবুন। গুগল এ দেখুন এরকম কোম্পানির লোগোতে কোন ধরনের কালার ব্যবহার করা হয় যদি দেখেন অন্য কালার বেশি ভাল লাগবে তাহলে সেটা বায়ার কে লিখুন। দেখবেন আপনার কাভার লেটার পড়ে সে আপনাকে মেসেজ পাঠাবে হয়ত বলবে আমি দেখতে চাই তুমি যে রকম বলেছ সেরকম ডিজাইন এ কেমন লাগে। এইতো শুরু হয়ে গেল। বায়ার কে একটা লোগো বানিয়ে দেন। মূল ফাইল দিবেন না, সাইজ এ ছোট করে একটা ডিজাইন পাঠান তবে এখানে যেইটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল আপনি যখন কাভার লেটার লিখবেন বুঝে লিখতে হবে আপনি যা বলছেন সেটা আপনি করতে পারবেন কিনা। আপনার লিখার সাথে যদি আপনার ডিজাইন এর মিল না থাকে তাহলে কিন্তু বায়ারকে আপনি পাবেন না। তাই লেখার সাথে ডিজাইন এর মিল থাকতে হবে। আপনি কিছু অফার দিতে পারেন যেমন ৩ টা আইডিয়া দিবেন, আনলিমিটেড রিভিশন দিবেন কাজ পছন্দ না হলে টাকা ফেরত দিবেন এগুলি থাকতে পারে আপনার কাভার লেটার এ। নতুন হিসেবে একটু কষ্ট আপনাকে করতে হবে।
কাজ পাওয়ার পর কি করবেন
আপনি যখন কাজ পেয়ে গেলেন তখন আপনার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল বায়ার এর প্রতি। কারন বায়ার আপনাকে বিশ্বাস করে কাজটি দিয়েছে। তাই ঠিক সময় মতো কাজ সাবমিট করার চেষ্টা করুন,জদি না পারেন বায়ারকে বলুন, বায়ার হয়ত আপনাকে সময় বারিয়ে দিতে পারে। কাজ করতে গিয়ে কোন সমস্যায় পড়লে বায়ার সাথে যোগাযোগ করুন। বায়ার যে যে ফরম্যাট এ ডিজাইন চাইবে সেই ফরম্যাট এ ডিজাইন সাবমিট করুন। পড়ে এরকম বলবেন না এই ফাইল ফরম্যাট এ দিলে আমাকে বেশি টাকা দিতে হবে। মনে রাখবেন প্রথমে টাকার থেকে আপনার রেপুটেশন বেশি দরকার, তাই বায়ারকে আপনার খুসি রাখতে হবে।
কাজ না পেলে হতাশ হবেন না
৮. হতাশ হউয়া যাবে না। অনেকে আপনাকে হয়ত বলবে সে ৪-৫ বছর ধরে চেষ্টা করছে কিছু হচ্ছে তাই আপনার ও হবে না, যারা ৪-৫ বছর ধরে চেষ্টা করে কোন কাজ পাই নাই তাদের চেষ্টা কি রকম চেষ্টা ছিল সেটা বুঝে নিন।
নিজের বেস্ট দেয়ার চেষ্টা করুন
বায়ার আপনাকে দিয়ে কাজ করাবে। তার সামনে অনেক ক্যান্ডিডেট আর সে অবশ্যই ভাল কিছুই চাইবে। তাই চেষ্টা করুন ডিজাইন এ অথবা আপনি যেখানেই কাজ করেন আপনার বেস্ট দেয়ার জন্য, সব সময় অনুশীলন চালিয়ে যান, নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, দেখবেন আপনি ঠিক ই পারবেন।
আশা করি upwork এর উপর আমার দুই পর্বের লেখা আপনাদের ভাল লেগেছে, কিছুটা হলে ও কাজে লাগবে। চেষ্টা করবো সামনে আরও লেখা নিয়ে আশার। আপনাদের সাথে পাব আশা করছি। ধন্যবাদ
যারা প্রথম পর্ব পরেন নি তারা প্রথম পর্ব পড়ে নিতে পারেন নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে।
2 thoughts on "কিভাবে কাজ করবেন আপওয়ার্কে ( পর্ব- ২)"