আসসালামু’আলাইকুম
গত পর্বে আমরা অনলাইনে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু সম্পর্কে ধারনা লাভ করেছি। এই পর্বে আমি অনলাইনে কাজ করার পূর্বে কিরকম প্রোফাইল, পোর্টফলিও ও কাজের নমুনা বা স্যাম্পল দরকার হয় তা আলোচনা করব।
- Profile:
Profile হল আপনার ব্যাক্তিগত পরিচয়পত্র। এখানে আমি প্রোফাইল বলতে সোস্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলগুলোকে বুঝিয়েছি। অনলাইনের অনেক কাজ করার জন্য সোস্যাল মিডিয়া প্রয়োজন পরে। যেমন আপনার ডিজাইন করা পণ্য বিক্রি করতে, রেফার সংগ্রহ করতে আবার কিছু সোস্যাল মিডিয়া থেকে সরাসরি টাকাও আয় করা যায়। আসলে সোস্যাল মিডিয়ার প্রধান উপকার হল Inspiration পাওয়া। ভিবিন্ন সোস্যাল মিডিয়া থেকে ভিন্ন ভিন্ন উপকার পাওয়া যায়।
Facebook: ফেসবুক হল আলরাউন্ডার একটি সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। অনলাইনে যে কাজই করবেন সেই কাজের গ্রুপগুলোতে জয়েন করবেন। সেই কাজের/কম্পানির অফিসিয়াল পেজে লাইক দিয়ে রাখবেন। ফলে আপনি কাজটি সম্পর্কে আপ টু ডেট থাকবেন।
Google plus: গুগল প্লাস ব্যবহার করার প্রধান কারন হল কমিউনুটিতে জয়েন করা। যেখানে আপনি পোস্ট করতে পারবেন এবং হাজার হাজার ইউজাররা তা দেখতে পারবে। রেফার পাওয়ার জন্য একটি ভাল প্লাটফর্ম।
Pinterest:Pinterest হল অনুপ্রেরনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল যায়গা। আপনি যদি ডিজাইন করার জন্য কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার Pinterest ব্যব্যহার করা উচিত ।
Quora: আমার মতে যে যাই কাজ করুক না কেন তার quora ব্যবহার করা উচিত। গুগলে প্রশ্নবোধক সার্চ করলে 30%(approx) সময়ই quora এর রেজাল্ট আসে। আপনি যে প্রশ্নই করুন না কেন তার উত্তর quora তে পাবেন।
এভাবে আরও অনেক সোস্যাল মিডিয়াতে এক্টিভ থাকুন। একটা ভাল পজিশন রাখুন, অধিক ফলোয়ার সংগ্রহ করুন এবং নিয়মিত লেখালেখি করুন দেখবেন আপনার কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
- Portfolio
পোর্টফলিও থাকাটা অনলাইনে কাজ করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি কোন বিষয়ের উপর দক্ষ, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কোন কাজের উপর জড়িত ছিলেন তা পাবার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান আপনাকে জিজ্ঞাস করতে পারে। এক্ষত্রে আপনি আপনার পোর্টফলিও এর লিংক দিয়ে দিলে কাজ পাবার সম্ভাবনা বেরে যায়। অনেক প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার তাদের পোর্টফলিও নতুন ওয়েভসাইট ও নিজের নামে ডুমেইন কিনে তৈরী করে। আপাতত কাজ শুরু করার জন্য about.me থেকে আপনার পোর্টফলিও তৈরী করে নিন।
- Sample
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক কম্পানি কাজের নমুনা চায় । এজন্য আপনাকে কাজ ভিত্তিক কিছু সাইটে আপনার কাজের নমুনা আপলোড করে রাখতে হয়। অনলাইনে অন্যতম কাজ হল লেখালেখি করা। তাই কেউ যদি আপনার লেখার স্যাম্পল দেখানুর জন্য জিজ্ঞেস করে আপনি পূর্বে লিখেছেন তা দেখাতে হবে। যদি ব্লগ থাকে তাহলে ত ভালই হয়। অথবা LinkedIn pulse, Buzzfeed বা medium এ লিখতে পারবেন। আবার আপনার কাজ যদি লগো বা গ্রাফিক্স ডিজাইন হয় তাহলে behance এ আপলোড দিয়ে রাখেন। আর যদি তা ভিডিও হয় তাহলে তা YouTube এ আপলোড দিয়ে রাখবেন।
2 thoughts on "অনলাইনে আয়ের গাইডেন্স [পর্ব-০৩] :: Profile, Portfolio এবং Sample"