আসসালামু আলাইকুম
সকলকে অনেক অনেক প্রিতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে পেওনিয়ার প্রিপেইড মাস্টার কার্ড কে কেন্দ্র করে আজকের গুরুত্বপুর্ন আর্টিকেল সুরু করছি। আশা করি সম্পুর্ন পোস্ট মন দিয়ে পড়বেন
পেওনিয়ার কী কী চার্জ কাটে ???
1. বুথ থেকে উত্তোলন চার্জ: বুথ
থেকে প্রতিবার উত্তোলনের জন্য
পেওনিয়ার $৩.১৫ ডলার চার্জ কাটবে।
এক্ষেত্রে বুথ থেকে ১০,০০০ টাকা
উত্তোলন করলেও $৩.১৫ ডলার চার্জ
কাটবে আবার ২০,০০০ টাকা উত্তোলন
করলেও $৩.১৫ ডলার চার্জ কাটবে।
যতবার আপনি কার্ডদিয়ে বুথ থেকে
টাকা উত্তোলন করবেন তত বার উক্ত
এমাউন্ট কাটা হবে।
২.বার্ষিক চার্জ : অনেক পেমেন্ট
সিস্টেমে বার্ষিক চার্জ বলে কিছু নেই।
কিন্তু পেওনিয়ারে বার্ষিক চার্জ আছে।
বার্ষিক চার্জের পরিমান হল $২৯ ডলার,
যা প্রত্যেক বছরই আপনাকে পরিশোধ
করতে হবে।
৩.প্রথম বার্ষিক চার্জ : আমরা অনেকেই
প্রথম বার্ষিক চার্জের বিষয়ে দ্বিধায়
থাকি। প্রথম বার্ষিক চার্জ কাটা হবে
তখনই যখন আপনি আপনার কার্ডটি একটিভ করে এতে $২৯ ডলারের বেশি লোড করবেন। ধরুণ আপনি কার্ড একটিভ করার পর $৫০ ডলার লোড করলেন। এক্ষেত্রে পেওনিয়ার $২৯ ডলার কেটে নিবে
তৎক্ষণাত আর আপনার ব্যালেন্সে থাকবে
মাত্র $২১ ডলার।
৪. উত্তোলন বাতিল চার্জ : সম্প্রতি বুথ
থেকে পেওনিয়ার দিয়ে টাকা
উত্তোলনের সময় বুথে টাকা আটকে
যাওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।
এরূপ বুথে টাকা আটকে যাওয়া বা অন্য
কোন কারণে উত্তোলন কমান্ড বাতিল
হলে প্রতি বার আপনাকে $১ ডলার করে
চার্জ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কোন
দোষ থাক বা না থাক আপনাকে চার্জ
দিতে হবে।
৫. ডলার ট্রান্সফার চার্জ : এক
পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে আন্য
পেওনিয়ার একাউন্টে ডলার ট্রান্সফার
করতে কোন চার্জ দিতে হয় না।
৬. ডলার লোডেড চার্জ : কোন কোম্পানি
বা সাইট থেকে আপনার পেওনিয়ার
একাউন্টে ডলার লোড করার জন্য
পেওনিয়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ
কাটে যা মূলত $২ থেকে $৫ ডলারের মধ্যে
সীমাবদ্ধ থাকে। এক্ষেত্রে উক্ত চার্জ
আপনার কোম্পানি বা সাইট পরিশোধ না
করলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে।
৭. ব্যালান্স চেকিং চার্জ : বর্তমান
পেওনিয়ার ব্যালান্সের বিপরীতে কত
টাকা হয় তা জানার জন্য প্রায়ই আমরা বুথ
থেকে ব্যালান্স চেক করি। আর প্রতি বার
এই ব্যালান্স চেকিং এর জন্য আপনাকে
দিতে হবে $১ ডলার করে
কিছু এডভান্স প্রশ্নের উওর
১. ফাইবার থেকে সরাসরি ব্যাংক
ট্রান্সফার করা যাবে?
উঃ যাবে না এক্ষেত্রে পেওনিয়ারের
মাধ্যমে ব্যাংক ট্রান্সফার করতে
পারবেন।
২. পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে কি কি
লাগবে?
উঃ অনলাইন ভোটার আইডি কপি দিয়ে
হবে না। এক্ষেত্রে পুরাতন ভোটার আইডি
বা স্মার্ট কার্ড বা পাসপোর্ট লাগবে।
৩. আমার ভোটার আইডি নেই কি করতে
পারি?
উঃ এক্ষেত্রে আপনার ফ্যামেলির যার
আছে তার ডিটেইলস দিয়ে পেওনিয়ার
খুলতে পারেন। ফাইবার একাউন্ট নাম আর
পেওনিয়ার নাম এক না হলেও চলবে।
৪. ফাইবার থেকে পেওনিয়ার সর্বনিম্ন কত
তুলতে পারব?
উঃ ফাইবার থেকে সর্বনিম্ন পেওনিয়ারে
৫ ডলার তুলতে পারবেন। আর পেওনিয়ার টু
ব্যাংক সর্বনিম্ন ৫০ ডলার।
৫. একি পেওনিয়ার একাউন্ট দিয়ে
একাধিক ফাইবার একাউন্টে ডলার তোলা
যাবে?
উঃ না একটা পেওনিয়ার একটা ফাইবার
একাউন্টেই ব্যবহার করতে পারবেন।
৬. ফাইবার থেকে পেওনিয়ার এবং
পেওনিয়ার থেকে ব্যাংক উইথড্রতে
চার্জ কাটে কি?
উঃ আপনি যদি পেওনিয়ারে মাস্টার
কার্ড না ন্যন তাহলে সেক্ষেত্রে কোন
রকম চার্জ কাটবে না। এক্ষেত্রে ফাইবার
টু পেওনিয়ার , পেওনিয়ার টু ব্যাংক
পুরোপুরি ফ্রি। আর পেওনিয়ারে যদি
মাস্টার কার্ড ন্যান সেক্ষেত্রে ফাইবার
আবার পেওনিয়ার টু ব্যাংক ২% চার্জ
কাটবে। তবে এটা কিছু পেওনিয়ারে
কাটে আবার কিছু পেওনিয়ারে কাটে না।
এর সঠিক ব্যাখ্যা নেই।
৭. পেওনিয়ারে বার্ষিক চার্জ কত?
উঃ পেওনিয়ারে মাস্টার কার্ড নিলে
বার্ষিক চার্জ ২৯ ডলার আর যদি আপনার
কার্ড না থাকে তাহলে কোন চার্জ নেই।
৮. পেওনিয়ার ব্যাংক সম্পর্কিত
বিস্তারিত
উঃ পেওনিয়ারে আপনি সর্বোচ্চ ৩টা
ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট
নামের সাথে ব্যাংক একাউন্ট নাম না
মিললেও চলবে। আপনার যদি ইচ্ছা হয়
আমি ৩টা এড করে রাখব যখন যেইটায় ইচ্ছা
হয় তুলব তাহলে তুলতে পারবেন কোন
সমস্যা নেই।
৯. পেওনিয়ারে ডাচ বাংলা মোবাইল
ব্যাংকিং(রকেট) এড করা যাবে?
উঃ হ্যা যাবে এজন্য ইউটিউবে কিছু
ভিডিও টিউটরিয়াল আছে সেগুলো ফলো
করুন।
১০. ব্যাংক উইথড্র দিলে কত দিন লাগে
টাকা ব্যাংকে জমা হতে?
উঃ পেওনিয়ার টু ব্যাংক ৪ বিজনেস দিন
লাগে। এক্ষেত্রে একটু বিস্তারিত বলছি
আপনাদের উপকারে আসবে। বাংলাদেশে
পেওনিয়ারের পার্টনার এশিয়া ব্যাংক।
পেওনিয়ার প্রতিদিন বাংলাদেশ সময়
সকাল ১২- ২ টার মধ্যে ডলার এশিয়া
ব্যাংকে ট্রান্সফার করে। এক্ষেত্রে
আপনি যদি সকাল ১১টায় ব্যাংকে উইথড্র
দ্যান তাহলে পরের দিন ব্যাংকে পেয়ে
যাবেন। আর যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট
এশিয়ার হলে সেক্ষেত্রে দিনের দিন
পেয়ে যাবেন। আর যদি ১২ টার পর
ব্যাংকে উইথড্র দ্যান সেক্ষেত্রে পরের
দিন মেইল পাবেন আর তার পরের দিন
ব্যাংকে টাকা এড হবে। তবে বিজনেস
ডেতে হতে হবে। সাপোস আপনি যদি
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উইথড্র দ্যান
সেক্ষেত্রে রবিবার ব্যাংকে টাকা এড
হবে। তবে আমার জানা মতে রকেটে
উইথড্র দিলে একটু লেট হয়।
১৩. একটা পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে
একাধিক মার্কেটপ্লেস থেকে ডলার
তুলতে পারব?
উঃ হ্যা অবশ্যই পারবেন।
১৪. ফাইবারে এড করা পেওনিয়ার
একাউন্ট চেঞ্জ করতে পারব?
উঃ হ্যা পারবেন কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার
পেওনিয়ার একাউন্ট ডিজেবল হয়ে গেলে
পারবেন না। একমাত্র আপনার এড করা
পেওনিয়ার একাউন্ট ঠিক থাকলে
সাপোর্টে উপযুক্ত কারন দেখালে তারা
চেঞ্জ করে দেবে। এই বিষয়ে আমাদের
গ্রুপে একটা ডকুমেন্ট আছে দেখতে
পারেন। আপনি উপযুক্ত কারন না দেখাতে
পারলে তারা রিমুভ করবে না। এক্ষেত্রে
ফাইবার আপনাকে কোন হেল্প করবে না।
যা করার পেওনিয়ারের মাধ্যমেই করতে
হবে। পেওনিয়ার যখন ফাইবার থেকে
রিমুভ করে দিবে তখন আপনার নিউ
পেওনিয়ার ফাইবারে এড করতে পারবেন।
১৫. পেওনিয়ার একাউন্ট ডিজেবল হয়ে
গেছে একি ভোটার আইডি দিয়ে নিউ
পেওনিয়ার খুলতে পারব?
উঃ না পারবেন না।
১৬. পেওনিয়ার ডিজেবল হয়ে গেছে
ফাইবার থেকে কিভাবে উইথড্র দিব?
উঃ এক্ষেত্রে পেপালের মাধ্যমে উইথড্র
দিতে হবে। বাংলাদেশ থেকে
ভ্যারিফাইড পেপাল খোলার কোন ওয়ে
নেই। আপনার বিদেশে কেউ পরিচিত
থাকলে তার ডিটেইলস দিয়ে খুলতে
পারেন।
১৭. পেওনিয়ার কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে
যাচ্ছে নিউ কার্ড কিভাবে এপ্লাই করব?
উঃ এক্ষেত্রে পেওনিয়ার লাইভ চ্যাটে
কথা বলুন বা তাদের স্কাইপি থেকে ফ্রি
কল দিন।
১৮. পেওনিয়ারে ডলার রেট কি একেক
ব্যাংকে একেক রকম?
উঃ মজার বিষয় হল আমি অনেকজনকেই
দেখছি যারা এইরকম ভাবে যে একেক
ব্যাংকে একেক রকম রেট দেয়। আসলে
পেওনিয়ার রেট ৫ মিনিট পর পর চেঞ্জ হয়।
তাই অনেকে মাত্র যেখানে ব্র্যাকে ৮২
পেল সেখানে ১০ মিনিট পর এশিয়া
ব্যাংকে কেউ ৮২.৫০ পেল। এইটা দেখে
অনেকে ভাবে একেকে ব্যাংকে একেক
পাওয়া যায়। মার্কেটে যে ডলার রেট
থাকে তার ২% কনভার্সন কসট কেটে
তারা রেট দেয়।
১৯. পেওনিয়ারে মাস্টার কার্ড কিভাবে
এপ্লাই করব?
উঃ পেওনিয়ারে কার্ড এপ্লাই করতে হলে
যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে ১০০ ডলার
লোড করতে হবে এর পর কার্ড এপ্লাই
করার অপশন পাবেন।
২০. কার্ড এপ্লাই করছি অনেকবার কিন্তু
পাই নাই কি করতে পারি?
উঃ এক্ষেত্রে আপনি ডিএইচএল সিপিং
এর মাধমে আনাতে পারেন। এই ওয়েতে
তারা ৪০ ডলার চার্জ করে। কার্ড পাওয়ার
চান্স থাকে অনেক+৪-৫ বিজনেস দিনের
মধ্যে পেয়ে যাবেন।
২১. ফাইবারে ব্যাংক ট্রান্সফারে ক্লিক
করছি এক্ষেত্রে ডাইরেক্ট কি ব্যাংকে
এড হবে?
উঃ না, এক্ষেত্রে সেই ডলার
পেওনিয়ারে এড হবে এর পর পেওনিয়ার
থেকে ব্যাংকে তুলতে হবে।
২২. পেওনিয়ার থেকে ব্যাংকে তোলার
পর ভ্যারিফিকেশন চাচ্ছে আমার ভোটার
আইডি নেই কি করব?
উঃ এক্ষেত্রে পাসপোর্ট দ্বিতীয় অপশন।
স্মার্ট কার্ড পেতে দেরী হলে আমি
পাসপোর্ট বানানোর পরামর্শ দেব। আর
পাসপোর্ট সাবমিট দিলে কোন ঝামেলা
ছাড়া এপ্রোভ করে।
২৩. ফাইবার থেকে পেওনিয়ারে ফাস্ট
টাইম উইথড্র দিলে ডলার লোড হতে
কতক্ষন লাগে?
উঃ ১ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা। নরমালি ৫
ঘন্টার মধ্যে ডলার এড হয়ে যায়।
আমি গ্রুপে পোস্ট করেছিলাম আপনাদের
পেওনিয়ার সম্পর্কে প্রশ্ন করার জন্য
সেখানে রেস্পন্স খুব কম পেয়েছি। আমার
কাছে যতগুলো মনে হয়েছে আমি এখানে
তুলে ধরেছি। এবাদে আপনাদের প্রশ্ন
থাকলে কমেন্টে করতে পারেন ভবিষ্যতে
উত্তরসহ ডকুমেন্ট আপডেট করা হবে।
পেওনিয়ার একাউন্ট কোন সমস্যা ছাড়া
ব্যবহার করার জন্য আমি কিছু পরামর্শ
দিতে চাই। প্রথমত পেওনিয়ার একাউন্ট এর
সিকুরিটি প্রশ্নের উত্তরগুলো অবশ্যই মনে
রাখবেন। কারন প্রথম উইথড্র করতে গেলে
এটা চায় তখন ভুল উত্তর দিলে একাউন্ট
ব্লক করে দেবে। আবার আনব্লক করতে
অনেক ঝামেলা হবে।
আপনার যদি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড
খুবই দরকার না হয় আমি কার্ড নিতে মানা
করব। কারন পেওনিয়ার ম্যাক্সিমাম
একাউন্ট ব্লক করে দেয় যাদের একাউন্টে
কার্ড থাকে। আপনি যদি কার্ড ছাড়া
একাউন্ট চালান প্রথমত একাউন্ট ব্লকের
কোন ভয় থাকবে না, এছাড়া বার্ষিক
চার্জ নেই আবার উইথড্র কোন ফি নেই।
শুধুমাত্র ফাইবার একাউন্ট এর ডলার
ব্যাংকে তুলতে হলে এইটা ভালো উপাই।
আর পেওনিয়ার টু পেওনিয়ার ডলার সেন্ড
না করাই ভালো। কারন অনেকের একাউন্ট
ব্লক করে দিছে আনভ্যারিফাইড
পেওনিয়ার লেনদেনের কারনে।
আমি কিছু জিনিসের বিস্তারিত
আলোচনা করি নাই যেগুলা আপনারা
ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও টিউটরিয়াল
দেখে করে নিতে পারেন। যেমন অনেকেই
ব্যাংক একাউন্ট এড বা ফাইবারে
পেওনিয়ার এড কিভাবে করতে হয় জানতে
চান।
আপনি একজন ফ্রিলাঞ্চার হিসাবে
আপনাকে অবশ্যই গুগল আর ইউটিউবে
ব্যবহারে পটু হতে হবে।
পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ভুল ত্রুটি
ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পোস্ট ভালো
লাগলে জানাতে ভুলবেন না। পোস্টটি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আশা করি আপনাদের
উপকারে আসবে।
সুএ ইন্টারনেট
ফেসবুকে আমি
Keep it up..
এছাড়া আলোকসজ্জা, সেন্সর ও ছবি সম্পাদনার
কাজেও বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ফাইভার.কম হচ্ছে ছোট একটা অনলাইন মার্কেটপ্লেস। কিন্তু
কাজের ক্ষেত্র বর্তমানে এত বড় হয়েছে যে, এখানে
কাজ কখনো ফুরাবে না।