আসসালামু আলাইকুম ।
অনেকেই প্রতিনিয়ত পোস্ট করে জানতে চায় কিভাবে ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট ভেরিফাই করা যায় । এবং কোনো ঝামেলা ছাড়া । তাহলে চলুন শুরু করা যাক। অনুরোধ থাকবে পোস্ট আগে সুন্দর করে পড়বেন এরপরে মেসেজ বা কমেন্টস করবেন।
কিছু জিনিস মাথায় রাখবেন ।
- ভেরিফিকেশনের সময় দুই আইডি লগিন থাকা অবস্থায় ভেরিফিকেশন করবেন না।
- ভেরিভাই করার আগে যে আইডি বর্তমান পিসিতে লগিন আছে সেটাতে নতুন আইডি লগিন করবেন না।
- ভেরিফাই করার আগে প্রতিটা স্টেপ ভালো ভাবে চেক করে পরের স্টেপে যাবেন।
স্টেপ ০১।
প্রথমে ড্যাশবোর্ড থেকে সেটিংসে চলে যান।
প্রোফাইল ডিটেইলসে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড/পাসপোর্ট এর সকল তথ্যাদি সম্পূর্ণ সঠিক ভাবে লিখুন । ফার্স্ট নেম, লাস্ট নেম, এড্রেস, সিটি, জীপ/পোস্ট কোড, স্টেট/ প্রোভিন্স, কান্ট্রি চেঞ্জ করতে পারবেন না। কারণ, আপনি যে দেশে থাকবেন সেই দেশ একাউন্ট ক্রিয়েট করার সাথে সাথে সিলেক্ট হয়ে যায় ।
স্টেপ ০২ ।
এরপরে আইডিন্টিটি ভেরিফিকেশনে চলে যাবেন । আইডি ভেরিফিকেশন করতে হলে কি কি প্রয়োজন হবে সেগুলো ভেরিফিকেশন সেন্টারে গেলে দেখতে পারবেন । কিন্তু আমি লিখে দিচ্ছি কি কি প্রয়োজন্য হবে আইডি ভেরিফিকেশনের জন্য।
Proof Of Your Identity.
আইডি ভেরিফাই করতে হলে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত ডকুমেন্টস লাগবে । কি কি ডকুমেন্টস আইডি ভেরিফিকেশনের কাজে লাগতে পারে সেগুলো নিম্নরূপঃ
- পাসপোর্ট
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড (অবশ্যই স্মার্ট আইডি কার্ড)
- অন্য যেকোনো আইডি কার্ড কিন্তু সরকার অনুমোদিত হতে হবে। উল্লেখ্য যে, অই কার্ডে আপনার নাম, ছবি, জন্ম তারিখ, এবং আপনার স্বাক্ষর অবশ্যই থাকতে হবে। না হলে ভেরিফিকেশন হবে না।
ফ্রিল্যান্সার আইডি ভেরিফিকেশন পলিসি জানতে চাইলে এই লিংকে যেতে পারেন। আরো কি কি ডকুমেন্টস দিয়ে ভেরিফাই করতে পারবেন সেগুলো জানতে চাইলে এই লিংকে যেতে পারেন।
Keycode Verification.
ফ্রিল্যান্সার থেকে আপনাকে একটা ইউনিক কিকোড দেওয়া হবে । অই কোডটা একটা সাদা খাতায় লিখে বা প্রিন্ট করে সুন্দর করে ছবি তুলতে হবে । দুইহাতে দুইটা ডকুমেন্টস নিয়ে পিক তুলবেন। এক হাতে কিকোড আরেক হাতে ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড/পাসপোর্ট ।
Proof of Address.
এরপরে আপনাকে আপনার এড্রেস ভেরিফাই করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই এমন ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে যাতে আপনার পুরো নাম এবং ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং অবশ্যই প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বরটি অবশ্যই স্পষ্টভাবে দেখা যায় । নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস গুলো সাবমিট করা যেতে পারেঃ
- ব্যাংক বিবৃতি (গত 3 মাসের মধ্যে ইস্যু করা)
- ইউটিলিটি বিল (গত 3 মাসের মধ্যে ইস্যু করা)
- আবাস আইডি/পারমিট
- অন্য যেকোনো ডকুমেন্টস কিন্তু সরকার অনুমোদিত হতে হবে। উল্লেখ্য যে, অই ডকুমেন্টসে আপনার নাম, ছবি, জন্ম তারিখ, এবং আপনার স্বাক্ষর অবশ্যই থাকতে হবে।
স্টেপ ০৩।
ভেরিফাই মাই আইডিন্টিটিতে ক্লিক করার পরে আপনাকে তার পরে স্টেপে নিয়ে আসবে । এখান থেকে আপনাকে কান্ট্রি/দেশ সিলেক্ট করতে হবে। আপনি কোন দেশে থাকেন সেটা বক্স থেকে সিলেক্ট করে দিতে হবে। এরপরে নেক্সট বাটনে প্রেস করুণ।
স্টেপ ০৪।
কান্ট্রি সিলেক্ট করার পরে আপনাকে পরের ধাপে নিয়ে আসবে। কাস্টমার ইনফরম্যাশনে আসার পরে আপনার জাতীয় আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্টে দেওয়া নাম অনুযায়ী এখানেও সেই একই নাম এবং জন্ম তারিখ লিখবেন। এরপরে নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন।
স্টেপ ০৫।
পরবর্তি ধাপে আসার পরে আপনাকে কার্ড ইস্যুকৃত দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে। মনে করেন, আমার আইডি কার্ড বাংলাদেশ থেকে ইস্যু করা তাহলে আমি অবশ্যই বাংলাদেশ সিলেক্ট করবো । দেশ সিলেক্ট করার পরে ডান পাশে আরেকটা বক্স ওপেন করে আপনার কার্ড কোন টাইপ এর যেমনঃ পাসপোর্ট/ভোটার আইডি কার্ড/আর্মেড ফোর্স কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড এগুলোর মধ্যে একটা সিলেক্ট করতে হবে। এরপরে নিচের বক্সে আইডি নাম্বার লিখবেন, এরপরে আপনার কার্ডের এক্সপায়ার তারিখ লিখবেন এবং আপনার যে কার্ড সেই কার্ডের ফোর্ন্ট পার্ট এবং ব্যাক পার্টের ছবি তুলবেন। তুলে ফর্ন্ট পার্টের বক্সে ফর্ন্ট পার্ট এবং ব্যাক পার্টের বক্সে ব্যাক পার্ট এর ছবি আপলোড করবেন এরপরে সেভ অ্যান্ড নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন। না বুঝলে নিচের ইমেইজ দেখুন।
স্টেপ ০৬।
কিকোড ভেরিফিকেশনে আসার পরে ফ্রিল্যান্সার থেকে একটা ইউনিক কোড আপনাকে দিবে । আপনি সেই কোডটা প্রিন্ট করবেন অথবা কোনো সাদা খাতায় লিখে ছবি তুলবেন ঠিক নিচে দেওয়া ছবির মত করে ।
এইভাবে ছবি তুলে আপলোড করে দিবেন এরপরে নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন।
স্টেপ ০৭।
এখন আপনাকে আপনার পরিপূর্ণ এড্রেস দিতে হবে । অবশ্যই সেই এড্রেস দিবেন যেটা আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড/পাসপোর্ট রয়েছে । অন্য এড্রেস দিলে ভেরিফিকেশন ক্যান্সেল করে দিতে পারে।
স্টেপ ০৮।
এরপরের স্টেপে এসে এড্রেস যেটা দিলে সেটার প্রমাণ দিতে হবে। ডকুমেন্টস ইনফোরম্যাশন দিয়ে দেন এখন। ডকুমেন্ট এর টাইপ সিলেক্ট করেন যদি ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইউটিলিটি বিল, আবাস আইডি/পারমিট অন্য যেকোনো ডকুমেন্টস কিন্তু সরকার অনুমোদিত হতে হবে। উল্লেখ্য যে, অই ডকুমেন্টসে আপনার নাম, ছবি, জন্ম তারিখ, এবং আপনার স্বাক্ষর অবশ্যই থাকতে হবে। সেই ডকুমেন্ট টা সিলেক্ট করেন । ইন্সটিটিউনশনের নাম। মানে যে কোন কম্পানি বা যেখান থেকে এই সকল ডকুমেন্টস পেয়েছেন তার নাম লিখবেন। যেমনঃ বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরে ইস্যুকৃত তারিখ লেখেন এবং নেক্সট বাটনে ক্লিক এবং আবার সেভ নেক্সট বাটনে করেন ।
স্টেপ ০৯।
এতো সময় ধরে যা যা তথ্য দিয়েছেন সেগুলো শুরু থেকে আবার ২-৩ বার রিভিউ করেন । কোনো ভুল পেলে এডিট বাটনে ক্লিক করে এডিট করে নিতে পারেন। এরপরে সাবমিট ফর রিভিউ বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করেন দেন।
স্টেপ ১০।
সাবমিট করার আগে আবার ফনফার্ম করতে বলবে। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করতে হবে। কোনো ভুল হলে এডিট করে পুনরায় সাবমিট করতে হবে। কনফার্ম বাটনে প্রেস করার পরে আপনি এই ধরণের একটা মেসেজ আপনার ড্যাশবোর্ডে দেখতে পাবেন।
শেষ কথাঃ
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি ২-৩ দিনের মধ্যে কনফার্মেশন মেইল পাবেন। আপনাকে স্বাগতম জানাবেন ।
আপনি সফল ভাবে আপনার আইডিন্টিটি ভেরিফাই করতে পেরেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার যদি কোনো কিছু জানার থাকে তাহলে মেসেজ/ কমেন্টস করতে পারেন । যথা স্বাধ্য চেষ্টা করবো আপনাকে হেল্প করার জন্য।
লেখাঃ এম এইচ মামুন।
প্রথম প্রকাশিতঃ মামুন্স ব্লগ ডট নেট