প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল
আলোচিত রবি-এয়ারটেল একীভূত
হওয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন
দিয়েছেন।একইসঙ্গে তিনি একীভূত
ফি, তরঙ্গ চার্জ ও অন্যান্য শর্ত
অপরিবর্তিত রেখেছেন।

সোমবার পিআইডির এক কর্মকর্তা
জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রবিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ
বিভাগের (পিটিডি) পাঠানো
একীভূত প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দু’টি
অপারেটরের একীভূতকরণের জন্য
পিটিডি’র আরোপিত সব শর্ত অনুমোদন
করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দেশে
টেলিযোগাযোগ খাতে প্রথমবারের
মত দুইটি অপারেটরের একীভূত হওয়ার
বিষয়টি প্রায় নিষ্পত্তি হতে চলেছে।

গত ২৪ জুলাই পিটিডি একীভূত ফি ১০০
কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত করে একীভূত
প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার কাছে তার
অনুমোদনের জন্য পাঠায়।

তিনি বলেন, একত্রীকরণ ফি ছাড়াও
পিটিডি প্রতি মেগাহার্টজ টুজি
তরঙ্গের জন্য ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা
নির্ধারণ করেছে।

এর আগে গত ১৩ জুলাই অর্থমন্ত্রী এ এম এ
মুহিতের সভাপতিত্বে
আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বৈঠকে
একত্রীকরণ ফি ও তরঙ্গের মূল্য চূড়ান্ত
করা হয়।

পিটিডি প্রস্তাবে দুটি মোবাইল
ফোন অপারেটরের একীভূতকরণের বেশ
কয়েকটি শর্ত একত্রীকরণ করেছে।

বর্তমানে এয়ারটেল ১৫
মেগাহার্টজের টুজি তরঙ্গ ব্যবহার
করছে এবং এর লাইসেন্সের মেয়াদ
২০২০ সালে শেষ হবে। রবি সমগ্র
তরঙ্গের অধিকার লাভ করলে এই
অপারেটরকে টেলিকম নিয়ন্ত্রণকারী

প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫০৭ কোটি টাকা
দিতে হবে।

শর্তানুযায়ী, মোবাইল ফোন অপারেটর
রবিকে কর্মীদের চাকরির

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেলিকম
নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কাছে
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দাখিল করতে
হবে যাতে একীভূত হওয়ার পর কেউ
চাকরিচ্যুত না হয় কিংবা কোন
বেকারত্বের সৃষ্টি না হয়।
তথ্যসূত্রঃ নয়া দিগন্ত

2 thoughts on "রবি – এয়ারটেল একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন"

  1. Akashbd Contributor says:
    eksate hole amader ki lab hobe janaben ki?

Leave a Reply