আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন।আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও খুবই ভালো আছি,বরাবরের মত আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম, আশা করি আপনাদের একটু হলেও উপকারে আসবে। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে চলে যায় মূল পোস্টে।
মোবাইল টাওয়ারকে ওয়াইফাই টাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে ইতোমধ্যে এই পদ্ধতির কার্যকারিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।যেখানে সফলতা এবং সুফলের সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করে এ বিষয়ে প্রকল্প হাতে নেয়া হতে পারে। যা সারাদেশের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দেয়ার সরকারি উদ্যোগকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ভাবা হচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রথম আলোতে বলছেন, ইতোমধ্যে টেলিটকের টাওয়ার হতে ওয়াইফাই করা যায় কিনা তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে।‘এই পদ্ধতির ফলাফল মূল্যায়ন করা হচ্ছে। ফলাফল যদি এগিয়ে যাওয়ার মতো হয় তাহলে এটি সারাদেশের মানুষের কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে’ বলছিলেন মন্ত্রী।সপ্তাহখানেক আগে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর কৃষ্ণপুরে টাওয়ার হতে ওয়াইফাই করার এই পরীক্ষা করে টেলিটক। এতে আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছেন।এরআগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সরকার দেশের ১৪৬টি সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই চালুর কার্যক্রম উদ্বোধন করে।সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়।
ফ্রি ওয়াইফাই চালু হওয়া প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথ পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে এই ব্যান্ডউইথ পাবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যান্ডউইডথের খরচ বহন করবে। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিনামূল্যেই।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় বলেছিলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবার দাবি, স্পেশালি ছাত্রছাত্রীদের দাবি ফ্রি ওয়াইফাই করে দেয়া। সেজন্য এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে । দেশে তরুণদের দাবি সব জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই। সেটা আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পটা হল তারই অংশ ।
১৪৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই চালুর কার্যক্রম উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ইন্সটলেশন অব অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্মেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৫৮৭ সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই দেয়া হবে। এ জন্য সরকার খরচ করছে ৪৫ কোটি টাকা।এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩টি, ময়মনসিংহে ৩৫টি, চট্রগ্রামে ১০৭, বরিশালে ৪৫, খুলনায় ৮৩, রাজশাহীতে ৮৫, রংপুরে ৫৬ এবং সিলেটে বিভাগে ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।সবগুলো বিভাগের এসব সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন লটে অপটিক্যাল ক্যাবল ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।পর্যায়ক্রমে দেশের সব বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও এ সুবিধা সম্প্রসারণ করার কথা রয়েছে।
আজ আর নয়। আমার লেখাতে কোন ভুল থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। পোস্ট টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি লাইক দিবেন,পজিটিভ কমেন্ট করে author দের উৎসাহিত করবেন,পোস্টে কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্ট করে জানাবেন , আমি চেষ্টা করবো সাথে সাথেই সমাধান দিতে,আর একটি কথা আজেবাজে কমেন্ট করে author দের পোস্ট করার মানসিকতা নষ্ট করে দিবেন না কারন একটি পোস্ট লিখতে কতটা কষ্ট হয় সেটা একজন পোস্ট রাইটার ই ভালো করে বোঝেন। মনোযোগ দিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।,খোদা হাফেজ
আর পাবলিকের সিকিরিউটি সেস