অনলাইনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট করতে গেলে বিকাশের mercent account দেখায়। মার্চেন্ট একাউন্ট আসলে কি? এর সুবিধা কি? মার্চেন্ট একাউন্ট কিভাবে ওপেন করে? আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা এসব বিষয়ে জানার চেষ্টা করব।
চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক…
• বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি?
বিকাশের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল পেমেন্টের একটি ব্যবস্থা হচ্ছে মার্চেন্ট একাউন্ট। মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে যে কোন ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে। বর্তমানে বিকাশের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। যার ফলে প্রত্যেক দোকানদার বা ব্যবসায়ীদের উচিত একটি মার্চেন্ট একাউন্ট রাখা। যার ফলে তার গ্রাহকরা খুব সহজেই পণ্যের বিল পে করতে পারবে। এছাড়া মার্চেন্ট একাউন্ট এর অনেক সুযোগ সুবিধা ও আছে।
• মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা
১. একজন বিকাশ ইউজার তার পার্সোনাল একাউন্টের সাথে একটি মার্চেন্ট একাউন্টে খুলতে পারবে, যদি না তার ইতিমধ্যে এজেন্ট অথবা রিটেইল একাউন্ট না থাকে।
২. মার্চেন্ট একাউন্টের আরও একটি বড় সুবিধা হল এই একাউন্টের লেনদেনের কোন লিমিট নেই। আপনি এক টাকা থেকে শুরু করে যে কোন টাকা লেনদেন করতে পারবেন। যেটা আমরা পার্সোনাল একাউন্টে দেখতে পাই না।
৩. আপনার দোকানের গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের অফার প্রদান করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের প্রচারের জন্য গ্রাহকদের অফার দিতে পারবেন।
৪. মার্চেন্ট একাউন্টের টাকা আপনি সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে তুলে নিতে পারবেন।
৫. বিকাশের API ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি যে কোন পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।
• বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
১. একটি লিগ্যাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
• বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
১. বিকাশ মার্সেট একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
২. প্রথম বক্সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অপশনে আপনার দোকান বা ব্যবসার নাম নির্বাচন করুন।
৩. কার্যালয়ের ঠিকানা পক্সে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঠিক ঠিকানাটি উল্লেখ করুন।
৪. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধরন অপশনে আপনার কি ধরনের ব্যবসা সেটা উল্লেখ করুন।
৫. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা অপশনে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে সেটা নির্বাচন করুন।
৬. প্রতি মাসে পেমেন্ট গ্রহণের পরিমাণ অপশনে আপনি প্রতি মাসে কি ধরনের পেমেন্ট গ্রহণ করেন সেটা উল্লেখ করুন।
৭. যিনি মার্চেন্ট হতে চান এই অপশনে আপনি যার নামে মার্চেন্ট একাউন্টটি করতে যাচ্ছেন তার নামটি জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।
৮. ফটো আইডি নাম্বার অপশনে যার নামে mercent account খুলতে চান তার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা পাসপোর্ট নাম্বার অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার প্রদান করুন।
৯. মেয়াদসহ ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার এর জায়গায় আপনার ট্রেড লাইসেন্সের নাম্বারটি উল্লেখ করুন।
১০. ইমেল অ্যাড্রেসের জায়গায় আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি ইমেইল এড্রেস প্রদান করুন।
১১. এরপরে ইমেজের মধ্যে যে যোগ বা বিয়োগফল থাকবে সেটা নিচের বক্সে উল্লেখ করুন। সফল তথ্য পূরণ হয়ে গেলে জমা দিন অপশনে ক্লিক করুন।
উপরের উল্লেখিত উপায়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই মার্চেন্ট একাউন্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া আপনি চাইলে বিকাশের উপজেলা বা জেলা কার্যালয় থেকে মার্চেন্ট একাউন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টের ফটোকপি গুলোর সাথে নিয়ে যাবেন।
আশা করি বন্ধুরা বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার বিষয়ে সকল তথ্য এ পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। যে কোন প্রয়োজনে আমার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।
এছাড়া আমার ফেসবুক পেজটি ফলো করে রাখতে পারেন। সেখানে আমি বিভিন্ন টেকনোলজির নিউজ এবং পোস্ট শেয়ার করে থাকি।
You must be logged in to post a comment.
link not working
thik koren link ta
link updated ?
মার্চেন্ড আর মার্চেন্ট হইছে.!
ভাই এতগুলো লেখার মধ্যে দুই একটা বানানে ভুল হতেই পারে
আমার মার্চেন্ট আছে। এর মধ্যে কয়েকটা সুবিধা আপাতত পাওয়া যায় না।
বর্তমানে কিছু সুবিধা অফ করা হইছে হয়তো
Link Broken!
link updated
https://business.bkash.com/
Valoi
thanks
কিছু স্কিনশট দিলে ভালোই দেখাতো
ok thanks
Ami akjon student…ami ki ai account khulte parbo?…amr akhon personal account ase ….
parben. tobe dokan lagbe.
সুন্দর পোস্ট।
thanks
You’re welcome.
এই জন্য বেশির ভাগ সুপার শপে মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যাবহার করে
ji
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট করেছেন এই জন্য
সুন্দর পোস্ট।
thanks
Wlc