অনেকের কাছে এসই ও অনেক কঠিন
একটি ব্যাপার। আমি যদি ঠিক এই
মুহুর্তে বলি ২০১৫ এসইও অনেকটুকু সহজ
একটি ব্যাপার,আপনি যদি সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর
মৌলিক বিষয়গুলো সঠিকভঅবে মেনে
চলেন তবে খুব সহজেই আপনি এগিয়ে
যেতে পারবেন । আপনি হয়ত বলবেন
গুগলের সার্চের সঠিক এললগরিদমটি
সঠিকভাবে কেউ জানে না , তাহলে
কিভাবে এসইও টিপস বা ট্রিকসগুলো
সঠিক হতে পারে ?
আমি এখানে সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশনের জন্য কি কি করা
সম্ভব তা বলছি না বরং আমি
আপনাকে বলতে এসেছি কিভাবে
সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিং উন্নত করতে
পারবেন । আমি বিশ্বাস করি এই
পোষ্টটির মাধ্যমে অতীতের এসইও
বিষয়ক ভুল ধারনাগুলো কেটে যাবে
এবং গুগল সার্চে আপনার সাইটকে
আগে দেখানোর জন্য কি কি
পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে সম্পর্কে
জানতে পারবেন ।

Unnamed

 

হেডিং এবং সাব হেডিং ব্যবহার
করুন
ওয়েব পেইজে হেডিং এবং
সাবহেডিং শুধু মাত্র ভিজিটরদের
দৃষ্টি আকর্ষন করে না বরং সার্চ
ইঞ্জিনের ও দৃষ্টি আকর্ষন করে। কোন
ওয়েব পেইজে হেডিং এবং
সাবহেডিং থাকলে তা যেমন
ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করে ঠিক
তেমনি h1, h2 এবং h3 থাকলে সার্চ
ইঞ্জিন সেই সকল ওয়েব পেইজকে
গুরুত্বপ্রদান করে। হেডিং এবং
সাবহেডিং অবশ্যই এইচটিএমএল এর
হেডিং ট্যাগ এর মাধ্যমে দিতে হবে
অন্যথায় তা সার্চ ইঞ্জিন শনাক্ত
করতে পারে না।
মৌলিক নিবন্ধ
মৌলিক নিবন্ধ সার্চ ইঞ্জিন গুরুত্বপুর্ণ
প্রভাব রাখে। অন্য সাইট বা ওয়েব
পেইজের চেয়ে আলাদা ও মৌলিক
নিবন্ধ যা অন্য ওয়েবসাইটে নেই তা
আপনার সাইটের প্রকাশ করুন ।
ওয়েব পেইজে গুগল প্লেস যুক্ত করুন
আপনি যদি এসইও সম্পর্কে একটু
পড়াশোনা করেন তবে একটি শব্দ
আপনি অবশ্যই শুনে থাকবেন
লোকাল , লোকাল ও লোকাল
গুগল লোকাল সার্চের প্রতি অধিক
গুরুত্বপ্রদান করছে । অধিকাংশ লোকজন
জানে না কিভাবে লোকাল এসইও
করতে হয় ফলে আপনার জন্য লোকাল
এসইও একটি বড় সুযোগ।
টেক্সট লিংক
আপনি যদি জাভাস্ক্রিপ্টের
সাহায্যে ড্রপ ডাউন মেনু ব্যবহার

করেন , ইমেজ ম্যাপ বা ইমেজ লিংক
ব্যবহার করেন তবে অবশ্যই ওয়েব
পেইজের যেকোন জায়গায়
টেক্সটলিংক ব্যবহার করুন যাতে গুগল
বোট বা স্পাইডার সহজেই লিংকগুলো
অনুসরণ করতে পারে।
rel=”nofollow” ব্যবহার করুন
নিম্নমানের লিংক যেমন
‘about’,’contact”read more’ইত্যাদির
ক্ষেত্রে rel=”nofollow” ট্যাগ ব্যবহার করুন
যা পেইজরেংক জুস থেকে আপনার
সাইট রক্ষা করবে।
নিয়মিত আপডেট করুন
নিয়মিত আপডেট আপনার সাইটের
বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি করবে । তাছাড়া
প্রাসঙ্গিক নিবন্ধের সংখ্যা ও বৃদ্ধি
করবে যা সাইটের রেংকিংকে
বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে ।
আপনার সাইটের ইন্টারনাল লিংক
স্ট্র্যাকচার চেক করুন
অন্য ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত
ব্যাকলিংক এসইও এর জন্য অনেক
গুরত্বপুর্ণ ফ্যাক্টর কিন্তু নিজের
সাইটের লিংকও রেংকিং এ ব্যবধান
তৈরী করতে পারে ।
ক. আপনার সাইটের কম সংখ্যাক পঠিত
লিংক গুলো নির্বাচন করুন ।
থ. অন্য পেইজের সাথে কম পঠিত
পেইজের লিংক করুন।
টাইটের ও কিওয়ার্ডের সাথে
কন্টেন্টের মিল আছে এমন
পেইজগুলোকে গুগল সবচেয়ে বেশী
পছন্দ করে।
সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব ইউআরএল
সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব ইউআরএল সাইটকে
সার্চ ইঞ্জিনে খুজে পেতে সহায়তা
করবে । সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব ইউআরএল এর
উদাহরণ এর জন্য নিচের ইউআরএল দুটি
দেখুন প্রথমটি সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব নয় ।
দ্বিতীয় ইউআরএলটি সার্চ ইঞ্জিন
বান্ধব।
কন্টেন্ট রাজা লিংক রানী
যদি ওয়েব সাইটের কন্টেন্টকে রাজা
বলা হয় তবে লিংক হচ্ছে রানী।
মানসম্পন্ন ব্যাকলিংক আপনার
সাইটের র্যাংকিং অনন্য উচ্চতায়
নিয়ে যাবে । আমি আবার বলছি
সাইটের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ এবং মান
সম্পন্ন লিংক ।
অ্যাংকর টেক্সট
সঠিকভাবে অ্যাংকর টেক্সট ব্যবহার
করুন। কখনোই ‘এখানে’ ‘সেখানে ‘
ইত্যাদি শব্দ দিয়ে অ্যাংকর লিংক
দিবেন না।
সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
(এসইও)করার সময় প্রথম যেই বিষয়টির
প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত তা
হচ্ছে সেই পেইজ এর জন্য সঠিক
কিওয়ার্ড। আপনার সম্পুর্ণ সাইটটি
একটি মাত্র কিওয়ার্ড দিয়ে এসইও
করার চেষ্টা করা উচিত নয় বরং একটি
নিদির্ষ্ট পেইজের জন্য নিদির্ষ্ট
কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন ।
ওয়েব পেইজ করুন গুগলের জন্য সহজপাঠ্য
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার ওয়েব
পেইজ এ খোজ করুন
১. প্রধান হেডলাইনে h1 ট্যাগ ব্যবহার
করেছেন কি ??
২. সাব হেডিং এ h2, h3 ব্যবহার
করেছেন কি ?
৩. আপনার পেইজ টাইটেল প্রধান কি-
ওযার্ডটি আছে ??
৪. মেইন হেডিং এবং মুল নিবন্ধে
কিওয়ার্ডটি আছে কি ??
ব্লগ পোষ্ট শুরু করুন ছবি দিয়ে
ছবির সাহায্যে শুরু ব্লগ পোষ্ট
ব্যবহারকারীদের মুল নিবন্ধটি পড়তে
উতসাহিত করে এবং এসইও এর ক্ষেত্রে
গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
লংটেইল কিওয়ার্ডের প্রতি জোড়
দিন
লোকাল সার্চে ভিজিটর পাওয়ার
সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় লং টেইল
কিওয়ার্ড। যেমন “our store” এর তুলানায়
“our palm spring store” লোকাল সার্চে
গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
সাব ডিরেক্টরি এবং সাবডোমেইন
সাবডোমেইন আলাদা ডোমেইন
হিসাবে বিবেচিত হয় । সম্ভাব্য
ক্ষেত্রে সাবডিরেক্টরি ব্যবহার করুন।
প্রতিযোগিতামুলক গবেষনা করুন
অধিকাংশ একটি সাধারন ভুল করে
থাকে তারা সবকিছু নিজস্ব করতে
চায়। সবকিছু যেখানে আগে থেকে
আবিষ্কৃত তাহলে নতুন করে আবিষ্কার
করার প্রয়োজন আছে কি ? ভাল করে
গবেষনা করুন আপনার প্রতিযোগিরা
কিভাবে সেরা র্যাংকিং অর্জন
করেছে।
** এই পদ্ধতি শুধূ মাত্র সার্চ ইঞ্জিনে
নিচের স্থানের ওয়েবসাইটগুলোর
জন্য
বিভিন্ন মিডিয়ায় কন্টেন্ট তৈরী
করুন
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য
বিভিন্ন মিডিয়া কন্টেন্ট যেমন
পিডিএফ, অডিও ভিডিও
ইনফোগ্রাফিত তৈরী করেন তবে তা
এসইও এবং ব্যবহারকারী্র উপর প্রভাব
ফেলবে। তাছাড়া ভিজিটররা
আপনার সাইটে দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান
করবে ।
ক্যানোক্যালিজাইশেন চেক করুন
আপনার ওয়েবসাইটে কি www ব্যবহার
করবেন নাকি করবেন না সে
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন। যদি www
ব্যবহার করেন তবে অন্যটিকে www এ
৩০১ রিডিরেক্ট করুন।

Leave a Reply