আসসালামু-অলাইকুম, ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ঘরে বসেই লাখ টাকা কামাচ্ছে এমন লোকের সংখ্যা নেহায়েত কম না। কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব ? আর গুগল এডসেন্সই বা কি জিনিস? কিভাবে এর মাধ্যমে এতো টাকা আয় করা যায়? আর এডসেন্স কিভাবে ব্যবহার করতে হয় ?
এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সাজানো হয়েছে এই আর্টিকেলটি।আশা করি সবাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
গুগল এডসেন্স কি ?
শুরুতেই আসুন জেনে নিই গুগল এডসেন্স কি ?
গুগল এডসেন্স হলো সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত একটি সার্ভিস। এই সার্ভিসের মাধ্যমে ব্লগারদের ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সুবিধা করে দেয় এবং বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য ব্লগারদের অর্থ প্রদান করে থাকে। ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জনের এটাই সবচেয়ে বড় এবং বহুল প্রচলিত মাধ্যম। ব্লগ ছাড়াও এডসেন্সের বিজ্ঞাপন ইউটিউব চ্যানেলেও প্রদর্শন করা যায়।
এখন হয়তো আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য গুগল কেনো টাকা দেয় বা কিভাবে দেয়। অথবা বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা দিয়ে গুগলের কি লাভ ?
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন, গুগল এডওয়ার্ড নামে গুগলের আরেকটি সার্ভিস আছে। এই সার্ভিসটি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য গুগলকে টাকা দিয়ে থাকে। তারপর এডসেন্স সার্ভিস ব্যবহার করে ব্লগারদের ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে সেই বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে গুগল।
সোজা কথায়, গুগল এডসেন্স হচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতা এবং বিজ্ঞাপন প্রচারকদের মধ্যে মধ্যমব্যক্তি হিসেবে কাজ করে। এখন আসি গুগলের লাভের ব্যাপারে। বিজ্ঞাপনের জন্য বিজ্ঞাপনদাতারা যে পরিমাণ খরচ করে তার ৬৮% ব্লগার বা ইউটিউবারদের দেয় এবং বাকি ৩২% গুগল রেখে দেয়।
আশা করি গুগল এডসেন্স সম্পর্কে আপনার প্রাথমিক ধারণা এখন কিছুটা হলেও পরিষ্কার হয়েছে।
গুগল এডসেন্স মাসে কি পরিমাণ টাকা দেয় ?
এই প্রশ্নের আসলে নির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই। আপনি যত বেশি মানুষকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাতে পারবেন গুগল আপনাকে ততো বেশি টাকা দেবে। এটাই হচ্ছে প্রাথমিক এবং মূল ব্যাপার।
আপনার ব্লগে যদি প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর আসে তাহলে আপনি যে টাকা পাবেন কয়েকশো ভিজিটর হলে তো আর সেই পরিমাণ টাকা পাবেন না। কারণ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন কম হবে, ফলে আয়ও কম হবে।
আবার ইউটিউবের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই রকম। যতো বেশি ভিউ ততো বেশি বিজ্ঞাপন প্রদর্শন এবং সেই হারে এডসেন্স থেকে আয়।
কিভাবে বুঝবেন আপনার সাইট/চ্যানেল এডসেন্স উপযোগী কি না ?
নতুন ব্লগার এবং ইউটিউবারদের একটা কমন প্রশ্ন হলো, কিভাবে বুঝবো আমার সাইট/চ্যানেল এডসেন্স উপযোগী কি না ?
এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে দুই ধাপে দিতে হবে। প্রথমে বলছি –
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ওয়েবসাইট ও ইউটিউব এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হয় এবং এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয়।
ধাপ ১-ব্লগ/ওয়েবসাইট
অনেকেই হয়তো ভাবেন যে, ওয়েবসাইটের ডিজাইন সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হলেও মনে হয় গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করে দেয়। ব্যাপারটা আসলে মোটেও এরকম না। গুগল এডসেন্স আপনার সাইটের বা ব্লগের ডিজাইন দেখে না। দেখে কন্টেন্ট। কারণ ভিজিটররা তো আপনার ব্লগে বা সাইটে এসে ডিজাইন দেখবে না, দেখবে কন্টেন্ট। সুতরাং কন্টেন্টের মান যত ভালো হবে এডসেন্স এপ্রুভ হওয়ার সম্ভাবনা ততো বেশি।
এডসেন্স এপ্রুভ হওয়ার কিছু টিপস নতুনদের জন্য দিচ্ছি-
১.আপনার সাইটে ভালো মানের অন্তত ১০-১৫ টি কন্টেন্ট অবশ্যই রাখতে হবে।
২.কপি-পেস্ট করা কোন কন্টেন্ট একদমই রাখা যাবে না।
৩.গুগল এডসেন্সের পলিসি ভঙ্গ করে বা কপিরাইট আইন অমান্য করে এমন কোন কন্টেন্ট রাখা যাবে না।
৪.এডাল্ট এবং হ্যাকিং এই দুই ধরণের কন্টেন্ট দেওয়া যাবে না।
৫.সাবডোমেইনে এডসেন্স এপ্লাই করবেন না। মূল ডোমেইনে এপ্লাই করুন। এডসেন্স এপ্রুভ হলে পরবর্তীতে আপনি যত ইচ্ছা সাবডোমেইন খুলে অ্যাড বসাতে পারবেন।
৬.প্রতিদিন মোটামুটি ভিজিটর আনার চেষ্টা করুন। সাধারণত এডসেন্স এপ্রুভ করার ক্ষেত্রে ভিজিটরের পরিমাণকে অতটা গুরুত্ব দেয় না।
৭.About Us, Contact Us, Terms and Conditions এবং Privacy Policy এই পেজগুলো অবশ্যই রাখতে হবে, তাহলে খুব সহজেই এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন
৮.সাইটে/ব্লগে অন্যকোন কোম্পানির অ্যাড একদমই রাখা যাবে না
আশা করছি, এই বিষয়গুলো খেয়াল রেখে এডসেন্সে এপ্লাই করলে অবশ্যই আপনি এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন।
ধাপ-২ঃ ইউটিউব এডসেন্সঃঃ
ইউটিউবে এডসেন্স পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের চেয়ে সহজ। ইউটিউবের পলিসি মেনে কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং চ্যানেলে আপলোড দিন। শেষ ১২ মাসে আপনার চ্যানেলের সর্বমোট ওয়াচ টাইম ৪০০০ ঘন্টা পূর্ণ হলে এবং সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১০০০ হলে আপনি এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এডসেন্সে আবেদন করার পর আপনার চ্যানেলটি ইউটিউব রিভিউ করবে।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউবে কত ভিউ এ কত আয়ঃ ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়?
রিভিউ করে যদি কোন ঝামেলা না পায় অর্থাৎ আপনার আপলোড করা ভিডিওগুলো যদি ইউটিউব পলিসি মেনে তৈরি করা হয় তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার এডসেন্স আবেদন এপ্রুভ করে দিবে। এরপর আপনার ভিডিওগুলোতেও অন্যদের মতো বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করবে।
দ্রুত গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার উপায় সমূহঃ
দ্রুত এডসেন্স পাওয়ার জন্য যেসব বিষয় লক্ষ রাখতে হবে পয়েন্ট আকারে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ
টপ লেভেল ডোমেইনঃ
আমরা জানি, ডোমেইন (Domain) মূলত একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হলো স্থান বা ঠিকানা যা ইন্টারনেট জগতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ডোমেইন নাম বলতে সাধারনভাবে কোন একটা ওয়েবসাইটের নামকে বোঝায়।
এই Domain আবার কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো । যেমনঃ
TLD = Top Level Domain
যেমনঃ .com, .org, .edu, .gov, .info, .net, ইত্যাদি। সাধারন কাজ বা ব্যবসা, অরগানাইজেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, ইনফরমেশন ও নেটওয়ার্কিং সাইটের জন্য এগুলো সর্বোচ্চ লেভেল এর Domain ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
gTLD = Generic Top Level Domain
TLD গুলোর মধ্যে যেগুলো ডোমেইন কোন দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট না তাদেরকে gTLD বলে। .com, .org, .edu, .gov, .info, .net, ইত্যাদি কিছু সংখ্যক Generic Top Level Domain.
কিভাবে এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হয়ঃগুগল এডসেন্স সহজে Approve পাওয়ার উপায়।
0SLD = Sub Level Domain
Domain name এর আগে কিছু থাকলে তাকে Sub Level Domain বলে। যেমন blog.nailpatel.com এখানে blog. হচ্ছে Sub Level Domain । একটা Domain এ একাধিক Sub Level Domain থাকতে পারে।
ccTLD = Country Code Top Level Domain
বিভিন্ন দেশের নিজস্ব যেই ডোমেইন গুলো থাকে সেগুলকে Country Code Top Level Domain । যেমনঃ- .us (America) .uk (United Kingdom) .au (Australia) .bd(Bangladesh), ইত্যাদি ।
এছাড়া বিভিন্ন Professionl Website গুলো ফ্রী ডোমেইন Provide করে থাকে। যেমনঃ-
wordpress.com
wix.com
weebly.com
blogspot.com
tumblr.com
ইত্যাদি Professionl Website গুলোতে ডোমেইন ফ্রীতে পাওয়া যায়।
তাছাড়া সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাবহারকারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে উপরে আলোচিত ডোমেইনের ধরনের পাশাপাশি নির্ধারিত বিভিন্ন Domain Extensions এসেছে । আপনি চাইলে টারগেটেড Niche সিলেক্ট করে আপনার পছন্দ মতো Domain Extensions নিতে পারবেন। যেমনঃ
.health
.club
.fun
.cat
.design
.shop
.service ইত্যাদি।
যদি আপনার প্রবল লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা থাকে তাহলে টপ লেভেল ডোমেইন নিতে পারেন।টপ লেভেল ডোমেইন নিলে এডসেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেড়ে যায় ।
আর হ্যা, টপ লেভেল ডোমেইনকে অনেকেই মাষ্টার ডোমেইন বলে থাকে।
ব্লগিং এর প্রতি ভালোবাসা না থাকলে টপ লেভেল ডোমেইন নিয়ে লাভ হবে না কারণ ভালোবাসা না থাকার কারনে দুই দিন কাজ করেই হাপিয়ে যাবেন।যার ফলে আপনার কষ্টের টাকা নষ্ট হতে পারে।
আপনি .com .net .org .xyz যেকোনো একটা নিতে পারেন।আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নিবেন।তবে আমি সাজেস্ট করবো .com নিতে।কারন .com বেশি প্রধান্য পায়।. Com সবচেয়ে জনপ্রিয়।
উদাহরণ google.com, facebook.com, youtube.com,gmail.com ইত্যাদি।
ডোমেইন নাম ৮ অক্ষরের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন।যত ছোট নাম হবে ততই ভিজিটরের নাম মনে রাখা সহজ হবে। যেমনঃঃ tunes71.com মানে tunes71= ৭ অক্ষর।
এবার আসি ডোমেইন যেখান থেকে কিনবেন।ডোমেইন কেনার জন্য অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে।সবচেয়ে ভালো হয় Godaddy বা Namecheap থেকে কিনলে।
তবে এসব আন্তর্জাতিক সাইট থেকে কিনে পেমেন্ট করা খুব জটিল কাজ।কেননা আমাদের দেশে অনলাইন পেমেন্ট খুব জটিল।
ভাবছেন অন্যকে দিয়ে কেনাবেন?এটা খুব ঝুঁকি সাপেক্ষ। কারন ডোমেইন চুরি, টাকা মেরে দেয়া এসব কিন্তু বিরল কোনো ঘটনা নয়।
দেখা গেলো কাউকে দিয়ে ডোমেইন কিনেছেন সে আপনার একাউন্টের এক্সেস রেখে দিলো, ভবিষ্যতে যখন আপনার সাইট ভালো পজিশনে গেলো অতঃপর আপনার ডোমেইনটি হ্যাক করে সে নিজের করে নিলো।
আর সবচেয়ে বেশি ঘটে,পেমেন্ট করার আগে মুখে খুব রসালো কথা বলবে যখন টাকা পেমেন্ট করবেন তখন আপনাকে ব্লক মেরে পালাবে।
এজন্যই আমি আপনাকে বাংলাদেশী সাইট সাজেষ্ট করছি।বাংলাদেশেও ভালো ভালো সাইট রয়েছে।তাদের ফেসবুক পেজে গেলে কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়।এমনি একটা ওয়েব সাইট Dianahost.com
এরা ১০০০০০+ এ পযন্ত বিক্রি করেছে।তারা খুব বিশ্বাস যোগ্য। এই সাইট থেকে আপনি নিজে নিজেই বিকাশ অথবা রকেট দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।কারো কাছ থেকে প্রতারণা হওয়ার সুযোগ নেই।
ওয়েবসাইটি যদি ব্লগার হয়ে থাকে তাহলে টপ লেভেল ডোমেইন নিলে সবচেয়ে ভালো হয়।.blogspot.com দিয়ে আবেদন করলে অনেক দিন সময় নেয় রিভিউ করতে।
অনেকেই বলে blogspot.com ডোমেইনে এডসেন্স দেয় না। তবে একথা আমি বিশ্বাস করি না,ফ্রি ডোমেইনে একটু ভালো সাইট হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।
কপি কনটেন্ট পরিহারঃ
দেশের আইন অনুযায়ী,চুরি করা যেমন অপরাধ। ঠিক তেমনি অন্যের সাইট থেকে কপি করে নিজের সাইটে পেষ্ট করে দেয়া গুগলের কাছে অপরাধ।
কপি পেষ্ট করলে আপনার এডসেন্স পাওয়া সম্ভাবনা ০.১%!প্রতিটি ব্যক্তির মাঝে ইউনিক কিছু থাকে যা আপনাকে কাজে লাগাতে হবে।কাজে লাগাতে পারলেই আপনি সফল।
অনেক পণ্ডিত ভেবে থাকে যে,অন্যের লেখা কপি করে লেখার মাঝে মাঝে ইডিট করে দিলেই কপি ধরতে পারবে না।হাইরে ভাই!এত সোজা না।
গুগল আপনার চেয়ে বহুগুণ চালাক।তারা তাদের এলগরিদম প্রতিনিয়তই আপগ্রেড করছে।তাই চুরি করে ধরা খাওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না।
অন্যদিকে,কপিরাইট আইল লজ্ঞণ করার দায়ে জেলের ভাতও খাওয়া লাগতে পারে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো,ধর্মীয় ভাবে চুরি করা বিশাল পাপ।একটা পোষ্ট লেখা যে কত কষ্ট তা কেবল একজন ব্লগারই জানে।
তো,এই চুরি করার আইডিয়া থাকলে আপনার নিজের ভালোর জন্য ভুলে যান।
কপি কনটেন্ট চেক করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রি টুলস পাওয়া যায়।তবে আমার কাছে copyscape ভালো লেগেছে।
এই ওয়েবসাইটে গেলে একটা ফর্ম দেখতে পারবেন।ফর্মে আপনার সাইটের লিংক পেষ্ট করে Go লেখায় ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন আপনার সাইটের কয়টা কপি পোষ্ট আছে।
একটি ভুল যা সমস্ত নতুন ব্লগাররা করে থাকে তা হল, অন্যের ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট থেকে কনটেন্ট কপি করে নিজের সাইটে ব্যবহার করা।
কারণ তারা এই ফিল্ডে নতুন হয়ে থাকে তাই বেশিরভাগই জানেনা যে এতে ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া একদমই নতুন হলে কিভাবে,
কিন্তু সত্যি কথা বলতে এই বিষয়টি জেনে রাখা অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ যে অন্যের ওয়েবসাইট থেকে আর্টিকেল বা কনন্টেন্ট কপি করা একদমই উচিত না কারণ এতে একাধিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে এবং ব্লগিং ক্যারিয়ারেও বেশ এফেক্ট করতে পারে।
চলুন আমরা জেনেনি যে অন্যের ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট বা ব্লগ পোস্ট কপি করে লিখলে ঠিক কি কি সমস্যাগুলি হতে পারে।
প্লাগিয়ারিজম বা Plagiarism কি?
শুরু করার আগে অবশ্যই জেনে রাখুন যে এই কনটেন্ট কপি করা শব্দটিকে ইংরেজিতে Plagiarism বা প্লাগিয়ারিজম বলা হয়।
কিভাবে এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হয়ঃগুগল এডসেন্স সহজে Approve পাওয়ার উপায়।
এর অর্থ হল অন্যের জিনিস কপি বা চুরি করা এবং কৃতিত্বও না দেওয়া অর্থাৎ চুরি করা এবং পরে তা সম্পর্কে মিথ্যা বলা বা নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া।
খুব সহজে কোথায় বললে Plagiarism হল একটি প্রতারণামূলক কাজ আর যা কনটেন্ট রাইটিং এর সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
কেন অন্যের ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি করা উচিত না?
১. স্বল্পমেয়াদি লাভঃ
আপনি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট শুরু করেছেন ভিসিটর্স ও পাঠকদের সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করে তা আরো বাড়িয়ে তোলার জন্য।
কিন্তু আপনি যদি নিজে কনটেন্ট তৈরি না করেন অর্থাৎ অরিজিনাল কনটেন্ট না বানিয়ে অন্যের সাইট ও এখান থেকে ওখান থেকে,
কনটেন্ট কপি করে নিজের সাইটে পাবলিশ করেন তাহলে তাতে আপনি শুধুমাত্র স্বল্পসময়ের জন্যই দর্শক বা ভিসিটর্স পাবেন,
যারা আপনার কনটেন্ট এর প্রতি আকর্ষিত হবে এবং আগ্রহ দেখাবে। কারণ আপনি যদি একটু নিজে ভেবে দেখেন যে,
একটি বিসনেস বা ব্যবসাকে বাড়িয়ে তুলতে এবং দীর্ঘমেয়াদি করে তুলতে হলে তার কৌশল কখনোই এটি হতে পারেনা।
আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটটিও একটি ব্যবসা আর তা বাড়িয়ে তোলার জন্য এবং পাঠকদের সাথে দীর্ঘমেয়াদি,
সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক কৌশল সহ পরিশ্রম এবং সময় দিয়ে তা বাড়িয়ে তুলতে হবে।
২. ডিএমসিএ বা DMCA এর সমস্যায় পড়তে পারেনঃ
DMCA কথার পুরো অর্থ হল ডিজিটাল মিলিনিয়াম কপিরাইট এক্ট, এটি একম একটি আইন যা প্রত্যেকের ডিজিটাল বা অনলাইন,
কাজ গুলিকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং দেখে যে তাদের কাজগুলি যাতে চুরি না হয় এবং যদিও হয় তার প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা যাতে নেয়।
যদি কোন কনটেন্ট চুরি করা হয় তাহলে তা প্রথমে টেক ডাউন করা হবে এবং তার ওপর DMCA যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
অর্থাৎ আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি করেন, যাকিনা অনলাইন এর ক্ষেত্রে এক ধরণের চুরি করা,এবং যেই সাইট থেকে কপি করছেন তার মালিক যদি টের পায় তাহলে সে আপনার এবং আপনার ব্যাবসার নামে DMCA -তে রিপোর্ট করতে পারে।
আর যা হয়তো আপনি কেন, কোন ওয়েবসাইট মালিক বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরই চাইবে না যে এরকম কিছু তাদের এবং তাদের ব্যবসার সাথে হোক।
৩. পাঠকরা আপনার সাইট পছন্দ করবে নাঃ
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ব্লগ সাইট এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে কনটেন্ট কপি করবেন এবং তা নিজের বলে চালিয়ে নেবেন আর পাঠকরা তা বুছতে পারবেন না,
তাহলে একদমই ভুল ভাবছেন। কারণ কেউ নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটে ভিসিট করেনা, তার আপনার সাইট এর পাশা পাশি,
এইরকম আরো বিভিন্ন সাইট এবং অনলাইন প্লাটফর্ম ভিসিট করে একই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য এবং কিছু শেখার জন্য।
তাই আপনি যদি এরকম কিছু করেন তাহলে তারা খুব সহজেই জেনে যাবে যে আপনি এই কাজ করছেন এবং তারা কখনোই,
আর আপনার সাইট ভিসিট করতে চাইবেনা এবং আপনার সাইট এর রেপুটেশন আসতে আসতে পাঠকদের কাছে কমতে থাকবে।
৪. ব্লগ সাইট বা কনটেন্ট পেনালাইজ ও ডিলিট
আপনি কি জানেন DMCA এর মালিক কে? গুগল বা Google এর মালিকানাধীন হল এই DMCA বা Digital Millennium Copyright Act.
তাই আপনি যদি কনটেন্ট কপি করেন তা পাঠকদের আগে জানতে পারে বা পারবে এই গুগল, যে আপনি এরকম কাজ করছেন।
আর আমরা সবাই জানি গুগল একদমই ডুপ্লিকেট কনটেন্ট পছন্দ করেনা এবং এরকম কিছু করলে তার যথাযথ ব্যবস্থা গুগল নেয়।
আর এই ক্ষেত্রে আপনার ব্লগ কনটেন্ট বা সম্পূর্ণ ব্লগ সাইটটিই পেনালাইজ অথবা গুগল তার সার্চ ইঞ্জিন থেকে ডিলেট করে দিতে পারে।
এবং আমি নিজে বেক্তিগত ভাবে মনে করি যা অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একজন ওয়েবসাইট মালিকের ক্ষেত্রে যাতে সে এরকম না করে।
যদিও এটি বিরল ঘটনা, তবে অবশ্যই আপনি চাইবেন না যে আপনার সাধের এবং বহু কষ্টের ব্লগ সাইটটির সাথে এরকম কিছু হোক।
৫. এসইও -তে সমস্যাঃ
অন্যের কনটেন্ট কপি করে ব্যবহারের করার ক্ষেত্রে ওপরের সমস্যাগুলি ছাড়া আরও একটি যে সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন,
তা হল আপনার সাইটের এসইওর ক্ষতি এবং ওয়েবসাইট ও সাইট এর রেঙ্ক কমে যাওয়া।
ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের ক্ষেত্রে এসইও ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা একজন ব্লগ সাইট মালিকই জানেন। কারণ এটি হল,
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর উপায় সাইটে অর্গানিক ট্রাফিক নিয়ে আসা এবং তা আরো বৃদ্ধি করা। তবে একথাট একদমই ভুলে যাবেন না যে,কনটেন্ট ইজ কিং বলে একটি কথা আছে, আর আপনার কনটেন্টই যদি ডুপ্লিকেট হয় এবং কপি করা হয় তাহলে এসইও সাথে দেবেনা।
অর্থাৎ আপনি যদি কনটেন্ট কপি করেন তা গুগল সহ বাকি সার্চ ইঞ্জিনও বুঝে যাবে যে তা ডুপ্লিকেট কনটেন্ট এবং তা আগেই থেকেই অন্য সাইটে উপস্থিত আছে।
আর এই কারণে কোন সার্চ ইঞ্জিনই আপনার কনটেন্ট গুলিকে রেঙ্ক করবেন এবং ধীরে ধীরে আপনার সম্পূর্ণ সাইটটিই রেঙ্ক হারাবে।
সবার শেষে এটাই বলবো যে আপনি যদি নিজের সাইটটি বড় করে তুলতে চান এবং একটি অনলাইন ব্যবসায় পরিণত করতে চান,
তাহলে অবশ্যই কনটেন্ট কপি এবং এই সমস্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকুন কারণ আল্টিমেটলি তাতে আপনারই ক্ষতি হবে।
একথা ঠিক যে সম্পূর্ণ অরিজিনাল এবং ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করা একদমই সহজ বিষয় না, তা সে আপনি হন অথবা অভিজ্ঞ কোন ব্লগার বা কনটেন্ট রাইটারই হোক।
ছোট নয়, বড় পোস্ট করাঃ
বর্তমানে বড় কনটেন্টকে গুগল খুব গুরুত্ব দেয়।যখন কেউ গুগলে সার্চ করে তখন একটা পেজে যায় এবং সে যথেষ্ট তথ্য না পেলে অন্য পেজে চলে যায়।
তাই যত পারেন তত তথ্য দিন।তবে পোষ্টের টাইটেল যদি হয় আলু,আপনি ডেসক্রিপশনে অ্যাড করে দিলেন কলা এমন করা যাবে না।প্রাসঙ্গিক কিছু লিখতে হবে।আমিও প্রথমে ছোট ছোট পোষ্ট লিখে পোষ্ট সংখ্যা বাড়াতাম
কিন্তু পোষ্টের সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ নেই কেননা ২০ টা ছোট ছোট পোষ্ট করে যদি গুগলে Rank না করে অন্যদিকে ১টি বিশাল তথ্যবহুল পোষ্ট rank করে।তাহলে তো ওই ১টি পোষ্টই করা ভালো।
অন্যরা যেখানে ১০ লাইন লিখেছে আপনি সেখানে ১৩+ লাইন লিখবেন।মানে যত তথ্য দেয়া যায়।
আবার পোষ্ট বড় করতে গিয়ে অহেতুক বাক্য যোগ করা যাবে না।কাজের কথা যত পারেন শেয়ার করবেন।
এসইও
বড় আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি এসইও করতে হবে।বলে রাখা ভালো,বড় আর্টিকেল লেখাও অন পেজ অপ্টিমাইজ এসইও এর একটি অংশ।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে।এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আপনার ওয়েবসাইটে মেটা টাইটেল,মেটা ডেসক্রিপশন, মেটা কিওয়ার্ড যোগ করুন।
এই ৩ জায়গায়ই আপনার টারগেট কিওয়ার্ড রাখবেন।এতে ফল ভালো পাবেন।
আর গুগল ওয়েব মাষ্টার এ আপনার ওয়েবসাইট যোগ করবেন।
এটা কতেই হবে না বলার সুযোগ নেই।গুগল থেকেই প্রচুর ভিউ পাওয়া যায়।
আর একটা কথা মনে রাখবেন,গুগলে সাথে সাথেই Rank করে না।ওয়েবসাইট সাবমিট করার সাথে সাথেই যে ভিউ পাবেন তা নয়।
এজন্য ১৫ থেকে ৩০ দিন অপেক্ষা করবেন।হতাশ হওয়া যাবে না।
মিনিমাম ৫০টি+ পোষ্ট করুন
ভ কেউ বলে ২০টা,কেউ বলে ২৫ টা, আবার কেউ বলে ৪০ টা।এটার কোনো নিদ্রষ্ঠ কোনো সংখ্যা নেই।
এটা অনুমানের ভিত্তিতে বলেছি।যখন আপনি ৯৯% নিশ্চিত হবেন তখনই এপ্লাই করবেন।ভালো পোষ্ট ১০টা করলেও এডসেন্স পাওয়া যায়।ভালো ট্রাফিক থাকলে এসব বিবেচনায় আসে না।
পোষ্টের সংখ্যার দিকে নজর না দিয়ে পোষ্টের মানের উপর নজর দিতে হবে।আপনি যে কাজই করেন না কেন প্রত্যেক জায়গায়ই মান দেখা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ পেজ তৈরি করুন
আপনি হয়তো এতদিনে খেয়াল করেছেন যে, প্রায় ওয়েবসাইটে About,Contract us,privacy policy ইত্যাদি পেজ থাকে।
আমার ব্লগেও About এবং Contract us রয়েছে।About এবং Contract us এই দুটো পেজ রাখতেই হবে আপনার ওয়েবসাইটে।এই পেজ দুটো পেজ না থাকলে এপ্রুভ হবে না।
About পেজে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো করে লিখবেন এবং Contract পেজে আপনার ঠিকানা, ফোন নাম্বার,ইমেইল দিয়ে দিবেন।
অন্য অ্যাড নেটওয়ার্ক সাইটের অ্যাড কোড সরিয়ে ফেলুনঃ
এডসেন্স আবেদন করার পূর্বে অন্য সকল সাইটের অ্যাড কোড রিমুভ করে ফেলবেন।অন্য সাইটের অ্যাড কোড থাকলে অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হবে না।
ফাষ্ট ও ক্লিন ওয়েবসাইট
ওয়েবসাইটে এমন থিম ব্যবহার করুন যা খুব পরিষ্কার ও দ্রত লোড নেয়।মূলত যারা আপনার ব্লগ পড়ে তারা আপনার ব্লগ দেখতে আসে না,তথ্য জানতে ও নিতে আসে।
আপনার ওয়েবসাইট যদি খুবই ডায়নামিক হয় তাহলে লোড নিতে স্লো হবে এটাই স্বাভাবিক।
আর যদি সাইটে হাবিজাবিতে ভরা থাকে তাহলে তো ভিজিটররা বিরক্ত হবেই।এজন্য সাইট পরিষ্কার এবং দ্রত লোড নেয় এমন থিম আপলোড করুন।
ওয়েবসাইটের বয়সঃ
ওয়েবসাইট এর বয়স ছয় মাস হলে আবেদন করুন।অনেক ব্লগারই ছয় মাস ওয়েবসাইট এর বয়স হলে আবেদন করতে বলে।এ রকম কোনো নিয়ম নেই।
তবে ৬ মাস বলার কারন হলো ছয় মাস বয়স হলে আপনার সাইট ভালো একটি অবস্থানে থাকার সম্ভাবনা থাকে।
অনন্য
সেক্সুয়াল কনটেন্টবা ড্রাগস নিয়ে লেখা যাবে না।থাকলে ডিলিট করে দিন।
হ্যাকিং নিয়ে কোন কনটেন্ট থাকলে
যুদ্ধাঅস্ত্র ও এসবের ব্যবহার নিয়ে কনটেন্ট লেখা যাবে না।
তামাক বা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব নিয়ে লেখা যাবে না।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে ব্যান হওয়া অ্যাপ নিয়ে কোন কনটেন্ট রাখা যাবে না।
গুগল এডসেন্স কি বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে
হ্যা! গুগল এডসেন্স বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে।গুগল তাদের নিজস্ব ব্লগে এ কথা বলেছে।চাইলে নিচের সোর্স লিংক থেকে দেখে আসতে পারেন।
সোর্স লিংকঃ গুগল ব্লগ
গুগল এডসেন্সের জন্য কিভাবে আবেদন করবো ?
বোঝার সুবিধার্থে, এই প্রশ্নের উত্তরটিও দুই ধাপে দিতে হবে। কারণ ব্লগ/ওয়েবসাইটের এডসেন্সে আবেদন করার নিয়ম এবং ইউটিউব চ্যানেলের জন্য আবেদন করার সম্পূর্ণ আলাদা। প্রথমে আসুন ব্লগ/ওয়েবসাইটে আবেদন করার নিয়মটা দেখে নেই-
প্রথমেই আপনাকে Google AdSense এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্মটি ঠিকঠাকভাবে ফিলাপ করে সাইন-আপ করতে হবে।
আর ইউটিউব চ্যানেলের জন্য আপনার চ্যানেলের ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে “Channel Features” পেজে গিয়ে Monetization এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স কিভাবে টাকা পাঠায় এবং কিভাবে টাকা উত্তোলন করবেন ?
বাংলাদেশে গুগল সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠায়। বাংলাদেশে যেসকল ব্যাংক সুইফট কোড প্রদান করে তাদের যেকোন একটির মাধ্যমেই আপনি এডসেন্সের টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে প্রথমেই আপনাকে এডসেন্স একাউন্টে লগইন করে সেটিংস অপশনে গিয়ে পেমেন্ট মেথড ঠিক করে দিতে হবে এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টের ডিটেলস যেভাবে চেয়েছে সে ভাবে দিতে হবে। সুইফট কোডটি নির্ভুলভাবে দিতে হবে। তা না হলে আপনার কষ্টার্জিত টাকা অন্যের একাউন্টে চলে যাবে।
আসুন এবার আলোচনা করি এডসেন্সে কত টাকা জমা হলে এবং কখন পাঠায়। আপনার এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার তার বা বেশি জমা হলেই এডসেন্স চলতি মাসের ২০ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে টাকা নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। তবে এক্ষেত্রে এডসেন্স এক মাস দেরিতে পেমেন্ট করে। ব্যাপারটা আসলে এরকম, ধরুন আপনার জুলাই মাসের আয় ১৫০ ডলার। গুগল আপনাকে জুলাই মাসের আয়টা আগস্ট মাসের ২০ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে আপনার একাউন্টে পাঠিয়ে দেবে।
শেষ কথাঃ
আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি গুগল এডসেন্স সম্পর্কে এবং এর কার্যাবলি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তাই আর দেরি করবেন না। অনলাইনে আয়ের ইচ্ছা থাকলে এডসেন্স হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম। গুগল পলিসি মেনে ঠিকঠাকভাবে কাজ করলে এডসেন্স হতে পারে আপনার সোনার ডিম দেওয়া হাঁস।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ব্লগারে নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট বানাতে হয়
পূর্বে প্রকাশিতঃ আমার ব্লগে