Hello Friends সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

মানুষের মস্তিষ্ককে লক্ষ্য করেছে ফেসবুক। সম্প্রতি সিটিআরএল-ল্যাবস নামের একটি প্রযুক্তি উদ্যোগকে অধিগ্রহণ করার পর ফেসবুকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সিটিআরএল-ল্যাবসকে অধিগ্রহণ করায় ফেসবুক এখন ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস তৈরিতে শক্তিশালী টুল হাতে পাবে। ফেসবুকের এ কার্যক্রম ঘিরে নিয়ন্ত্রণদের এখনই সতর্ক হওয়ার সময়।


ফেসবুকের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তাদের গবেষণা ল্যাব বিল্ডিং ৮-এর ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে কম্পিউটার ব্রেইন ইন্টারফেস নিয়ে কাজ চলছে। ওই সময়ে ফেসবুকের কম্পিউটার ব্রেইন ইন্টারফেস প্রকল্পপ্রধান রেজিনা ডুগান বলেছিলেন, ফেসবুক একধরনের ‘সাইলেন্ট স্পিস সিস্টেম’ তৈরি করতে যাচ্ছে, যা মস্তিষ্ক থেকে সরাসরি মিনিটে ১০০ শব্দ টাইপ করতে পারবে। এটি একজন ফোনে যত শব্দ টাইপ করতে পারেন, তার চেয়ে দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আসলে এমন এক ধরনের যন্ত্র তৈরি করতে চাইছে যাতে মানুষকে আর স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। অর্থাৎ, স্মার্টফোনের চেয়েও আধুনিক পণ্য তৈরির বিষয়ে এগিয়ে গেছেন গবেষকেরা। এ যন্ত্র মাথায় বসালেই কাজ হবে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) গ্লাসসহ নানা পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য তৈরির সম্ভাবনার কথা বলছেন গবেষকেরা। এতে স্মার্টফোন ব্যবহার না করেও পরস্পরের সঙ্গে বাস্তবে যোগাযোগ করা যাবে।

ফেসবুকের এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, পরস্পরের সঙ্গে সহজে যোগাযোগে ক্ষেত্রে এআরের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মানুষকে আর ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। এ ছাড়া ল্যাপটপের দিকেও ঝুঁকে থাকতে হবে না। মানুষের চোখে চোখ রেখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে।

প্রশ্ন হচ্ছে ফেসবুকের উদ্দেশ্য কি? প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে লেখক ক্যাসি নিউটন সমালোচনা করে লিখছেন, গত মাসে ফেসবুক যখন ডেটিং সেবা চালু করে তখন পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে ফেসবুকের নির্মম দিকগুলো তিনি পর্যবেক্ষণ করেন। ব্যবসার জন্য ফেসবুকের লাল লজ্জা বিসর্জনের দিকটিও তিনি দেখতে পান। ফেসবুকের ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস তৈরির বিষয়টিও এর মধ্যেই পড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার যখন প্রাইভেসি লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা তদন্ত করছে তখন জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নতুন পণ্যের ধারণা এসেছে। তবে ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রজন্মের এ কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে যে বিপদে পড়তে হবে তা হেলাফেলার নয়।

গত সপ্তাহে ফেসবুকের মস্তিষ্ক দখলের মরিয়া চেষ্টার আরেক রূপ দেখা যায়। সিটিআরএল ল্যাবসকে অধিগ্রহণের মধ্য দিয়ে নিজেদের লক্ষ্য হাসিলের আরেকটু কাছে চলে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের ছোট স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান সিটিআরএল ল্যাব রিস্টব্যান্ড জাতীয় একটি ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে। তাদের দাবি, এই ডিভাইসের মাধ্যমে মানুষের ব্রেইন কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ পাবে। মস্তিষ্ক থেকে তরঙ্গ কম্পিউটারে যুক্ত হওয়ার পদ্ধতিটি ‘ব্রেইন ক্লিক’ নামে পরিচিত। এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠানটিকে কিনতে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে ফেসবুক।

ফেসবুকের ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রধান অ্যান্ড্রু বসওয়ার্থ বলছেন, ‘আমরা দেখেছি প্রযুক্তি এবং ডিভাইস দিয়ে আরও স্বাভাবিকভাবে ভাব বিনিময় করা সম্ভব। আর সেটা আমরা তৈরি করতে চাই। এই রিস্টব্যান্ড যে কারও ভাবনা-উদ্দেশ্য ক্যাপচার করতে পারবে। এর মাধ্যমে শুধু ইচ্ছা করলেই কোনো বন্ধুর সঙ্গে আপনি ছবি শেয়ার করতে পারবেন।’

বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, এমন আবিষ্কার সত্যিই কঠিন কাজ। যদি ফেসবুক এ উদ্ভাবন করে ফেলে তবে সেটা হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথা প্রযুক্তি ইতিহাসের নতুন অধ্যায়।

এই ধরনের ডিভাইস আবিষ্কার করতে প্রযুক্তি দুনিয়ায় রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্কও কয়েক বছর ধরে বলছেন, তারা এমন ডিভাইস নিয়ে কাজ করছেন, যেটি পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের মনের কথা পড়তে পারবে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেকোনো নতুন প্রযুক্তির কথা সামনে আসলেই নেতিবাচক একটা চিন্তার উদ্ভব হয়। ওই প্রযুক্তি মানুষের কতটা ক্ষতি করবে, উঠে আসে সেই প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছে। ফেসবুক তাদের ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ব্যবসাকে আরও প্রাধান্য দিতেই সিটিআরএল ল্যাবকে অধিগ্রহণ করেছে। এখন এখাতে নতুন ব্যবসার পথে হাঁটবে তারা। এ ছাড়া সিটিআরএলের প্রযুক্তি যাতে ফেসবুককে ছাপিয়ে না যেতে পারে তাই তাকে আগেভাগেই কিনে রাখল ফেসবুক।

ডেটা বিশেষজ্ঞ ক্যারোলিন কারুথার্স বলছেন আমাদের সতর্ক হতে হবে, ‘ফেসবুকের মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লাভ ছাড়া কোনো প্রযুক্তি আনবে না। তাই আমাদের বুঝতে হবে, তারা আসলে কী করতে চাচ্ছে।’

যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় কমেন্ট করে জানাবেন অথবা আমার ফেসবুকে বলতে পারেন ।
ফেসবুকে আমি = MD Shakib Hasan

14 thoughts on "Facebook কি না করছে। মানুষের মস্তিষ্ককে লক্ষ্য করেছে ফেসবুক"

    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      Thank You
    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      Thank You
  1. Farid21bd Contributor says:
    http://partnerbd.Jdevcloud.Com ভাই পোস্ট টা এই সাইট করুন প্লিজ
    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      মানে কি কি দরনের সাইট
    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      Thank You
    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      Thank You
  2. Farid21bd Contributor says:
    Trickbd এর মতো সাইট Partnerbd.Jdevcloud.Com
    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      oooo facebook এসব কথা বলবা। ফেসবুকে নক দেন
    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      ok

Leave a Reply