আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
করোনাভাইরাসের নিউজেও বিজ্ঞাপন দেবার অনুরোধ গণমাধ্যম মালিকদের
চলতি দশকে গণমাধ্যমগুলো এমনিতেই আয়ে পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারিতে যখন মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সংবাদের তখন ব্যবসায়িরা একে একে তাদের দরজা বন্ধ করছে গণমাধ্যমের জন্য।
এখন বড় বড় বিজ্ঞাপনদাতারা কোভিড-১৯ এর পাশাপাশি তাদের কনটেন্ট দেখানো রোধ করতে কিওয়ার্ড ব্লক করছেন। আর এটা এমন এক সময় করা হচ্ছে যখন সংবাদমাধ্যমগুলোর বেশিরবাগ অংশ জুড়েই থাকছে মহামারির খবর।
আর এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।গত ২৭ মার্চ বাজফিল্ড এক প্রতিবেদনে বলেছে, মার্চের প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যে নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রধান কিছু বিজ্ঞাপন দাতারা অন্তত ২০ লাখ বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছে।
গণমাধ্যম এবং ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বস্ত সব গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন বন্ধ না করতে বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞাপন ভেরিফিকেশন প্রতিষ্ঠান ডাবলভেরিফাই-এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকলগহিন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে লিখেছেন, করোনা খুব সহজেই বিদায় নিচ্ছে না। আর এই সময়ে গণমাধ্যমকে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে সহযোগিতাপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বিজ্ঞাপন।
জো ব্যারনি, আমেরিকার মিডিয়া মার্কেটিং কোম্পানি গ্রুপএম-এর ব্র্যান্ড সেফটি ম্যানেজার। তিনি বলেন, গ্রুপএম-এর কিছু ক্লায়েন্ট উদ্দেশ্যমূলকভাবেই কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিউজগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখাতে চাইছেন। কিন্তু কিওয়ার্ডগুলো এমনভাবে সেট হয়ে গেছে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কোনো খবরে সেসব বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে না।
নিউজোনোমিক্স এর গণমাধ্যম বিশ্লেষক কেন ডক্টর বলেন, এটি বেশি করা হচ্ছে ছাপা সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রে। যেমন সংবাদপত্রে যদি কোনো বিমান দুর্ঘটনার খবর ছাপানো হয় সেখানে কোনোভাবেই এয়ারলাইন্স সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে না।
তার মতে, এটা হতে পারে শুধু সাময়িক কোনো দুর্ঘটনা বা কোন দুর্যোগের ক্ষেত্রে। কিন্তু কোভিড-১৯ এর মহামারিতে এটি হওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়।
তিনি বলেন, যদি কোভিড-১৯ সম্পর্কিত খবরে ক্রমাগত এভাবে বিজ্ঞাপন ব্লক করা হতে থাকে তাহলে সেটি গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তিনি ধারণা দেন যে, ইতোমধ্যে বিজ্ঞাপন থেকে সংবাদমাধ্যমগুলোর আয় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। কানাডায় হয়তো এর থেকে কিছুটা কম হয়েছে, কিন্তু সেটিও যুক্তরাষ্ট্রের খুব কাছাকাছিই রয়েছে।
আপনি এমন একটা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন যা সবার জন্যই প্রয়োজন। এমনকি সেটা দেবার ফলে আপনি অতিরিক্ত কোনো সুবিধাও পাচ্ছেন না অন্য সময়ের চেয়ে। কিন্তু তারপরও আপনি সেটা দিতে পারছেন না। এটা সংবাদমাধ্যমের আয়ে বড় এবং বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কারণ এখন তাদের বিজ্ঞাপন প্রয়োজন।
ব্যারনি বলেন, আর এজন্যই গ্রুপএম তাদের ক্লায়েন্টদের এখন বিজ্ঞাপন দেবার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছে। এমনকি এখন কিওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও সাবধানা অবলম্বন করা হচ্ছে। তারা এখন কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক সংবাদে যেমন তাদের বিজ্ঞাপন দেখাতে চাচ্ছেন না। ইতিবাচক হলে সেখানে দেখাতে চাচ্ছেন।
ব্যারনির মতে, করোনাভাইরাসের নিরপেক্ষ এবং ইতিবাচক এমনকি আবেগপূর্ণ কিছু স্টোরিতে অবশ্যই বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। তাতে করে গণমাধ্যমগুলো নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবে।
গ্রুমএম-এর বেশিরভাগ ট্রাভেল ক্লায়েন্ট নিজেদের বিজ্ঞাপন একেবারে বন্ধ করে দিলেও অন্যান্য কিছু ক্লায়েন্ট বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বলে জানান ব্যারনি।
তবে বিজ্ঞাপন দেবার ব্যাপারেও ক্লায়েন্টরা সতর্ক থাকছে। তারা শুধু সুনামধন্যসব গণমাধ্যমেই তাদের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।
নিউজ মিডিয়া কানাডার সিইও জন হিন্ডস বলেছেন, অনেক বিজ্ঞাপনদাতারা সহজেই রাজস্ব হারানোর কারণে বা ‘যা বিক্রি করতে চলেছে সব বিক্রি কর’ ধরনের কাজ করছে। ফলে তারা কিছু বিজ্ঞাপন এখন দিচ্ছে।
যেহেতু করোনাভাইরাস সম্পর্কিত খবরে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাচ্ছে না, তাই এ থেকে অনেকেই পিছপা হচ্ছেন। কারণ, সংবাদমাধ্যমের অধিকাংশ জুড়ে এখন করোনার খবর।