আগের অবস্থান থেকে উন্নতি করেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম টাইজেন। অ্যান্ড্রয়েডের বিকল্প হিসেবে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে আসা এই অপারেটিং সিস্টেম বিশ্বের সব মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের সম্মিলিত র্যাংকিংয়ে চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে- জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকস।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ব্লগের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, টাইজেনের ১০ লাখ চালান একে বাজারে ০.৩ শতাংশ শেয়ার দিতে যথেষ্ট। যেখানে ব্ল্যাকবেরির ০.২ শতাংশ আর ফায়ারফক্সের শূন্য। আর অ্যান্ড্রয়েডের শেয়ার ৮৪.১ শতাংশ আর অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমের আছে ১৩.৬ শতাংশ। আর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের আছে ১.৭ শতাংশ।
যদিও এখন বাজারে শেয়ারের অংশ কম, স্যামসাং টাইজেন নিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে, প্রতিষ্ঠানটির বানানো প্রায় সব স্মার্টফোন গুগলের অ্যান্ড্রয়েডচালিত। টাইজেন দিয়ে গ্রাহকেদের আকৃষ্ট করতে এখনও কষ্ট করতে হচ্ছে স্যামসাংকে। ২০১৪ সালে টাইজেন স্মার্টফোন বের করার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে শেষ মূহুর্তে তা বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটি।
শেষ পর্যন্ত জানুয়ারিতে ভারত ও পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকায় স্যামসাং জেড১ নামের টাইজেন ফোন বের করে স্যামসাং। আর অক্টোবরে, ভারতে স্যামসাং জেড৩ নামের ১শ’ ৩০ ডলার দামের আরেকটি টাইজেন ফোন বের করা হয়।
মোবাইল বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানের অপারেটিং সিস্টেম হতে টাইজেনের অনেক দূর যাওয়া বাকি। এজন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হচ্ছে এর জন্য থার্ড-পার্টি অ্যাপ বানাতে ডেভলাপারদের রাজি করানো। সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি কিছু অগ্রগতির চিহ্ন দেখিয়েছে। এগুলোর মধ্যে টাইজেনের জন্য ফেইসবুক আর হোয়াটস অ্যাপের অ্যাপ আনা উল্লেখযোগ্য।
7 thoughts on "জনপ্রিয়তা বাড়ছে টাইজেন-এর"