তাইওয়ান ভিত্তিক সাপ্লাই চেইন এর তথ্য অনুযায়ী বাজারের মোট স্মার্টফোনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যুক্ত স্মার্টফোনের সংখ্যা অচিরেই ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার সেন্সরের দাম কমে যাওয়াকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সাপ্লাই চেইন। একই সূত্র আরো জানিয়েছে যে, কিছুদিনের মধ্যে একটি স্ক্যানারের দাম ৫ ডলারে নেমে আসবে। অতিরিক্ত দামের কারণে এতো দিন পর্যন্ত এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র উচ্চ মূল্যের ফোনগুলিতেই ব্যবহার করা হয়েছে। এখন এর মূল্য হ্রাস পাওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে মধ্য ও স্বল্প মূল্যের ফোনেও সহজেই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
২০১৬ তে যে সব ফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে তার মধ্যে আছে আসুস জেনফোন ৩। আগামী বছর মে অথবা জুন মাসে ফোনটি অবমুক্ত হবে বলে শোনা গেছে। জেনফোন এর পূর্বেকার কোন মডেলেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। তাইওয়ানের সাপ্লাই চেইন জানিয়েছে যে, স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলি তাদের নির্মিত স্মার্টফোনে ইলান মাইক্রোইলেক্ট্রনিকস ও চীনের গুডিক্স নামের প্রতিষ্ঠান দু’টির তৈরি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ব্যবহার করবে।
সূত্রটির তথ্যমতে ২০১৬ সালে আসুস বিশ্বব্যাপি ৩০ মিলিয়ন হ্যান্ডসেট সরবরাহ করার প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। উল্লেখ্য ২০১৫ তে তারা বিভিন্ন দেশে বাজারজাত করার জন্যে মোট ২০ মিলিয়ন ফোন তৈরি করেছিল। অর্থাৎ আগামী বছরে প্রতিষ্ঠানটি শতকরা ৫০ ভাগ ফোন বেশি তৈরি করবে। বর্তমানে চীনের অন্যান্য কোম্পানির সাথে আসুসকে ভীষণ রকম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ সব ফোন তৈরির কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে হুয়েই, শীওমী, লিনোভো, অপ্পো, ভাইভো, মেইজু, কুলপ্যাড, জেডটিই এবং টিসিএল।
তাইওয়ানের এই সাপ্লাই চেইন আরো বলছে যে, আসুসের জেনফোন সিরিজের সেটগুলি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, ইন্ডিয়া, ব্রাজিল, রাশিয়া ও তাইওয়ানে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জেনফোনের ৮০% ডিভাইসে কোয়ালকম অথবা ইনটেল এর চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। বাকী ২০ ভাগ ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে মিডিয়া টেক চিপসেট।