অনেক দেশেই ফোরজি বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। গবেষণা চলছে ৫জি নেটওয়ার্ক নিয়ে। কবে আসবে ৫জি?
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জ্যাকস রুডেল বলেন, বর্তমানে মোবাইল ফোনের জন্য বরাদ্দ করা তরঙ্গ অনেকেই ব্যবহার করছে। মিলিমিটার ওয়েভের বড় সুবিধা হচ্ছে, এতে নতুন তরঙ্গ মিলবে। এই তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি খুব স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। মোবাইল ফোনের সংকেতের সঙ্গে একে তুলনা করা যায় না। গুগল এই সমস্যা সমাধান করে আকাশ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট বিম করার পরিকল্পনা করেছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টাইটান অ্যারোস্পেসের তৈরি সোলারা ৫০ নামের সৌরশক্তিচালিত ড্রোন ব্যবহার করে স্কাইবেন্ডার প্রকল্পটি চালাচ্ছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রে আকাশ থেকে ৫জি প্রকল্প নিয়ে যে পরীক্ষা চালাচ্ছে তা সফল হলে শিগগিরই ৫জির বাস্তবায়ন দেখা যাবে।
৫জি কী?
ইংরেজিতে টুজি, থ্রিজি, ৪জি বা ৫জিতে ব্যবহৃত ‘জি’ অর্থ জেনারেশন বা প্রজন্ম। ৫জি হচ্ছে, পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস বা তারহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি। অবশ্য এর মান এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল অপারেটর এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্ক অপারেশনসের প্রেসিডেন্ট বিল স্মিথ বলেন, ২০১৮ সালনাগাদ ৫জির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হতে পারে। ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) ৫জির মান নির্ধারণ করবে। কোন প্রযুক্তিকে ৫জি বলা যাবে বা কোন বৈশিষ্ট্য থাকবে বা এর গতি কেমন হবে—এই মান তা ঠিক করবে।
তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা এখনই ৫জি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারেন। তাঁদের মতে, শক্তি সাশ্রয়ী, দ্রুতগতির ও স্মার্ট হবে ৫জি। এতে নতুন তারহীন প্রযুক্তির পণ্য বাজারে পাওয়া যাবে। এতে আরও দ্রুতগতির স্মার্টফোন, স্মার্ট বাড়িতে ব্যবহৃত পণ্য ও দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করা যাবে।
Source Post: http://www.hamwap.com/technology/2544.html
3 thoughts on "আকাশ থেকে আসবে ৫জি!"