স্যামসাংয়ের সামগ্রী নিশ্চয়ই ব্যবহার করেন। কিন্তু বিশ্বখ্যাত এই সংস্থার সাফল্যের পিছনের কাহিনিগুলো জানলে আপনিও হয়তো বিশ্বাস করবেন না।
ভারতীয় বাজার তো বটেই, গোটা বিশ্বের বাজারের একটা বড় অংশ দখলে রয়েছে স্যামসাংয়ের। কিন্তু, মোবাইল ফোন এবং ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী এই সংস্থাটির ইতিহাস জানলে আপনি সত্যি অবাক হয়ে যাবেন। ভাবছেন
কেন? তাহলে নিজেই পড়ে দেখুন—
• ১৯৩৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় লি বায়াং চাল স্যামসাং নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। তখন স্যামসাং কীসের ব্যবসা করত জানেন? সব্জি-সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনের জিনিসের ব্যবসা করত তখন এই সংস্থা।
কর্মীসংখ্যা ছিল মাত্র ৪০।
• শুধু তাই নয়, নিজস্ব নুডলসও উৎপাদন করত স্যামসাং। এমনকী, চিনের বাজারে সব্জি, মাছ, ফল বিক্রি করত সংস্থা।
• বিশ্বের সবথেকে বেশি টেলিভিশন সেট এবং এলসিডি প্যানেল তৈরি করে স্যামসাং।
• ২০১১ সালে স্যামসাং বিশ্বের সবথেকে বেশি স্মার্টফোন উৎপাদনকারী সংস্থা হয়ে দাঁড়ায়।
• বিশ্বের সবথেকে উঁচু বাড়ি বুর্জ খলিফা কারা নির্মাণ করেছে জানেন? স্যামসাংয়ের কনস্ট্রাকসন ডিভিশন।
• জাহাজ নির্মাণ শিল্পেও রয়েছে স্যামসাং। স্যামসাংয়ের নিজস্ব ৪ মিলিয়ন স্কোয়ার ফিটের একটি শিপইয়ার্ড রয়েছে।
• গত বছর শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের পিছনে ৪ লক্ষ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে স্যামসাং। তার উপরে, মার্কেটিংয়ের পিছনে আরও ৫ লক্ষ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে এই সংস্থা। এক্ষেত্রে বিশ্বের অন্য যে কোনও সংস্থাকে পিছনে ফেলেছে স্যামসাং।
• স্যামসাংয়ের নিজস্ব একটি অলাভজনক মেডিক্যাল সেন্টার রয়েছে। প্রতি বছর সংস্থার তরফে সেখানে ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করা হয়।
• উৎপাদিত পণ্যের মানের সঙ্গে আপস করতে চাননি বলে ১৯৯৫ সালে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ফোন এবং ফ্যাক্স মেশিন নষ্ট করে দেওয়ার জন্য সংস্থার চেয়ারম্যান লি কুন-হি কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।