শোনা যাচ্ছিল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই তাঁর শেষ। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায়ের পর নিজেও বলেছিলেন, দেশে ফিরেই সিদ্ধান্ত নেবেন অবসরের ব্যাপারে। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি সিদ্ধান্ত একটা নিলেন। তবে অবসরের নয়, অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগের। ‘পাকিস্তান এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আমার ভক্তদের জানাতে চাই, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল থেকে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি’—কাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন আফ্রিদি। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার জন্য কোচ ওয়াকার ইউনুস এবং ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম দায়ী করেছেন আফ্রিদিকেই। দেশে ফিরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছে দেওয়া রিপোর্টে দুজনই নাকি অধিনায়কের পদ থেকে আফ্রিদিকে ছাঁটাইয়ের সুপারিশ করেছেন। পিসিবি কী সিদ্ধান্ত নিত, সেটি পরের কথা, আফ্রিদি সরে দাঁড়ালেন আগেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানকে। ১৯টিতে জিতেছেন। হেরেছেন ২৩ ম্যাচ, টাই হয়েছে একটি। অধিনায়কত্ব ছাড়লেও পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যেতে যান ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার, ‘দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারাটা আমার জন্য বিরাট সম্মানের ব্যাপার। দেশের হয়ে এবং লিগসহ অন্যান্য জায়গায়ও আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। সমর্থকদের কাছে অনুরোধ, আমাকে সমর্থন করে যান এবং দোয়া করুন যেন পাকিস্তানের একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি ভালো খেলতে পারি।’ এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রত্যাশার চেয়ে খারাপই কেটেছে আফ্রিদির। বল হাতে ৪ ম্যাচে মাত্র ৪ উইকেট। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯ বলে ৪৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি আফ্রিদির উপস্থিতি কিছুটা জানান দিতে পারলেও বাকি তিন ম্যাচ মিলিয়ে করেছেন মাত্র ৪১। অবশ্য বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জন্য এর মধ্যেই দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুক-টুইটারে ভিডিও পোস্ট করেছেন আফ্রিদি। বলেছেন, ‘নিজের এবং দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় আমি শহীদ আফ্রিদি জাতির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’ এএফপি।
ভাল ভাল টিপস পেতে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন PostMela.Com