বিড়ালের ‘ম্যাও’ ডাকের মানে কী, এটা স্বাভাবিকভাবেই আরেকটা বিড়ালেরই বোঝার কথা। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, আপনি যদি বাড়িতে বিড়াল পোষে থাকেন, তাহলে তো বিড়ালটা আপনার সঙ্গেই তার ম্যাও ম্যাও ভাষায় কথা বলে, তাই না?
অর্থাৎ এবার বিড়ালের ‘ম্যাও’ বলার মানে জানা যাবে। কারণ বিড়াল কথা বলবে মানুষের ভাষায়! আরো খোলাসা করে বললে, বিড়াল ‘ম্যাও’ যখন বলবে, তখন সেই ‘ম্যাও’ এর মানেটা আপনি বিড়ালের মুখেই মানুষের ভাষায় শুনতে পারবেন।
কারণ বিড়ালের ভাষাকে মানুষের ভাষায় রুপান্তর করতে সক্ষম হবে, এমনই একটি অভিনব স্মার্ট কলার বেল্ট নির্মাণ করছে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞাপনী সংস্থা অ্যাডাম অ্যান্ড ইভ ডিডিবি। তাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য টেম্পটেশন্স ল্যাব তৈরি করছে ‘কেটারবক্স’ নামক এই অভিনব স্মার্ট কলার বেল্ট।
এটি বিড়ালের গলায় ব্যবহার লাগানো যাবে। এবং এই ডিভাইসটিতে বিশেষ সফটওয়্যার, মাইক্রোফোন ও স্পিকারযুক্ত রয়েছে। ফলে বিড়াল যখন ‘ম্যাও’ বলে কিছু বলতে যাবে, তখন ম্যাও ভাষাটি সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভাষায় রুপান্তরিত হয়ে যাওয়ায়, মানুষের ভাষাতেই বিড়ালের মনের ভাব শুনতে পাওয়া যাবে।
‘কেটারবক্স’ ডিভাইসটিতে রয়েছে ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি, ফলে ডিভাইসটি স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে এবং ক্যাটারবক্স অ্যাপ ব্যবহার করে যখন তখন বিড়ালের ভাষা রুপান্তরের অপশনটি চালু করে বিড়ালের মুখে মানুষের কন্ঠ শোনা যাবে। ডিভাইসটিতে থাকা স্পিকারে তা স্পষ্ট শোনা যাবে।
দ্য টেম্পটেশন্স ল্যাব-এর গ্লোবাল ব্র্যান্ড পরিচালক পিট সিমন্স বলেন, ‘বিড়ালে অনেকেই মুগ্ধ। বিড়ালকে যেন আরো ভালোভাবে বোঝা যায়, সেজন্য বিড়ালকে মানুষের ভাষা দিতে আমরা কাজ করছি।’
ইতিমধ্যে কেটারবক্স ডিভাইসটির প্রটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে। বাজারে আসবে শিগগির। ৪টি রঙে এটি বাজারে পাওয়া যাবে।
বিড়ালের ভাষাকে মানুষের ভাষায় রুপান্তরে গ্যাজেট বিশ্বে এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৭ সালে জাপানের টাকারা টমি নামক একটি প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাওলিংগুল ক্যাট ট্রান্সলেশন ডিভাইস’ নামক ভাষা রুপান্তরের অন্য ধরনের একটি ডিভাইস তৈরি করেছিল। তবে তা ব্যাপকভাবে অনুবাদের সুবিধা দিতে পারেনি।
ভিডিওতে দেখুন: দ্য টেম্পটেশন্স ল্যাব-এর তৈরি ‘কেটারবক্স’ নামক কলার বেল্ট
দিনে একটা পোষ্ট দিবি যেটা মানুষের কাজে লাগে