সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আমার টিউন টি।

আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে ৩১ মের মধ্যে যেসব সিম নিবন্ধিত হবে না, সেগুলো ১ জুন থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি আবার চালু করতে হলে ব্যবহারকারীকে সেটি নতুন করে কিনতে হবে। নিয়মানুযায়ী ১৮ মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সিমটি কেনা যাবে।
সিম নিবন্ধনের অগ্রগতি-সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চলমান সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে গতকাল রোববার বিটিআরসি কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ছয় মুঠোফোন অপারেটরের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ১ জুন থেকে যেসব অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে যাবে, সেগুলো নতুন করে কেনার ক্ষেত্রে এত দিন যে ব্যক্তি সিমটি ব্যবহার করেছেন তিনি অগ্রাধিকার পাবেন। এ ক্ষেত্রে নতুন সিম কিনতে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেগুলো প্রযোজ্য হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন সিম কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও গ্রাহকের আঙুলের ছাপ লাগে।
অনিবন্ধিত সিম আবার বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিটিআরসির বর্তমান নিয়মটি প্রযোজ্য হবে। নিয়মটি হলো, অব্যবহৃত একটি সিম টানা ১৫ মাস বন্ধ থাকলে সেটির মালিকানা হারাবেন গ্রাহক। ১৫ মাস সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর আরও তিন মাস সময় থাকে, যে সময়ে সংশ্লিষ্ট মুঠোফোন অপারেটর গ্রাহকের কাছে জানতে চায় তিনি সিমটি আবার চালু করতে আগ্রহী কি না। এভাবে ১৮ মাসেও একজন ব্যবহারকারী যদি সিমটি চালু না করেন, তাহলে ওই নম্বরটি অপারেটররা আবার বিক্রি করতে পারে।
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমানে কোনো সিম একটানা ৯০ দিন বন্ধ থাকলে সেটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। সিমটি টানা এক বছর বন্ধ থাকলে সেটি চালু করতে গ্রাহককে ১৫০ টাকা রিচার্জ করতে হয়।
বিটিআরসি ও অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ১০ লাখের কিছু বেশি, সময় বাড়ানোর আগে গত ৩০ এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত যা ছিল ৮ কোটি ৯০ লাখ। অর্থাৎ, সময় বাড়ানোর পর এক সপ্তাহে সব অপারেটর মিলে ১০ লাখের কিছু বেশি সিম নিবন্ধিত হয়েছে। বিটিআরসির হিসাবে বর্তমানে চালু থাকা মোট সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ।

One thought on "এখন থেকে অনিবন্ধিত সিম পুনরায় কিনে ব্যবহার করতে হবে।"

  1. Md Robin Author says:
    nice post mama

Leave a Reply