ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের
কাজ আলাদা। ডেস্কটপ
কম্পিউটারের চাহিদা ল্যাপটপ
দিয়ে পূরণ করা যায় না। তবে
ল্যাপটপ কম্পিউটারকেও কিছুটা
পরিবর্তন করে ডেস্কটপ হিসেবে
ব্যবহার করা যায়। এজন্য দোকানে
পাওয়া যাবে বিভিন্ন
প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এ লেখায়
দেওয়া হলো ল্যাপটপকে ডেস্কটপ
হিসেবে ব্যবহারের সহজ উপায়।

ডকঃ…. …. . . . . .

ল্যাপটপকে সঠিকভাবে রেখে
কাজ করার জন্য ল্যাপটপ ডক অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে পাওয়া যায়
বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ ডক।
এগুলোর মধ্যে স্ন্যাপ-অন ও
প্লাগেবল ব্যবহার করতে পারেন।
এগুলোতে বিভিন্ন
পেরিফেরাল লাগানোর
ব্যবস্থা থাকে। ফলে সহজেই
আপনি ল্যাপটপটি বাইরে নিয়ে
যেতে পারবেন আবার বাসায়
এনে ডকে স্থাপন করে ডেস্কটপ
হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে সুবিধা হলো,
ল্যাপটপটি আনার পর ডেস্কটপের
বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আর নতুন করে
সেটআপ করতে হবে না। সবকিছু
ডকেই থাকব.


স্ন্যাপ অনঃ . . . . … .

স্ন্যাপ অন ডকে
রয়েছে খুবই সুবিধাজনক কিছু
অপশন। এটি লেনোভো, ডেল ও
এইচপির বিভিন্ন মডেল সাপোর্ট
করে। ডকটি কেনার আগে আপনার
মডেলটি সঠিকভাবে সাপোর্ট
করবে কি না, জেনে নিন।

প্লাগেবলঃ…. …. . .


প্লাগেবল ডকস
বাজারে প্রচুর পাওয়া যায়।
ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে এ ডক
সংযুক্ত হয়। স্ন্যাপ-অন ডকের মতোই
এটি সংযুক্ত করা যায়।

মাউসঃ…… . . .


ডেস্কটপের মাউস ব্যবহারে
যারা অভ্যস্ত হয়েছেন, তাদের
জন্য মাউসের চাহিদা
ল্যাপটপের টাচপ্যাডের মাধ্যমে
পূরণ করা সম্ভব নয়। আর এ কারণে
আপনি বাসায় ব্যবহার করতে
পারেন মাউস। বাজারে তারযুক্ত
ও তারহীন উভয় ধরনের মাউসই
পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তারযুক্ত
মাউস ব্যবহার করতে চাইলে
ইউএসবি মাউস কিনতে পারেন।

তারহীন মাউস ব্যবহার করা
সুবিধাজনক। তবে এটি ব্যবহারের
ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধাও
রয়েছে। তাই তারহীন মাউস
কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে
এর ব্যাটারির বিষয়টি। ভালো
তারহীন মাউসে চার্জ করার
ব্যবস্থা থাকে।

কিবোর্ডঃ. . . …..

কিবোর্ড ছাড়া ডেস্কটপ
কম্পিউটার ব্যবহারের কথা
চিন্তা করা যায় না। ল্যাপটপের
কিবোর্ড ব্যবহার যাদের জন্য
অসুবিধাজনক, তারা আলাদা
কিবোর্ড কিনে নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে বাজারে প্রচলিত
তারযুক্ত কিংবা তারহীন
কিবোর্ড দেখতে পারেন।

তারযুক্ত কিবোর্ডের ক্ষেত্রে
ইউএসবি কেনাই বুদ্ধিমানের
কাজ। তারহীন কিবোর্ড ব্যবহার
অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এটি ব্যবহার
করে যে কোনো স্থান থেকে
টাইপ করা যায় বিধায় তা
অনেকের কাছেই প্রিয়। তবে
তারহীন কিবোর্ড কেনার সময়
অবশ্যই ব্যাটারির বিষয়টি
খেয়াল রাখবেন।

মনিটরঃ. . .

ল্যাপটপের মনিটর আকারে ছোট
হয়। আর আপনি যদি বড় কিংবা
সূক্ষ্ম কিবোর্ড ব্যবহার করতে চান
তাহলে আলাদা কিবোর্ড
কিনতে পারেন। এটি ল্যাপটপ

মনিটরের সেকেন্ডারি
ডিসপ্লে হিসেবে কাজ করবে।
প্রয়োজনে ল্যাপটপের মনিটরটি
বন্ধ করেও এ মনিটর ব্যবহার করতে
পারবেন। এজন্য বিভিন্ন
ল্যাপটপে আলাদা ব্যবস্থা
থাকে।

মনিটর কেনার জন্য আকার খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্রয়োজন
অনুযায়ী মনিটর কিনতে পারেন।
এক্ষেত্রে মনিটর ও ল্যাপটপের
আকার যেন এক না হয় সেজন্য
খেয়াল রাখুন। ল্যাপটপের
যেহেতু একটি নির্দিষ্ট
আকারের মনিটর রয়েছে তাই
প্রয়োজনে বড় মনিটর কিনুন। এটি
আপনার ল্যাপটপ ব্যবহারের তুলনায়
ভিন্ন একটি অনুভূতি দেবে।

এছাড়া স্ক্রিনের রেজুলিশন
যেন ভালো হয় সেজন্য
মনোযোগী হোন। যে মনিটরের
রেজুলিশন এবং রিফ্রেশ রেট
বেশি তা ব্যবহার সুবিধাজনক।
তবে কিছু মনিটর রয়েছে
যেগুলোর রেজুলিশন অত্যন্তi
বেশি, সেগুলো কেনার আগে
তা আপনার ল্যাপটপ সাপোর্ট
করবে কি না, জেনে নিন।

ম্যাট ও গ্লোসি উভয় ধরনের
মনিটর এখন বাজারে পাওয়া
যায়। তবে ম্যাট মনিটরে
রিফ্লেকশন হয় না। আপনি যদি
রিফ্লেকশন পছন্দ না করেন
তাহলে ম্যাট মনিটর কিনুন।

ধন্যবাদ


তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।

…♦ ♦…(ফেসবুকে আমি)..♦…♦.

2 thoughts on "ল্যাপটপকে কিভাবে ডেস্কটপ কম্পিউটার হিসেবে ব্যবহার করবেন"

  1. Afsar Returns Contributor says:
    রানা ভাই, আমাকে টিউনার
    বানান। আমি ভাল ভাল পোস্ট
    দিতে ট্রাই করব ।।
    1. Shaon Author says:
      আগে তো ভাল পোস্ট দে তারপর ঘেউ ঘেউ কর

Leave a Reply