ওয়াইফাই । দা হিডেন কিলার
বিশ্ব এগোচ্ছে আর তার সাথে সাথে এগোচ্ছি আমরা ( কচ্ছপের গতিতে অবশ্যই )। প্রতিনিয়ত আবিষ্কার হয়ে চলেছে নতুন নতুন সব প্রযুক্তি!! এখন কোন প্রশ্নের উত্তর এর জন্য কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করে না সোজা কোনো সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে খুঁজে দেখে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন হয় ইন্টারনেট ট্রাফিক বা ডাটা। বাংলাদেশের অপারেটর গুলো যে মুল্যে ডাটা প্যাকেজ বিক্রি করে সেই মুল্যে এশিয়ার মধ্যে শুধু নেপাল বিক্রি করে।
অর্থাৎ, পুরো এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট এর দাম বেশি নেয়ার দিক থেকে দ্বিতীয়। এই অবস্থায় এগিয়ে চলার জন্য প্রয়োজন সাশ্রয়ী ভালো ব্যান্ডউইথ এর ইন্টারনেট কানেকশন। আর, সেই সুযোগ করে দেই “ওয়াইফাই”। কিন্তু, সবকিছুর মতো ওয়াইফায়ের ও বেশ অনেকগুলো খারাপ দিক আছে যেগুলো সরাসরি অর্থাৎ প্রত্যক্ষ আমাদের শরীর ও মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।তবে, অল্প কিছু উপায়ে এই খারাপ প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া যায়। আজকের লেখাতে ক্ষতিকর দিক, বাঁচার উপায় সহ বেশ কিছু আলোচনা হবে। সবগুলো জানার জন্য এখনই পড়ে ফেলুন নিচের লেখাটি।
Image Credit www.en.wikipedia.org |
WiFi কী ??
WiFi হচ্ছে Wireless Fidelity এর সংক্ষিপ্ত রুপ। WLAN ( Wireless Local Area Network ) এর অন্তর্ভুক্ত স্মার্ট ডিভাইস গুলোতে ওয়াইফাই কাজ করে।
কে আবিষ্কার করেন ওয়াইফাই ??
ওয়াইফাই কে আবিষ্কার এই প্রশ্নটা ভুল!! প্রশ্নটা হবে “কে কে আবিষ্কার করেন”। কারণ, ওয়াইফাই বেশ কিছু বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলাফল। তার হলেন John O`Sullivan, Terence Percival, Diethelm Ostry, John Deane এবং Graham Daniels.
ওয়াইফাই কীভাবে ব্যবহার করতে হয়??
ওয়াইফাই ব্যবহারের জন্য প্রথমত স্থানীয় ব্রডব্যান্ড প্রোভাইডার এর থেকে নেটওয়ার্ক কানেকশন নিতে হবে নির্দিষ্ট তারের মাধ্যমে। এবং সেটার সঙ্গে প্রোভাইডার কর্তৃক বা রেকোমেন্ড করা রাইউটার এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে এবং অবশ্যই সেটার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। তারপরে, আপনার নির্দিষ্ট ডিভাইস কর্তৃক সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়ে যুক্ত করতে হবে।
এটা শুধু সারসংক্ষেপ, সম্পুর্ন বিস্তারিত জানতে কোনো একটা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করুন।
ওয়াইফাই এর উপকার কী ??
ওয়াইফাই বর্তমানে সবথেকে সাশ্রয়ী মুলে ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়ার সর্বোত্তম উপায়। তাছাড়াও, বেশ কিছু উপকার আছে যেমনঃ-
- সাশ্রয়ী দাম।
- নিরবিচ্ছিন্ন কানেকশন।
- ইচ্ছামতো ইন্টারনেট স্পিড সিলেকশন।
- পার্সোনাল ইউজ এর জন্য সবচেয়ে ভালো।
- বিভিন্ন সিকিউরিটি ব্যবস্থা ( WPA / WPA2 )
- কানেকশন রেঞ্জ নির্ধারণ।
- ইচ্ছামতো ইউজার বা সাইট ব্লক করা।
- নিজের মতো করে কানেকশন অফ কিংবা অন রাখা।
এছাড়াও আছে আরো অনেক উপকার।
ওয়াইফাই এর স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে ??
অবশ্যই আছে, এবং বেশ মারাত্মক। প্রাণীর পাশাপাশি উদ্ভিদের ও নানারকম সমস্যা হয়। যেমন
- মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটা।
- কানে ব্যাথা
- ঘুমে সমস্যা
- তীব্র মাথা ব্যাথা
- ক্লান্তি
- পুরুষত্ব বিলীন
- চক্ষু দৃষ্টি ঘোলা
- হৃদরোগ।
উপোরক্ত সমস্যাগুলো হয় প্রত্যক্ষ। এছাড়াও নানাবিধি সমস্যার সৃষ্টি হয়।
বাঁচার উপায় কী ??
সমস্যাগুলো যদিও মারাত্মক। তবে, অল্প কিছু পদক্ষেপ নিলেই সমস্যার সমাধান হবে।
- অবশ্যই বেডরুমে রাউটার রাখা যাবে না।
- প্রয়োজন নেই এমন সময় ওয়াইফাই রাউটার অফ করে রাখা।
- রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই রাউটার অফ রাখতে হবে।
- অনেক সময় ধরে একনাগাড়ে ব্যবহার রোধ করতে হবে।
উপরের পদক্ষেপ গুলোই বাঁচাতে পারে আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবন।
কিন্তু ক্ষতি গুলো কেন হয় ??
অন্ধের মতো সবকিছু বিশ্বাস করা উচিৎ নয়। উপরের ক্ষতি গুলো হয় কারণ WLAN ডিভাইস গুলোর সাথে তারবিহীন কানেকশন এর জন্য রাউটার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত করে এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে যার মধ্যে থাকলে উপরের ক্ষতি গুলো হয়। এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ই হচ্ছে ওয়াইফাই রেঞ্জ। যদি ক্ষতি গুলো সম্বন্ধে আরো জানতে চান তাহলে সার্চ করুন “Human health disease by Electromagnetic Radiation” । তাহলেই, বেশ কিছু সমস্যা পেয়ে যাবেন।
পরিশেষে
আমরা নিজেদের বাঁচাতে ওয়াইফাই ব্যবহার সম্পুর্ন অফ করে দিতে পারি, তবে সেটা হবে একদম আহাম্মকি কাজ। বর্তমান সময়ে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন। তাই, ব্যবহার অবশ্যই করবেন কিন্তু সতর্ক থেকে।
আপনি কি জানতেন উপরের সমস্যা এবং প্রতিকার সম্পর্কে ?? কিংবা মনে হচ্ছে আমি কোন কিছু ভুল করেছি ?? অথবা কোন পরামর্শ ?? তাহলে, এখনই লিখে ফেলুন কমেন্টে।
আর হ্যাঁ, আপনার বন্ধুদের জীবন বাঁচাতেও শেয়ার করুন এই লেখাটি। শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং।
আরো ভালো আর্টিকেল পেতে চলে যান এই লিংক এ www.thebanglatech.xyz
Share Your Link On http://javabd.ml