অলরেডী এটি আবিষ্কৃত হয়েছে৷ এখন আপনি বাজারে খুব সহজে ওয়ারলেস চার্জার পেয়ে যাবেন৷ যেখানে আপনার ফোনটি শুধু সেই চার্জার এর উপর রাখলেই অটোমেটিক আপনার ফোন চার্জ হবে৷ স্যামসাং হুয়াইয়ে, আইফোন এরকম নামিদামি কিছু কোম্পানি ফোন গুলো পাশাপাশি রাখলে এক ফোন থেকে অন্য ফোনে চার্জ শেয়ার করা যায়৷
ভবিষ্যতের কথা বলতে বিজ্ঞানী টেলসা অলরেডি ঘরের মধ্যে এমন একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেছেন যেটির মাধ্যমে ঐ ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকা সকল ইলেকট্রিক ডিভাইস চলবে৷ সেটিও আবার ওয়াইফাই ব্যবহার করে৷ এটি এখনও বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হয়নি৷
ওয়্যারলেস চার্জারের সাথে আমরা খুব বেশি পরিচিত না কিন্তু পরিচিত হবার আগে আমাদের জানতে হবে ওয়্যারলেস টেকনোলজি কি? Wire- Less অর্থাৎ তার ছাড়া, সহজ কথায় তার বিহীন কোন প্রযুক্তিকে ওয়্যারলেস টেকনোলজি বলে। আমাদের মোবাইল ফোন ওয়্যারলেস টেকনোলজির একটি বড় উদাহারন। এই তালিকায় নতুন সংযুক্তি ওয়্যারলেস চার্জার। অতএব সহজ কথায় তার ছাড়া চার্জারকে ওয়্যারলেস চার্জার বলে। এটি দ্রুত চার্জে সহায়ক না হলেও আপনার মোবাইল ফোনের ব্যাটারির চার্জ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।
ওয়্যারলেস চার্জার কিভাবে কাজ করে?
আবেশীয় প্রক্রিয়ায় তড়িৎ-চুম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে বিদ্যুৎ শক্তিকে (তড়িত-চুম্বকীয় তরঙ্গ হিসেবে) এক চার্জিত বস্তু থেকে অন্য চার্জিত বস্তুতে আদান-প্রদান করা যায়। আর এই তত্ত্বই ওয়্যারলেস চার্জারে ব্যবহার করা হয়। চার্জারে যে প্রাইমারি-কয়েল থাকে তা বিদ্যুতকে আবেশ করে মোবাইল ফোনের ব্যাটারির সেকেন্ডারি কয়েলে প্রেরণ করতে থাকে এবং কিছু সময়ে ব্যাটারি প্রয়োজনীয় পরিমাণে চার্জিত হয়ে যায়।
টেসলা কয়েল, তারবিহীন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ শক্তি স্থানান্তরের স্বপ্ন থেকে বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা সর্বপ্রথম এই পরীক্ষাটি করেন।
পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের সূত্র অনু্যায়ী, যদি কোনো কুণ্ডলিত তারের ভেতর দিয়ে একটি চুম্বককে দ্রুত আনা নেওয়া করা যায় তাহলে পরিবর্তনশীল চুম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে তারের ভেতর তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি হবে।
একইভাবে যদি কোনো কুণ্ডলিত তারের ভেতর পরিবর্তনশীল তড়িৎ প্রবাহ চালানো যায় তাহলে ঐ কুণ্ডলির চারপাশে একটি অস্থায়ী চুম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি হবে। টেসলা কয়েল পরীক্ষায় একইসাথে দুটি কুণ্ডলিত তারের ব্যবহার করা হয়। একটি তিন কুণ্ডলির তারকে প্রায় তিনশো কুণ্ডলির তারের উপর বসানো হয়, যেন তড়িৎচুম্বকীয় আবেশের দ্বারা এটি উচ্চধাপী ট্রান্সফর্মারের ন্যায় কাজ করে। এর কাজ হচ্ছে কম বিভবের তড়িৎকে উচ্চ বিভবের তড়িতে রূপান্তরিত করা।
ট্রানজিস্টর, রেজিস্ট্যান্স ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে তিন কুণ্ডলির তারের ভেতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করা হয়। প্রবাহের ফলে উৎপন্ন চুম্বকক্ষেত্র তিনশো কুণ্ডলির তারের চারপাশে আবিষ্ট হয়। এটি তারের দুই প্রান্তে অত্যধিক উচ্চ বিভবের সৃষ্টি করে।
এখন এই তারের চারপাশে যদি কোনো প্রবাহী বস্তুকে আনা হয় তখন তা অত্যধিক উচ্চ বিভবের ফলে আয়নিত বস্তুর ন্যায় আচরণ করে। কোনো বৈদ্যুতিক বাতির ক্ষেত্রে তা বাতির ভেতরে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি করে। ফলে বাতিটি কোনোপ্রকার তড়িৎ সংযোগ ছাড়াই শুধু মাত্র আবেশের প্রভাবে জ্বলে উঠে। তারবিহীন বিদ্যুৎ শক্তি স্থানান্তরের এই অসাধারণ উপায়ের নাম টেসলা কয়েল।
তথ্য সুত্রঃ ইনটারনেট ৷
পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আমার সাইটটি ঘুরে দেখুন একবার ? hmvai.com
ধন্যবাদ পোস্টি পুরাপুরি পড়বার জন্য ৷ ট্রিকবিডি সাথেই থাকুন নতুন নতুন তথ্য জানতে ৷
2 thoughts on "হটস্পট করে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ইত্যাদি শেয়ারের মাধ্যমে যেমন আমরা তথ্য/ডাটা স্থানান্তর করি, তেমনি একই ভাবে ভবিষ্যতে ব্যাটারির চার্জও শেয়ার করা সম্ভব হবে?"