আসসালামুআলাইকুম
অনেকে ওয়াইফাই ব্যাবহার করে থাকে, আবার অনেকে সিমে মেগাবাইট কিনে ইন্টারনেট ব্যাবহার করে থাকে।আসলে ওয়াইফাই ব্যাবহার করলে ডিভাইস এর উপর চাপ কম থাকে।অপরদিকে সিমে মেগাবাইট কিনে ইন্টারনেট ব্যাবহার করলে ডিভাইস এর উপর একটু চাপ বেশি থাকে।যাই হোক, ওয়াইফাই ব্যাবহার করলে, অনেকের রাউটার হ্যাক হয়ে যায়।আবার অনেকের রাউটার অন্যর কন্ট্রলে চলে যায়।আজকে আপনাদের জানাব,রাউটার হ্যাক হওয়ার হাত থেকে বাচাতে বা রাউটার নিরাপদ রাখতে যে বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।আশা করি সম্পন্ন আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
রাউটার ব্যাবহার করে ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে গেলে অনেকের রাউটার হ্যাক হয়ে যায়, এবং অনেকে সে রাউটার এর ইন্টারনেট ব্যাবহার করে থাকে,এতে নেট স্লো হয়ে যায়।রাউটার ব্যাবহার করে ওয়াইফাই ব্যাবহার করলে কখনো পাসওয়ার্ড অন্য কাউকে দিবেন না।কিন্তু অনেকে কিন্তু পাসওয়ার্ড জেনে যায়।আপনি না দিলেও কিন্তু যেকোন একটি মাধ্যামে বা স্ক্যান করে পাসওয়ার্ড জেনে যায় অনেকে।এবং আপনার রাউটার এর ইন্টারনেট ব্যাবহার করে থাকে অনেকে।এজন্য আপনার করনীয় বিষয় আছে, যেটি করলে পাসওয়ার্ড জানলেও কেউ ব্যাবহার করতে পারবে না ইন্টারনেট। ম্যাক ফিল্টারিং নাম শুনেছেন অনেকে? ম্যাক ফিল্টারিং করলে আপনি বাছাই করে যে কয়েকটি ডিভাইস কে নেট চালানো অনুমতি দিবেন শুধু সে কয়েকটি ডিভাইস ই নেট ব্যাবহার করতে পারবে। অন্য কোনো ডিভাইস কানেক্ট করতে পারবে না, পাসওয়ার্ড জানলেও,কানেক্ট হলেও নেট ব্যাবহার করতে পারবে না।অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে আপনি এ কাজটি করে নিতে পারেন।তখন পাসওয়ার্ড জানলে বা স্কান করেও কেউ ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবে না।এছাড়াও আপনি যাদের থেকে ওয়াইফাই লাইন নিবেন, তারা একটি ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিবে আপনাকে।কখনো ভুলে এই ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড কাউকে দেখাবেন না।কারন, এটি অন্য দেখলে পুরো রাউটার ই অন্যজনের দখলে চলে যেতে পারে।মানে রাউটার অন্য জনের কন্ট্রোলে চলে যাবে।আপনাকে সাবধান থাকতে হবে।যদিও এই ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড কেউ দেখে ফেলে, তাহলে ওয়াইফাই এর অফিসে গিয়ে পরিবর্তন করে সেট আপ দিয়ে নিয়ে আসবেন,এক্ষেত্রে আপনাকে রাউটার সাথে নিয়ে যেতে হবে।আপনি যদি পিসি বা ল্যাপটপ এ ইন্টারনেট ব্যাবহার করে থাকেন, তাহলে আপনাকে রাউটার না কিনে সরাসরি লাইন পিসি বা ল্যাপটপ এ নিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন।আপনাকে রাউটার ব্যাবহার করলে সব সময় নিরাপদে থাকতে হবে। ওয়াইফাই যত ব্যাবহারকারি হবে তত স্লো কাজ করবে। এজন্য চেস্টা করবেন কম ডিভাইস একটি রাইটার এর সাথে কানেক্ত করতে।প্রতি২-৪ মাস পর পর চেস্টা করবেন রাউটার রিসেট দেওয়ার জন্য। আপনার রাউটার এর ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিরাপদ রাখার একটিই ভাল উপায় সেটি হলো ম্যাক ফিল্টারিং করা।অন্য একটি সিস্টেম আছে সেটি হলো ব্লক করা।কিন্তু আপনি কয়জন কে ব্লক দিবেন, আজ না হয় একজনকে ব্লক দিলেন, কিছুদিপর আবার অন্যজন পাবে।এবং আপনার রাউটার থেকে ওয়াইফাই ব্যাবহার করবে। এছাড়াও অনেকে আছে, সাব লাইন দিয়ে থাকে, এতে আপনার রাউটার অনেক গতি কমে যায়।এজন্য সাব লাইন দেয়া থেকে বিরত থাকুন।আপনার চেস্টা করতে হবে,ভাল মানের রাউটার কেনা।অনেকে আছে পুরোনো রাউটার কিনে ব্যাবহার করে থাকে। আসলে এটি করা ঠিক না।কারন, পুরোনো রাউটার স্পীড কম দিবে।এজন্য নতুন রাউটার এর বিকল্প নেই।
যে বিষয়গুলো শেয়ার করলাম,আপনি নতুন লাইন নেন বা আগে থেকে লাইনে নিয়েছেন বিষয়গুলো ফলো করলে আপনার রাউটার থাকবে নিরাপদ ও আপনার নেট স্পীড ও অনেক ভাল থাকবে।আপনার রাউটার এর পাসওয়ার্ড কেউ নিতে পারবে না।এবং আপনার রাউটার কেউ হ্যাক ও করতে পারবে না।আশা করি সকল ওয়াইফাই ব্যাবহার কারীদের অনেক উপকারে আসবে।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-
ধন্যবাদ।
6 thoughts on "Wifi ব্যাবহার করলে, রাউটার নিরাপদ রাখতে যে বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে, জেনে নিন।"