জন্ম নিবন্ধন যাচাই এই বিষয়টা যারা আপনার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বর্তমানে সময়ের জন্য। তাছাড়া বলতে গেলে বার্থ সার্টিফিকেট চেক করা অত্যন্ত সহজ একটা বিষয় তা সত্ত্বেও অনেকেই এ বিষয়টা জানে না। সুতরাং আপনার বার্থ সার্টিফিকেটটি অনলাইনের মধ্যে রয়েছে কিনা সেটা চেক করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। আর সেগুলি যদি আপনাকে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই লেখা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন যাচাই অ্যাপস ছাড়াও আরো অনেক বেশি বলা হবে ইনশাআল্লাহ।
আগেরকার সময় আমাদের জন্ম নিবন্ধনগুলো হাতে লেখা একটা নির্দিষ্ট কাগজের মধ্যেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির দুনিয়ায় হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনগুলো কোন কাজেই আসে না। তাছাড়া আমরা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কোন কাজ করতে চাইলে আমাদেরকে অনেক জায়গায় অনলাইনের মধ্যে যাচাই করে সেটা এপ্রুভ করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে সময়ে আসলে মূল কথা হচ্ছে যে কেউ চাইলে খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন নিজ ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে চেক করতে পারবে। জাস্ট আপনার কাছে যদি একটা স্মার্ট ফোন থাকে কিংবা ল্যাপটপ কম্পিউটার ইত্যাদি যেটাতে কিনা আপনি ব্রাউজিং করতে পারবেন। যেহেতু ব্রাউজিং করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন পড়ে তাই সাথে এই বিষয়টাও লাগবে অর্থাৎ ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
সুতরাং আপনার কাছে যদি ব্রাউজিং করার কোন ডিভাইস থাকে এবং সাথে ইন্টারেকশন থাকে তাহলে আপনাকে মাত্র দুইটি জিনিস লাগবে। আরে সেগুলো হচ্ছে এক নাম্বার আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দ্বিতীয়ত জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd (জন্ম তারিখ)
আপনি যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন টা অনলাইনে এভেলেবল আছে কিনা সেটা চেক করতে চান তাহলে তার জন্য একমাত্র উপায় হলো অনলাইন জন্ম নিবন্ধন চেক। এর একটা মূল কারণ হলো আপনার যদি হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন থাকে কিন্তু সেটা অনলাইনে না থাকে তাহলে সেটা আর কোন কাজে আসবে না। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন চেক করার নিয়ম
আপনি যদি দেখতে পান everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে দুর্ভাগ্যবশত কোনো কারণে আপনার বার্থ সার্টিফিকেট অনলাইনে এভেলেবল নেই তাহলে আপনাকে সেটা আবার অনলাইনে করতে হবে। কেননা আমি আগেই বলেছি আপনাদেরকে অফলাইন জন্ম নিবন্ধন এর কোন দাম নেই বর্তমান সময়ে। তাই তার জন্য আপনাকে দুটি উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার অফলাইন জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইন করতে হবে
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি শুধুমাত্র যে কারো জন্ম নিবন্ধন দিয়ে অন্যের মাধ্যমে তার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত কারণে কিংবা অন্যান্য আরো কারণে আপনি চাইলে শুধুমাত্র জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন চেক করতে পারবেন না। তবে আপনি যদি অনলাইনে মাধ্যমে আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চান তাহলে আপনার দুটি জিনিসের প্রয়োজন পড়বে যেগুলো কিনা আমি উপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
দুর্ভাগ্যবশত এখনো পর্যন্ত আমার জানা মতে সরকারি অফিসিয়ালি ভাবে কোন প্রকার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য কিংবা চেক করার জন্য অ্যাপ লঞ্চ করা হয়নি। চাই আপনি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সরকারিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা সেটা চেক করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে অর্থাৎ ওয়েবসাইট ব্রাউজিং করে এখান থেকে চেক করে নিতে পারবেন। সে বিষয়টা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিচে স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করেছি কিভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার জন্ম নিবন্ধন চেক করবেন। আমি আগেই বলেছিলাম এ বিষয়টা অত্যন্ত সহজ যদিও আপনি না জানেন। সুতরাং না জেনে থাকলে নিচে দেওয়া স্টেপ গুলো থেকে জেনে নিন এবং সে অনুযায়ী চেক করার চেষ্টা করুন।
উপর দেওয়া প্রসেস অনুযায়ী যখন আপনার জন্ম নিবন্ধনটা চেক করবেন তখন যদি দেখতে পান আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে তাহলে ভালো। আর যদি দেখতে পান যে আপনার জন্ম নিবন্ধনটা অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে আপনাকে খুব দ্রুত অনলাইন করে নিতে হবে। কেননা আপনার কাছে থাকা বার্থ সার্টিফিকেটটা পরবর্তীতে কোন কাজে না আসতেই পারে অনলাইনে না থাকার কারণে।
প্রতিটি ব্যক্তিকে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে এটা বাধ্যতামূলক। কেননা কোন একজন সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে দেশের নাগরিকতা স্বরূপ তার কাছে এনআইডি কার্ড হওয়ার আগে জন্ম নিবন্ধন এই পরিচিত লাভ করে। অর্থাৎ এনআইডি কার্ড এর আগে একজন ব্যক্তি নাগরিকত্বের ভূমিকা পালন করবে কিংবা অধিকার পাবেন যখন তার কাছে জন্ম নিবন্ধন থাকবে।
তাই প্রত্যেকেরই উচিত কোন একজন সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে ৪৫ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন করে ফেলার জন্য। যদি কোনো কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্ভব না হয় তাহলে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই করে ফেলা উচিত। যদি পাঁচ বছরের ভিতরেও করতে না পারেন তাহলে পরবর্তীতে আরো অনেক ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে।
তাই আপনি যদি খুব সহজে ই আপনার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করে ফেলতে চান তাহলে 45 দিনের ভিতরেই করে ফেলবেন যদি সম্ভব না হয় তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে করে ফেলবেন। কিভাবে করতে হয় এ বিষয়টা জানার জন্য আপনি ইউনিয়ন পরিষদ এ যোগাযোগ করুন
সেখানে কোন একজন কর্মরত ব্যক্তিকে আপনি জানালে তিনি পরবর্তী প্রচেচটি আপনাকে জানিয়ে দিবে। সুতরাং আপনি তার কথা অনুযায়ী কি কি করতে হবে এটা জানার পরে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করে ফেলবে। ঠিক এভাবেই আপনি নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে জন্ম নিবন্ধন যাচাই সম্পর্কে যথাযথ শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের নিবন্ধটি খুবই উপকারে এসেছে এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের সকলের trickbd ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
You must be logged in to post a comment.
Asob Simple Bisoy Gula Oh Ajkal Trickbd Ar Post Ay Karony Ajkal Trickbd Ta Asha Sara dese Pray..
Same to you
Thanks for sharing this valuable information?