যুব বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আজ
দারুণ এক রেকর্ড গড়েও নাজমুল হোসেন
শান্ত উদযাপনে থাকলেন আশ্চর্য ‘শান্ত’!
তবে নাজমুলের চেয়ে বোধ হয় বেশি খুশি
হলেন অপর প্রান্তে থাকা মেহেদী
হাসান মিরাজ। নাজমুল যখন পাকিস্তানের সামি আসলামকে টপকে যুব
ওয়ানডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের
রেকর্ডটা গড়লেন, মিরাজ আনন্দে দুইবার
আলিঙ্গন করলেন নাজমুলকে। নাজমুল শুধু সতীর্থই নন, মিরাজের ঘনিষ্ঠ
বন্ধুও। বহুদিন ধরে এক সঙ্গে খেলছেন
দুজন। বন্ধুর এমন অর্জনে তাই খুশির ঢেউ
খেলে যাচ্ছে মিরাজের মুখে, ‘শান্ত

(নাজমুল) আর আমি খুব ভালো বন্ধু।
একসঙ্গে ছয় বছর ধরে খেলছি। মনে- প্রাণে চাচ্ছিলাম ও রেকর্ডটা ভাঙুক।
সেঞ্চুরি করুক। ও যখন রেকর্ডটা ভাঙল,
খুবই রোমাঞ্চিত ছিলাম। মনে হয়েছে
আমিই রেকর্ড ভেঙেছি!’
নাজমুল অবশ্য জানালেন, তাঁর এ রেকর্ডে
ভীষণ খুশি হয়েছে তার বাবা-মা। তবে মাঠে মিরাজের আনন্দ তাঁকেও ছুঁয়ে
যাচ্ছে সমানভাবে, ‘আমার রান তখন ৬০,
এর পর রেকর্ড হয়ে গেলে (বাউন্ডারি
মেরে) ও ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিল। মনে
হচ্ছিল, রেকর্ডটা আসলে সে-ই করেছে।
মিরাজ সব সময়ই আমাকে দারুণ সহায়তা করে।’
নাজমুলের রেকর্ডে ভীষণ আপ্লুত হলেও
মিরাজের অপেক্ষা বাড়ল। যুব ওয়ানডেতে
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে আজকের
ম্যাচের আগে মিরাজের দরকার ছিল ৩
উইকেট। পেয়েছেন ১ উইকেট। আজ না হলেও পরশু নামিবিয়ার বিপক্ষে একই
মাঠে রেকর্ডটা হয়ে যাবে বলে
আশাবাদী অধিনায়ক, ‘নাজমুলও মনে-
প্রাণে চাচ্ছিল আমি যেন আরও ২ উইকেট
পাই। দুর্ভাগ্য হয়নি। সামনে হয়ে যাবে
ইনশাআল্লাহ।’

Leave a Reply