নির্মাণ কাজ চলছে মার্কিন টেক
জায়ান্ট অ্যাপলের নতুন
হেডকোয়ার্টার ‘স্পেসশিপ’-এর। উড়ন্ত
ড্রোন থেকে ধারণ করা হয়েছে এর
নির্মাণ কাজের ভিডিও।
কাগজে-কলমে অ্যাপলের নতুন ওই
কার্যালয়ের নাম ‘স্পেসশিপ’ নয়, বরং
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া ডাক নাম এটি।
ক্যালিফোর্নিয়ার কুপার্টিনোতে
অবস্থিত বর্তমান প্রধান কার্যালয়
থেকে এর দূরত্ব এক মাইল। এক সঙ্গে ১২
হাজার কর্মী কাজ করতে পারবেন
এতে।

২০১৫ সালে চালু হওয়ার কথা থাকলেও
নানা জটিলতার কারণে এর নির্মাণ
কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে
জানিয়েছে স্কাই নিউজ।
ড্রোন থেকে ধারণ করা ভিডিওতে
দেখা যায়, নির্মাণ কাজ চলছে মূল
ভবনের। শুরু হয়েছে অডিটোরিয়াম
নির্মাণের কাজও। এক পাশে রয়েছে
গাড়ি পার্ক করার জন্য আলাদা

জায়গা, যার ছাদে রাখা হয়েছে
বিশাল সৌর প্যানেল।

২৮ লাখ বর্গফুটের ভবনটির ‘অবজারভেশন
ডেক’ থেকে কর্মী আর দর্শনার্থীরা
চারপাশের পুরো এলাকা দেখার
সুযোগ পাবেন।
২০১১ সালে মারা যাওয়ার আগে
অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক
প্রধান স্টিভ জবস ৫শ’ কোটি ডলারের ওই
প্রকল্প শুরুর জন্য চাপ দিয়েছিলেন।
ভিডিওতে অ্যাপলের ওই প্রকল্পের
অগ্রগতি চোখে পড়ার মতোই বলে মনে
হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান হোজে-তে
আরেকটি অ্যাপল ক্যাম্পাস বানানোর
পরিকল্পনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় ওই
স্পেসশিপের মূল ভবনটি
‘কার্ভাশিয়াস’ গ্লাসের কাঠামো
দিয়ে বানানো হবে। আর এর বাইরে
থাকবে সবুজ খালি জায়গা।
ওই প্রকল্পে তিনটি ভবন থাকবে। ভবনের
জন্য নির্ধারিত পার্কিং স্পেসের
প্রায় পুরোটাই রাখা হয়েছে ভবনের
আন্ডারগ্রাউন্ডে।

পরিবেশের কথা মাথায় রেখে
বানানো ভবনের মান নিয়ে

যুক্তরাষ্ট্রে লিডারশিপ এনার্জি
অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন
(এলইইডি) সনদ দেওয়া হয়। এই সনদের
সর্বোচ্চ ধাপ এলইইডি প্লাটিনাম অর্জন
করেছে ভবনটি।
কবে নাগাদ ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু
করা হবে আর অ্যাপল কি ওই জায়গা
লিজ নিয়েছে না কি কিনে
নিয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
অ্যাপলের বর্তমান হেডকোয়ার্টার
থেকে দ্বিতীয় ‘স্পেসশিপ’ মাত্র ৫
মাইল দূরে অবস্থিত।

ধন্যবাদ


তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।

…♦ ♦….(ফেসবুকে আমি)..♦…♦.

Leave a Reply