পানি না পান করে ঠিক
কতদিন বাঁচতে পারবেন আপনি? দশ দিন,
বিশ দিন, এক মাস, এক বছর? ঠিক কত দিন?
ভাবছেন, খাবার হলেও নাহয় একটা কথা
ছিল। কিন্তু পানি ছাড়া কি করে বাঁচা
যায়? নাহ! একদমই সম্ভব না। বিশেষ করে
এক বছর পানি ছাড়া- এ তো সম্ভবই না!
একদিকে আপনার পানি জড়িত ভাবনা যখন
এক বছরে আটকে আছে, ঠিক সেসময়
পৃথিবীরই অন্য প্রান্তে আরেকজন মানুষ এই
পানি ছাড়াই বেঁচে আছে। তাও এক নয়, দুই
নয়, টানা তিন-তিনটে বছর!
বিশ্বাস হলোনা তো? ভাবছেন অসম্ভব?
তাহলে শুনুন সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে
তোলা মানুষটির কথা। পিটার ফেলেকের
কথা। আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে ২০১২
সালের ৫ মে হঠাত্ পিটারের ইচ্ছে হল
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ( কিকার
ডেইলি )
। যেই ভাবা সেই কাজ। নিজের খাবার
তালিকা থেকে পানিকে বাদ দিয়ে
দিলেন এই সাবেক সেবক। প্রথমটায়
খানিকটা চকোলেট দুধ আর সোডা অবশ্য
পান করতেন পিটার। তবে কিছুদিন পর
সেটাকেও বাদ দিয়ে পুরোপুরিভাবে
হয়ে গেলেন তিনি।
অবশ্য পানি না পান করার এই ইচ্ছেটা
নিজের অবচেতন মনে সবসময়েই লুকিয়ে
ছিল বলে মনে করেন পিটার। বিদ্যালয়ের
থার্ড গ্রেডেই ভবিষ্যতে কোনরকম মাদক
বা বিয়ার না নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন
তিনি। বাবা-মার শত চেষ্টা সত্ত্বেও হয়ে
যান নিরামিশাষী। সবসময়েই আসলে একটু
বেশিদিন বাঁচার ইচ্ছে ছিল এই ২৬ বছর
বয়স্ক যুবকের। যেটা কিনা পানির এই
নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সম্ভব বলে মনে করেন
পিটার। বর্তমানে দিনে মাত্র ৮০০ থেকে
১০০০ ক্যালোরির ওপরেই নির্ভর করেন
তিনি। ইচ্ছে করেই খাননা এর বেশি। পান
করেননা পানিও।
“যেহেতু আমি কাঁচা সব্জি আর ফল খেতাম,
রাতের বেলা দু-তিনবার বাথরুমে যেতে হত
আমাকে। আমি ঠিক বুঝতে পারতাম না।
তাহলে কেন আমার পানি পান করার
দরকার? “ নিজের এই পানি না পান করে
বেঁচে থাকাতে মোটেও অভিভূত না হয়ে
খুব স্বাভাবিকভাবেই নিজের অবস্থাটা
বর্ণনা করেন পিটার। শুধু তাই নয়,
পনিশূন্যতা বলে কিছু যে আছে সেটাও
বিশ্বাস হতে চায়না পিটারের।
যদিও চিকিত্সকদের মতে পিটারের এই
অবস্থাটি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক, তবে তাদের
মতে পানি না পান করা দাঁত আর কিডনির
আর তাই প্রত্যেকটি মানুষেরই উচিত সঠিক
পরিমাণ পানি পান করা। শুনলে আশ্চর্য
হবেন যে, পথটি অত্যন্ত বিপদজনক আর
কঠিন হলেও এ পথে পিটার কিন্তু একলাই
নন। কিছুদিন আগেই একজন বৃদ্ধ দাবী করেন
যে টানা ৭০ বছর ধরে তিনি কেবল কিছু
পান করেননি তাই নয়, কিছু খাননিও
( ডেইলি মেইল )
।
বলছিলাম ভারতের প্রহ্লাদ জানির কথা।
সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই
খাবার বা পানি কিছুই গ্রহণ করেননা
তিনি। তাহলে কি করে বেঁচে আছেন
বর্তমানে ৮২ বছর বয়স্ক এই মানুষটি? চলছে
চিকিত্সকদের পরীক্ষা নিরীক্ষা। সত্যিই
কি এমনটা সম্ভব অন্যদের ক্ষেত্রেও? উত্তর
খুঁজছেন বিজ্ঞানী ও চিকিত্সকেরা।চিকিত্সকেরা।
2 thoughts on "খাবার বা পানি ছাড়াই বেঁচে আছে যারা! সাদিয়া"