নিজেদের মঙ্গলের কথা ভেবে মৃত
নারীদের বিয়ে করার হিড়িক পড়ে গেছে
চীনের একটি অংশে। আর এ জন্য মৃত
নারীদের লাশ কবরে রাখা যাচ্ছে না। কবর
থেকে লাশ তুলে মোটা অংকের অর্থের
বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছে চোরের দল।
এরকম একাধিক ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে চীনা
পুলিশ।একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এই বিষয়টি
বের হয়ে আসে।
সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এই
ধরনের ঘটনার তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ে। বাইক চুরির
ঘটনায় চীনা পুলিশ ওয়াং তুশো(৩৪) নামে এক
ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তার ঘরে তল্লাশি
চালিয়ে নারীদের ব্যবহৃত আরও অনেকগুলো
বাইক পায় পুলিশ।
পুলিশি জেরার মুখে ওয়াং তুশো স্বীকার করে,
সে এবং তার কিছু বন্ধুরা মিলে এক তরুণীর লাশ

কবর থেকে তুলে বিক্রি করে দিয়েছে। পুলিশ
এই ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত দুই ডজনের বেশি
নারীর লাশ চুরির ঘটনা ধরা পড়েছে। চীনের কিছু
কুসংস্কারাচ্ছন্ন এলাকায় অবিবাহিত ব্যক্তিদের কাছে
এসব লাশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রি
করে সংঘবদ্ধ চক্রটি।
দীর্ঘদিন ধরেই চীনের কিছু এলাকায় এই
কুসংস্কার চালু রয়েছে। তারা মনে করেন, মৃত
নারীর লাশের সঙ্গে অবিবাহিত পুরুষের বিয়ে
হলে মঙ্গল হয়। তাই চীনারা নিজের ছেলে বা
বন্ধুদের বিয়ে করাতে মৃত নারীর লাশ
খোঁজে।
পুলিশ আরও জানান, আশংকাজনকহারে নারীদের লাশ
চুরি বেড়েছ। মৃত নারীর পরিবারগুলো লাশ চুরির
ঘটনা নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকছে।
চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাও সে তুং ১৯৪৯
সালে মৃত ব্যক্তিকে বিয়ে করার প্রথা নিষিদ্ধ
ঘোষণা করেছিলেন।
এ প্রথার ভুক্তভোগী গুও কিওয়েন জানান, তিনি
তার মায়ের লাশ খুঁজছেন। গত বছর তার মায়ের লাশ
চুরি হয়ে যায়। লাশ ফিরিয়ে আনতে প্রচুর টাকাও
খরচ করেছেন তিনি। কিন্তু মায়ের লাশ আর
ফেরত পাননি।
২০১১ সালে চীনের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে
হত্যা করে তার লাশ বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল।
পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
মৃত ব্যক্তির লাশ বিক্রি করা চীনে শাস্তিযোগ্য
অপরাধ। এই ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ
তিন বছরের জেল হতে পারে।

Leave a Reply