কথায় আছে মুখই মনের দর্পন। মুখ
দেখেই
অনেকে বলে দেন আপনি দুঃখিত,
চিন্তিত
নাকি আনন্দিত। বিশেষজ্ঞদের
মতে
মানুষের মুখের কিছু বৈশিষ্ট্য
দেখে বোঝা
যায় তার চরিত্র। আর সেই
বৈশিষ্ট্যের
উপরে নির্ভর করেই কর্মক্ষেত্রে
ইন্টারভিউ
নেন এইচ আর।
মনোবিদদের মতে আপনার মুখে
কিছু
পরিবর্তন দেখে বুঝে নেওয়া যায়
মস্তিষ্কে
কি চলছে। নিউরোলজিস্টদের এই
সূত্র ধরেই
মুখের ভাবভঙ্গির পরিবর্তন লক্ষ্য
করা হয়
বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে।
স্টিভেনের
গবেষকদের মতে এরকমই কিছু
অজানা তথ্য
রইল আপনার জন্য।
১। আত্মবিশ্বাস
স্টিভেনের বিশেষজ্ঞদের মতে
যাঁদের মুখ
লম্বার তুলনায় ৬০ শতাংশের কম
চওড়া
তারা পরিস্থিতি বিশেষে

সচেতন হন।
আবার যাঁদের মুখ লম্বার তুলনায়
অন্তত ৭০
শতাংশ চওড়া তাঁদের মধ্যে
জন্মগতভাবেই
আত্মবিশ্বাস থাকে।
২। বন্ধুতা
চোখের উপর থেকে ভ্রুয়ের
অবস্থানের মধ্যে
তফাত দেখে বোঝা যায় সে
কতটা
আত্মকেন্দ্রিক। স্টিভেনের মতে
যে
ব্যক্তির ভ্রু চোখ থেকে যত উপরে
তার
আত্মকেন্দ্রিকতা তত বেশি।
অর্থাৎ সে
নিজেকে তত বেশি ব্যক্তিগত
রাখতে পছন্দ
করে।
৩। সহ্য ক্ষমতা
দুটি ভ্রুয়ের মধ্যে তফাত দেখে
বোঝা যায়
তার সহ্য ক্ষমতা কেমন।
স্টিভেনের
বিশেষজ্ঞদের মতে দুটি ভ্রুয়ের
মধ্যে যত
বেশি তফাত থাকে তার সহ্য
ক্ষমতা তত
বেশি।
৪। হাস্যরস
উপরের ঠোঁট এবং নাকের দূরত্ব
দেখে
আন্দাজ করা যায় কার হাস্যরস
কেমন। এই
দূরত্ব যার যত বেশি তার মধ্যে
হাস্যরসও
বেশি। এই দূরত্ব কম হলে তার
রসিকতা
ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার সম্ভবনা
থাকে।
৫। মহত্ব
স্টিভেনের বিশেষজ্ঞরা বলেন
উপরের ঠোঁট
যত বেশি মোটা হয় তার কথায় ও
আচরণে
ততই ভদ্রতা এবং মহত্ব থাকে।
৬। বাস্তবতা
স্টিভেনদের মতে যাঁদের
চোখের পাতা যত
মোটা, স্পষ্ট এবং কোঁকড়ানো
তাদের মধ্যে
বিশ্লেষণাত্মক মনোভাব তত
বেশি। যাদের
চোখের পাতায় কোনও ভাঁজ নেই
তারা তত
বেশি সিদ্ধান্তগ্রহনকারী।
৭। আকর্ষক
চোখের মণির রঙে যার গভীরতা
বেশি তার
আকর্ষণ ক্ষমতাও তত বেশি।

Leave a Reply