পিরামিডের দেয়ালে দেয়ালে
আঁকা হয়েছিল হাইরোগ্লিফিক,
লেওনার্দো দা ভিঞ্চি মোনালিসা
এঁকেছিলেন ক্যানভাসে। আর এখন
চিত্রকলায় লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া।
অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ডিজিটাল
মাধ্যম, যা এমন একধরনের শিল্পমাধ্যম
কাগজ, পেনসিল, রঙের বদলে ব্যবহৃত হয়
কম্পিউটারে। ডিজিটাল ছড়িয়ে
দিতে নটর ডেম কলেজের উচ্চমাধ্যমিক
শ্রেণির চার শিক্ষার্থী গত বছরের
নভেম্বরে চালু করে অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ট
(www.abstractmart.com) নামের এক ওয়েব
পোর্টাল। ‘নো আর্ট ইজ স্ট্রেঞ্জ বাট
অল আর্ট ইজ মিনিংফুল’ স্লোগানে এই
পোর্টালে থাকবে ডিজিটাল
শিল্পকর্ম।
২ এপ্রিল কথা হয় অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্টের
তিন উদ্যোক্তা সাদেকুস সালেহীন,
সামিন ইয়াসার ও ওয়াকিফ হোসেনের
সঙ্গে। ছয় উদ্যোক্তার আরও তিনজন
হলেন সাফওয়ান সাফকাত,

মোহাইমিন অনিন্দ্য ও আলভি
ফারাজি। সাদেকুস সালেহীন বলেন,
‘এই পোর্টালটিকে আমরা
শিল্পকর্মের সামাজিক মাধ্যম বলছি।
দেশীয় শিল্পীদের ডিজিটাল
চিত্রকর্ম সংরক্ষণ ও ছড়িয়ে দিতেই
আমাদের এই উদ্যোগ।’
কেন এ উদ্যোগ এমন প্রশ্নের উত্তরে
ওয়াকিফ হোসেন বলেন, মূলত তরুণ
শিল্পীদের মূল্যায়ন করতেই এই প্রয়াস।
ওয়াকিফ জানায়, ফেসবুকে অনেক বন্ধু
ডিজিটাল মাধ্যমে আঁকা ছবি দিত।
এসব ছবি দেখে তাদের মনে হয়েছিল
ডিজিটাল শিল্পের একটা জায়গা
বানানো যেতে পারে। ফলে
সম্ভাবনাময় নবীন শিল্পীরা ঝরে
পড়বে না বা উৎসাহ হারাবে না।
আগ্রহী কোনো শিল্পী এই
পোর্টালে গিয়ে বিনা মূল্যে
নিবন্ধন করার পর অ্যানাইম
(অ্যানিমেশনের ড্রয়িং), স্কেচ,
ইলাস্ট্রেশন, থ্রিডি মডেলস, হ্যান্ড
ড্রয়িংস, ফ্ল্যাট ডিজাইন, ডিজিটাল
আর্ট কিংবা লোগো বিভাগে
চিত্রকর্ম প্রকাশ করতে পারবেন। গুগল
প্লেস্টোর থেকে অ্যাবস্ট্রাক্ট
মার্টের অ্যাপ নামিয়েও কাজ করা
যাবে। শিল্পীদের পোর্টফোলিও
রাখার ব্যবস্থাও আছে। ডিজিটাল
আর্টের প্রায় ১৫০ শিল্পী নিজেদের
কাজ নিয়মিত প্রকাশ করছেন এ সাইটে।
উদ্যোক্তারা জানান, অ্যাবস্ট্রাক্ট
মার্টে ক্লিক প্রোটেকশন প্লাগইন
ব্যবহার করায় প্ল্যাটফর্মটির কোনো
ছবি সহজে কপি করা যাবে না।
আমরা চাই দেশে ডিজিটাল আর্টের
যত কাজ আছে তা অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্টে
থাকবে, যে কেউ চাইলে সহজে খুঁজেও
নিতে পারবে—এটি তাদের ভবিষ্যৎ
লক্ষ্য। ভবিষ্যতে ডিজিটাল আর্টের
টিউটোরিয়ালও যুক্ত করা ইচ্ছাও আছে
তাদের।

Leave a Reply