দু’জন ইংরেজ
মহিলা ১৯৫১ সালের ৪ আগস্ট ভোরবেলায়
জার্মানির নর্মান্ডি শহরের ডিয়েফ বিমান বন্দরে
গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে। তারা রাতে সেখানে
যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন ভোর ৪টার সময়
বাইরে প্রচণ্ড গুলির শব্দে তাদের ঘুম
ভেঙ্গে যায়। চারিদিকে তারা হাজার হাজার মানুষের
আত্ম চিৎকার ও গোলা-গুলির শব্দ শুনতে পান।
তারা নিজেরাও সেখানে ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে
গিয়েছিল। ভয়ে তারা ঘর থেকে বের হতে
পারলেন না। তাদের চার দিক ঘিরে চলতে
থাকলো গুলি-বোমার প্রচণ্ড শব্দ, মানুষের
চিৎকার, হাহাকার আর কান্না। এমনভাবে চললো
ভোর ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। যুদ্ধ শেষে ভয়াবহ
এক অবস্থা থেকে জীবন ফিরে পেল যেন
ওই দুই মহিলা। তারা ভাবলো তাদের পুনর্জন্ম

হয়েছে, কারণ এই যুদ্ধের মাঝে তারা যে
বেচে থাকবেন এটা তারা ভাবতে পারেন নি।
সকালে তারা যখন বাইরে বের হন তখনই ঘটে
আশ্চর্য ঘটনা। কারণ তারা বাইরে বেরিয়ে যুদ্ধ,
গোলাগুলি বা কোনও প্রকার হত্যাযজ্ঞের চিহ্ন
দেখতে পান নি। তারা তাদের পার্শ্ববর্তী
অনেক মানুষের কাছে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা
করলো কিন্তু কেউ এ সম্পর্কে কিছুই বলতে
পারলো না। সবাই বললো রাতে এমন কোনও
কিছুই ঘটেনি। গতরাত ছিল অন্য রাতের মতোই
স্বাভাবিক। পরিশেষে তারা ঘটনাটি খুলে বললো
বিশেষজ্ঞদের কাছে। সেই দুই মহিলার বর্ণনার
সাথে মিলে গিয়েছিল সামরিক বাহিনীর পুরাতন এক
রেকর্ডের সঙ্গে। বিষয়টি ছিল অতি
কাকতালীয়। ১৯৪২ সালের ১৯ আগস্ট
ভোরবেলায় কানাডা ও ব্রিটিশ সেনাদল জার্মানির
নর্মান্ডি বিমান বন্দর আক্রমণ করেছিল। সেই
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হাজার হাজার লোক নিহত
হয়েছিল। আর সেই ঘটনাটিই ৯ বছর পর ফ্লাস
ব্যাক হয়ে ফিরে এসেছিল এই দুই মহিলার
ইন্দ্রিয়তে। ভোরের যুদ্ধ সম্পর্কে তারা
আরও যা বর্ণনা দিয়েছিল তার সবই মিলে গিয়েছিল
ওই ঘটনার সাথে। এই ঘটনার রহস্য এখনও উদঘাটন
করতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা। রাতে ওই দুই মহিলা
কি নয় বছরে পূর্বে ফিরে গিয়েছিলেন? নাকি
তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন? যদি তারা স্বপ্ন
দেখে থাকেন তাহলে দু’জন একই সাথে একই
স্বপ্ন দেখলেন কিভাবে? সকল রহস্যই এখনও
রহস্য।

রহস্যময় সকল টপিক্স পরতে রহস্য প্রেমিরা আমার সাইটে আসুন

Leave a Reply