ট্রিকবিডির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পর্বভিত্তিক টিউন করতে পেরে নিজের অনেক ভালো লাগছে। আমার লক্ষ্য এই চেইন টিউনের পর্বসংখ্যা ৫০০ পার করা। সবাই দুয়া করবেন।

“বাংলাদেশের কিছু জায়গার রহস্যময় ঘটনা (বিখ্যাত
মিথও বলা যেতে পারে)”

অনেক হয়েছে বাইরের দেশের রহস্যময়
ঘটনা নিয়ে আলোচনা। এবার হবে নিজের দেশ
নিয়ে। রহস্যময় ঘটনাগুলো নিয়ে আবার কেউ
ছুরী চালাতে যেয়েন না আমার উপর। এগুলো
কতটা বিশ্বাস যোগ্যতা সবাই জানেন। আরেকটা
কথা যতই অবিশ্বাস্যই হোক আপনাদের কারো
এরকম মিথ জানা থাকলে জানাবেন। সবগুলোই
সংগৃহীত।

১। গানস অফ বরিশালঃ গুগলে লেখে সার্চ দিলেই
পাবেন। ব্রিটিশরা বরিশালে আসার সময় নাম ছিল
বাকেরগঞ্জ। বাকেরগঞ্জের ততকালীন ব্রিটিশ
সিভিল সার্জন প্রথম ঘটনাটা লেখেন। বর্ষা আসার
আগে আগে গভীর সাগরের দিক থেকে
রহস্য ময় কামান দাগার আওয়াজ আসতো। ব্রিটিশরা
সাগরে জলদস্যু ভেবে খোজা খুজি করেও
রহস্যভেদ করতে পারে নাই।

২।বগা লেকঃ কেওকারাডং এর আগে রুপসী বগা
লেক। বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন। বমদের রুপকথা

অনুযায়ী অনেক আগে এই পাহাড়ে এক ড্রাগন
বাস করতো। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে
খেয়ে ফেলতো। গ্রামের লোকেরা
ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে আগুন
আর প্রচন্ড শব্দ হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়।
রুপকথার ধরন শুনে মনে হয়, এটা একটা
আগ্নেয়গীরির অগ্ন্যুতপাত। উপজেলা
পরিষদের লাগানো সাইনবোর্ডে সরকারী
ভাবে এই রহস্যের কথা লেখা। এখনো এর
গভীরতা কেউ বলতে পারে না। ইকো মিটারে
১৫০+ পাওয়া গেছে। প্রতিবছর রহস্যময় ভাবে বগা
লেকের পানির রঙ কয়েকবার পালটে যায়। যদিও
কোন ঝর্না নেই তবুও লেকের পানি চেঞ্জ
হলে আশপাশেরলেকের পানিও চেঞ্জ হয়।
হয়তো আন্ডার গ্রাউন্ড রিভার থাকতে পারে।
রহস্য ভেদ হয়নি এখনো।

৩। চিকনকালা (নিফিউ পাড়া): মুরং গ্রামটা বাংলাদেশ-বার্মা
নো ম্যানস ল্যান্ডে। আমি এখানে মৃত চিতাবাঘের
ছাল দেখেছি। দুপুর ১২টায় বুনো দাঁতালো শুকর,
ময়ুর দেখেছি। দিনের বেলাতেই বার্কিং ডিয়ার
আর ভাল্লুকের ডাক শুনেছি। কাছের মুরং গ্রাম
চিকনকালার লোকেরাবলে প্রতিবছর নাকি (দিনটা
নির্দিষ্ট না) হঠাত্ কোন জানান না দিয়ে বনের ভিতর
রহস্যময় ধুপ ধাপ আওয়াজ আসে। শিকারীরা
আওয়াজটা শুনলেই সবাই দৌড়ে বন থেকে

পালিয়ে আসে। কিন্তু প্রতিবছরেই কয়েকজন
পিছে পড়ে যায়। যারা পিছে পড়ে তারা আর ফিরে
আসে না। কয়েকদিন পরে বনে তাদের মৃত
দেহ পাওয়া যায়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই।
শুধু চেহারায় ভয়ঙ্কর আতঙ্কের ছাপ।

৪। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড: মেঘন
নদীযেখানে সাগরে মিশেছে যায়গাটাকে
বলে সোয়ার্জ অফ নো গ্রাউন্ড বা অতল
স্পর্ষী। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ গঠনের পর
থেকেই ২মুখী স্রোতের ঠেলায় তলার মাটি
সরে যাচ্ছে। এখানে গভীরতা পরিমাপ করা যায়নি।

লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। এতে পরবর্তীতে লিখতে উৎসাহ পাবো।

রহস্যময় সকল টপিক্স পরতে রহস্য প্রেমিরা আমার সাইটে আসুন

Leave a Reply